ডিং ডং মাঝে মাঝে আজব ভাষায় কথা বলে। তার ভাষায় ‘মাকাটিলি’ মানে ‘লিপইয়ার’। স্কুলে আবৃত্তির পর সে বলল, ‘ইকিতানি’। এর মানে নাকি ‘নমস্কার’। টুপুরের জানলার ওপাশে বাতাবি লেবুর গাছে একটা পাখি এসে বসে। ওকে দেখলেই তার আর পড়ায় মন বসে না। যোগের বেলায় বিয়োগ করে বসে। বাবা একদিন মা-র কথায় দুটো লাঠিতে নিজের ছেঁড়া জামা গলিয়ে বানিয়ে দিলেন পাখিতাডুয়া। তারপর আর পাখিটা আসে না। টুপুরের মনটাই আর ভালো নেই। ঝিমলি আর কাকুর দুই ছেলে-মেয়ে টিটুল আর টিকলি। তাদের পুতুল খেলার রাজ্য ছাদে তার নাম ‘খেলাঘরপুর’। বড়োদের কী নিয়ে যেন কথা বন্ধ, তাই ওদের একসঙ্গে পুতুল খেলাও বারণ। এখন ওরা পুতুলগুলো কি নিজেরা ভাগ করে নেবে? এরকম উনিশটি গল্প নিয়ে এই বই। যারা সবে বই পড়তে শিখেছে বা যারা গড়গড়িয়ে পড়তে পারে, তাদের জন্যে গল্পগুলো লেখা। যারা বই পড়তেই পারে না এখনও, বড়োরা যাদের বই পড়ে শোনান, এই গল্পগুলো তাদের জন্যও।
নানা চোখে রাখাল রায়চৌধুরি
₹210.00সম্পাদনা দীপককুমার ভট্টাচার্য
সৃষ্টিশীল, আত্মমগ্ন, বিনম্র কোনো মানুষ যখন কঠোর জীবনসংগ্রামের মধ্য দিয়ে সংস্কৃতিচর্চায় স্বীয় প্রতিভার স্বাক্ষর রাখেন, তখন নিজের অগোচরেই তিনি বদলে দিতে থাকেন তাঁর পারিপার্শ্বিককে। আর এভাবেই ক্রমে সৃষ্টি হয় এক জ্যোতির্বলয়, যার কেন্দ্রে স্বয়ং সেই জ্যোতির্ময় মানব। রাখাল রায়চৌধুরি এমনই এক ব্যক্তিত্ব। কবিতা, গল্প, নাটক, উপন্যাস, ছোটোদের জন্য লেখা_সাহিত্যের সকল শাখায় তাঁর অনায়াস বিচরণ। শিশুসাহিত্যে জাতীয় পুরস্কার বিজয়ী নিরহংকার এই মানুষটির অবিস্মরণীয় অবদান ‘ত্রিপুরা কৃষ্টিসংহতি’ নামে এক মুক্ত সংস্কৃতিচর্চাকেন্দ্র স্থাপন। এই প্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ত্রিপুরায় প্রগতিশীল সাহিত্য আন্দোলন এক ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে। বর্তমান গ্রন্থে তিনটি পর্বে সংকলিত হয়েছে রাখালবাবুর জীবন ও সাহিত্য সংক্রান্ত নিবন্ধ ও প্রবন্ধগুচ্ছ। নিঃসন্দেহে এই আয়োজন বাংলা সাহিত্যের এক অন্যতম শ্রেষ্ঠ কুশীলবের জীবন ও কর্মের ডকুমেন্টেশন হয়ে থাকবে।
Reviews
There are no reviews yet.