চিঠি এমনই এক নির্মাণ যা কোনো কোনো মায়াবী মুহূর্তে হয়ে ওঠে যোগাযোগের ব্যক্তিগত সেতু, কালপ্রবাহের ধারক এবং ভাবাদর্শের দ্যোতনাবাহী ঘোড়সওয়ার। আর ঠিক তখনই সে সাহিত্য হয়ে দাবি করে ভিন্ন পাঠ, ভিন্ন পাঠাভ্যাস। এই সংগ্রহে গ্রথিত হয়েছে তেমনই কিছু চিঠি যা ইতিমধ্যেই সাহিত্য হিসেবে স্বীকৃত। প্রেম এদের মধ্যে অভিন্ন সংযোগসূত্র। কালের যাত্রার ধ্বনি যেমন শ্রুত এই পাঠে, প্রেমের অশ্রুত সংগীতও হয়তো-বা অনুভব করা যাবে এই নিরবচ্ছিন্ন পত্রালাপে। পত্নী দীনময়ী দেবীকে লেখা ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের একটি চিঠি দিয়ে এ-সংকলনের সূচনা। তারপর রবীন্দ্রনাথ থেকে শরৎ, নজরুল, বিভূতিভূষণ, মানিক, উদয়শঙ্কর, তারাশঙ্কর হয়ে এই সংগ্রহ ছুঁয়ে গেছে জয় গোস্বামীর নিভৃত উচ্চারণ।
চিঠি এমনই এক নির্মাণ যা কোনো কোনো মায়াবী মুহূর্তে হয়ে ওঠে যোগাযোগের ব্যক্তিগত সেতু, কালপ্রবাহের ধারক এবং ভাবাদর্শের দ্যোতনাবাহী ঘোড়সওয়ার। আর ঠিক তখনই সে সাহিত্য হয়ে দাবি করে ভিন্ন পাঠ, ভিন্ন পাঠাভ্যাস। এই সংগ্রহে গ্রথিত হয়েছে তেমনই কিছু চিঠি যা ইতিমধ্যেই সাহিত্য হিসেবে স্বীকৃত। প্রেম এদের মধ্যে অভিন্ন সংযোগসূত্র। কালের যাত্রার ধ্বনি যেমন শ্রুত এই পাঠে, প্রেমের অশ্রুত সংগীতও হয়তো-বা অনুভব করা যাবে এই নিরবচ্ছিন্ন পত্রালাপে। পত্নী দীনময়ী দেবীকে লেখা ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের একটি চিঠি দিয়ে এ-সংকলনের সূচনা। তারপর রবীন্দ্রনাথ থেকে শরৎ, নজরুল, বিভূতিভূষণ, মানিক, উদয়শঙ্কর, তারাশঙ্কর হয়ে এই সংগ্রহ ছুঁয়ে গেছে জয় গোস্বামীর নিভৃত উচ্চারণ।
ঝন্টিপাহাড়ির ভূতবাংলোতে ভূতের পিলে চমকানো অট্টহাসিই হোক কিংবা নীলপাহাড়ির ঝাউ-বাংলোয় কাটা মুণ্ডুর বীভৎস নাচ, পটলডাঙার চার মূর্তিকে কুপোকাত করতে পারে, এমন সাধ্য কার! টেনিদা ও তার তিন শাগরেদ প্যালা, হাবুল ও ক্যাবলা-কে নিয়ে লেখা নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রথম ও তৃতীয় উপন্যাস_চার মূর্তি ও ঝাউ-বাংলোর রহস্য_এই প্রথম একসঙ্গে।
অন্নদাশঙ্কর রায়ের তিনটি উপন্যাস আগুননিয়ে খেলা, পুতুল নিয়ে খেলা এবং কন্যা-র সংকলন এই গ্রন্থ। যেখানে তৃতীয় গ্রন্থের চার পুরুষ চরিত্রের অন্বিষ্ট ‘Eternal Feminine’, প্রথম দুই উপন্যাসের কাসানোভা নায়ক কল্যাণ সোমের অন্বেষণ এমন এক নারীর জন্য যে তার ‘চরিত্রহীন’, ‘ব্যভিচারী’ অতীত সম্পর্কে সম্যকভাবে অবহিত ও অবগত হয়েও তার স্ত্রী হতে রাজি হবে।
বর্ণনাকৌশলের অভিনবত্বে, কৌতূহলোদ্দীপক চরিত্র ও প্লটনির্মাণের দক্ষতায়, আখ্যানের গভীরে অন্তঃসলিলা নদীর মতো দর্শনের প্রবহমানতায় ব্যতিক্রমী এই তিনটি আধুনিক উপন্যাস বাংলা কথাসাহিত্যের চিরন্তন সম্পদ।
সংকলন মাত্রেরই নানা ধরনের সীমাবদ্ধতা থাকে। চয়নিকা (১৯০৯) যখন প্রথম প্রকাশিত হয়, তখন তার আগে পর্যন্ত যে ক-টি কাব্যগ্রন্থ বেরিয়েছে সেগুলি থেকে চয়ন করে একশো তিরিশটি কবিতা গ্রহণ করা হয়।… এলাহাবাদের ইন্ডিয়ান প্রেসে মুদ্রিত চয়নিকা জনসমাদর লাভে বঞ্চিত হয়নি। এরপর বিশ্বভারতী যখন তৃতীয় সংস্করণ চয়নিকা (১৯২৫) প্রকাশের দায়িত্ব নেয়, তখন তাতে শুধু কবিতার সংখ্যাই বাড়ানো হয়নি, কবিতা নির্বাচনের রীতিরও বদল হয়েছে।… নব-কলেবর চয়নিকা-কে রবীন্দ্রনাথ মেনে নিলেও কবিতা-নির্বাচনের পদ্ধতি সম্ভবত রবীন্দ্রনাথের ভালো লাগেনি।… চয়নিকা বাজারে থাকা সত্ত্বেও রবীন্দ্রনাথ নতুন কবিতা-সংকলনের কথা ভেবেছেন। আর তারই ফলে সঞ্চয়িতা-র পরিকল্পনা। এবার কবিতাগুলো সংকলনের ভার কবি নিজে নিয়েছেন।…সঞ্চয়িতা প্রথম প্রকাশের (১৯৩১) পর অন্যদের কথা সুরে থাক, রবীন্দ্রনাথেরও মনে হয়েছে, অনেক ভালো কবিতা সংকলনের বাইরে পড়ে রইল। পরের দুটি সংস্করণে কিছু গ্রহণ-বর্জন সত্ত্বেও রবীন্দ্রনাথের অতৃপ্তি যায়নি।… বিশ্বভারতী প্রকাশিত সঞ্চয়িতা-র সীমাবদ্ধতা (যে-সীমাবদ্ধতার কথা রবীন্দ্রনাথ নিজে ১৩৩৮ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে লেখা ভূমিকায় জানিয়েছেন) মনে রেখেও সঞ্চয়িতা-র যেহেতু কোনো বিকল্প নেই, আমরা সঞ্চয়িতা পুনর্মুদ্রণের কাজে অগ্রসর হয়েছি।…স্থান সংকুলানের বাধ্যতায় ‘সংযোজন’ অংশে মাত্র আঠারোটি কবিতা রাখতে সক্ষম হয়েছি।… ‘পাঠ-পরিচয়’ অংশে যেখানে পাওয়া গেছে সেখানে রবীন্দ্রনাথের নিজের দেওয়া কাব্যব্যাখ্যা. অন্যক্ষেত্রে বিশিষ্ট সমালোকদের মন্তব্য সাজিয়ে দেওয়া হয়েছে। হয়েতা রবীন্দ্রকাব্য-প্রবেশিকা হিসেবে এই অংশের কিছু মূল্য আছে।
অধিকাংশ ইনশিয়োরেন্স এজেন্ট আজীবন এজেন্টই থেকে যান, তাঁরা আর মানুষের বিমাবন্ধু হয়ে উঠতে পারেন না। কীভাবে কোনো মানুষকে সঠিকভাবে উদ্দীপ্ত ও সচেতন করে তাঁর ‘ইনশিয়োর্ড’ হওয়া ‘এনশিয়োর’ করা যায়, কীভাবে আদর্শ বিমাবন্ধু হয়ে ওঠা যায়- সেই পথই ধাপে ধাপে দেখাবে প্রত্যেক লাইফ ইনশিয়োরেন্স এজেন্ট-এর অবশ্যপাঠ্য এই বই।
Reviews
There are no reviews yet.