শৈলেন ঘোষ
অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পর শৈলেন ঘোষই সবচেয়ে সার্থকভাবে ছোটোদের জন্য সৃষ্টি করেছেন শব্দ-ছবির ভিন্ন এক জগৎ।
₹200.00 ₹160.00
শৈলেন ঘোষ
অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পর শৈলেন ঘোষই সবচেয়ে সার্থকভাবে ছোটোদের জন্য সৃষ্টি করেছেন শব্দ-ছবির ভিন্ন এক জগৎ।
Out of stock
শৈলেন ঘোষ
অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পর শৈলেন ঘোষই সবচেয়ে সার্থকভাবে ছোটোদের জন্য সৃষ্টি করেছেন শব্দ-ছবির ভিন্ন এক জগৎ।
Only logged in customers who have purchased this product may leave a review.
মানুষ হাসতে ভালোবাসে। সেই যে কথায় বলে—আট থেকে আশি, দুঃখ ভুলে হাসি। তাই গোটা পৃথিবী জুড়ে দীর্ঘকাল ধরে লেখা হয়ে আসছে হাসির গল্প, উপন্যাস, ছড়া, কবিতা। শুধু সাহিত্যই নয়, হাসির সিনেমাও কম তৈরি হয়নি। রবীন্দ্রনাথ তাঁর ‘ছিন্নপত্রাবলী’-তে ৪৭ নম্বর পত্রে লিখেছেন, হাস্যরস প্রাচীনকালের ব্রহ্মাস্ত্রের মতো, যে ওর প্রয়োগ জানে সে ওকে নিয়ে একেবারে কুরুক্ষেত্র বাঁধিয়ে দিতে পারে—আর যে হতভাগ্য ছুড়তে জানে না অথচ নাড়তে যায়, তার বেলায় বিমুখ ব্রহ্মাস্ত্র আসি অস্ত্রীরেই বধে, হাস্যরস তাকেই হাস্যজনক করে তোলে। হাসির আবার রকমফেরও তো কম নেই—মিচকে হাসি, খিকখিক হাসি, হা হা হাসি, হো হো হাসি—আরও কত! আমরা দৈনন্দিন জীবনের সমস্যার টানাপোড়েনে অনেকেই হাসতে ভুলে গেছি। তাই আমরা পাঠকদের মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলতে আয়োজন করেছি পঁচিশটি হাসির গল্পের এই সংকলন। শিবরাম চক্রবর্তী, হিমানীশ গোস্বামী, সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় বা তারাপদ রায়ের হাসির গল্পের সঙ্গে গ্রথিত করেছি একালের নবীন কথাকারদেরও হাসির গল্প।
(সামবেদীয় ও যজুর্বেদীয় পদ্ধতিতে মন্ত্রের অর্থসহ)
প্রবীরকুমার চট্টোপাধ্যায় কাব্যতীর্থ
জন্মিলে মরিতে হবে অমর কে, কোথা, কবে? জন্মের মতো মৃত্যুও এক শাশ্বত সত্য। মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী, কিন্তু মৃত্যুতেই শেষ নয় আমাদের জীবন। এর পরেও রয়ে যায় আর এক অভিযাত্রা। পরমব্রহ্মের সঙ্গে মিলিত হওয়ার আগে আমাদের উত্তরজীবন। মৃত ব্যক্তির পার্থিব জীবনকে সম্মান জানিয়ে তাঁর অপার্থিব উত্তরজীবন যাতে দ্রুত স্বর্গগামী হয়, সেই উদ্দেশ্যে অনাদিঅতীতকাল থেকে সকল ধর্মে পারলৌকিক ক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে আসছে। হিন্দুধর্মমতে এই ক্রিয়ার নাম ‘শ্রাদ্ধ’_শ্রদ্ধার সঙ্গে কৃত প্রিয়জনতর্পণ। সামবেদীয় ও যজুর্বেদীয়_উভয় পদ্ধতিতেই সেই বৈদিক যুগ থেকে হিন্দুরা শ্রদ্ধানুষ্ঠান পালন করে আসছেন। এই উত্তরাধুনিক একবিংশ শতকেও তার অন্যথা হয়নি। সমস্যা অন্যত্র। সংস্কৃত ভাষাচর্চার ক্রমাবনতি আমাদের শাস্ত্রবিষয়ে অজ্ঞ ও অনভিজ্ঞ করে তুলেছে। ফলে, অনর্থজ্ঞ পুরোহিতরা যখন তর্পণকার্যে প্রবৃত্ত হন, শ্রাদ্ধ অসম্পূর্ণ থাকে। এই গ্রন্থ রচনার উদ্দেশ্য : সংস্কৃত মন্ত্রে রচিত, বিধিবদ্ধ শ্রাদ্ধপদ্ধতিকে সকলের কাছে অর্থময় করে তোলা। এই গ্রন্থ অনুসরণ করে অর্থবোধসহ মন্ত্রোচ্চারণ করলে পুরোহিতরা তর্পণকার্য সুসম্পন্ন করবেন এবং উচ্চারিত মন্ত্রের অর্থ হৃদয়ঙ্গম করে পারলৌকিক ক্রিয়ারত ব্যক্তিরাও শ্রাদ্ধের মর্ম অনুভব করবেন। গ্রন্থের শেষে সংযোজিত ভারতসাবিত্রী-র পাঠ সমগ্র মহাভারতপীঠের পুণ্যপ্রদান করবে।
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়
ঝন্টিপাহাড়ির ভূতবাংলোতে ভূতের পিলে চমকানো অট্টহাসিই হোক কিংবা নীলপাহাড়ির ঝাউ-বাংলোয় কাটা মুণ্ডুর বীভৎস নাচ, পটলডাঙার চার মূর্তিকে কুপোকাত করতে পারে, এমন সাধ্য কার! টেনিদা ও তার তিন শাগরেদ প্যালা, হাবুল ও ক্যাবলা-কে নিয়ে লেখা নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রথম ও তৃতীয় উপন্যাস_চার মূর্তি ও ঝাউ-বাংলোর রহস্য_এই প্রথম একসঙ্গে।
কৈলাসচন্দ্র সিংহ
প্রাচীন ত্রিপুরার বর্ণময় ইতিহাস রচনাকারী কৈলাসচন্দ্র সিংহের মূল্যবান গ্রন্থ রাজমালা থেকেই রবীন্দ্রনাথ রাজর্ষি-র উপাদান পেয়েছিলেন এবং উপন্যাস রচনা করে ত্রিপুরা রাজ্যকে জগৎসভায় পরিচিতির এক নতুন আলোয় উদ্ভাসিত করেছিলেন। গ্রন্থটি প্রথমে ক্ষুদ্রাকারে ও পরে বৃহদাকারে প্রকাশিত হয়েছিল। পাঠকের সুবিধার্থে দুষ্প্রাপ্য প্রথম খণ্ডটিও একত্রে প্রকাশ করা হল।
প্রাককথন নিধুভূষণ হাজরা
জ্ঞানদানন্দিনী দেবী সম্পাদিত বালক পত্রিকায় ১২৯২ বঙ্গাব্দের (১৮৮৫ সালে) বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ পরপর দুটি সংখ্যায় প্রকাশিত হয় একটি বড়ো গল্প_মুকুট। ত্রিপুরার প্রাচীন ইতিহাসভিত্তিক এই গল্পটির লেখক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। কবির বয়স তখন চব্বিশ। লেখার আকর সংগ্রহের অন্য তিনি চিঠি লেখেন ত্রিপুরার মহারাজা বীরচন্দ্র মাণিক্যকে। শুরু হয় এক বন্ধুতা যার তাপর্য বহুমুখী। গল্প হিসেবে ‘মুকুট’ হয়তো বিদগ্ধ পাঠককে মুগ্ধ করেব না, কিন্তু শিশুশিক্ষার উপকরণ হিসেবে এর মূল্য অনেক। কবির নিজের ভাষায় : ‘জীবনচরিত বা ইতিহাস হইতে বেশ ছোটো ছোটো anecdote সংগ্রহ করিয়া দিলে ছেলেদের পড়াইবার বিশেষ সুবিধা হয়।’ রবীন্দ্রনাথের অনুমান অভ্রান্ত ছিল। গল্প হিসেবে মুকুট জনপ্রিয় হয় এবং ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দে কবি এর নাট্যরূপ দেন। উদ্দেশ্য ছিল ব্রহ্মচর্যাশ্রমের বালকদের দিয়ে সে-নাটকের অভিনয় করানো। এই গ্রন্থে ‘মুকুট’-এর গল্প ও নাট্য_উভয় রূপই সংকলিত হল আজকের ছেলেমেয়েদের ‘ত্যাগের বীর্যের অধ্যবসায়ের ধর্ম্মনিষ্ঠার সত্যপরায়ণতার’ মন্ত্রে দীক্ষিত করতে।
Reviews
There are no reviews yet.