কবির নীরা ( KABIR NEERA )
নীরা আসলে কল্পনার নারী , চিররোমান্টিক , সুনীলের প্রাণ প্রতিমা , একই সঙ্গে মানস সুন্দরী I নীরা আমাদের কাছে অধরা I নীরার আকর্ষণ এখানেই I
Subtotal : ₹2,060.00
₹595.00 ₹476.00
নীরা আসলে কল্পনার নারী , চিররোমান্টিক , সুনীলের প্রাণ প্রতিমা , একইসঙ্গে মানস সুন্দরী I নীরা আমাদের কাছে অধরা I নীরার আকর্ষণ এখানেই I
আজ যারা স্ব স্ব ক্ষেত্রে যশস্বী ও কীর্তিমান, কীভাবে একদিন তাঁদের জীবনের মোড় ঘুরে গিয়েছিল আপনাপন শিক্ষা গুরুর নির্দেশনায় এ বইয়ে মিলবে তারই বিশ্বস্ত আলেখ্য | গল্প হয়েও যা সত্যি|
সুচিত্রা সেনের জীবন ও ছবি
সবার উপের তো তিনিই। সুচিত্রা সেন। রমা থেকে মিসেস সেন হয়ে ওঠার আটপৌরে মধ্যবিত্ত গল্পে থেমে থাকেনি তাঁর জীবন। জীবদ্দশাতেই তা হয়ে উঠেছে কিংবদন্তীসম। আর তিনি সুচিত্রা সেন হয়তো-বা সবচেয়ে বিখ্যাত বাঙালি নারী বনলতা সেনের মতোই এক অপূর্ব জীবনানন্দ-কবিতা হয়ে বাঙালির শয়নে, স্বপনে, জাগরণে বারে বারে আবির্ভূতা। বিগত শতাব্দীর যে সময়ে রুপোলি পর্দায় তাঁর আত্মপ্রকাশ, ভিটেমাটি ছেড়ে লাখো লাখো মানুষ সীমান্ত পেরিয়ে চলে আসছেন এ বাংলায়। দেশভাগ-উত্তর পিচ্ছিল, হতাশ সে সময়ে প্রেমহীন, স্বপ্নহীন, বাঙালিকে প্রেমে পড়তে, স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছিলেন তিনি। যাঁরা বলেন সুচিত্রা-অভিনীত বেশিরভাগ ছবিই আসলে লিবিডোতাড়িত হীনম্মন্য এক জাতির রোম্যান্টিক এসকেপ, তাঁরা পুরোটা বলেন না। অনেক ক্ষেত্রেই মিলনান্তক সে-সব ছবিতেও কি লেগে থাকে না অস্থির এক সময়ের আঁচড়? নতুন দেশে, নতুন কালে মাথা উঁচু করে বাঁচতে চাওয়া শিক্ষিত, মধ্যবিত্ত বাঙালি নারীর আত্মপরিচয় খোঁজার লড়াইকে যেভাবে অভিনয়ের মাধ্যমে একের পর এক ছবিতে মূর্ত করে তুলেছিলেন তিনি তার তুলনা ভারতীয় চলচ্চিত্রে কেন, আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্রেও নেই। ১৯৫৩ থেকে ১৯৭৮_এ এক অলীক সফর! অভিনয়জীবনের এই পঁচিশ বছরে সুচিত্রা শুধু নায়িকা থেকে মহানায়িকাই হয়ে ওঠেননি, তিন দশক ধরে তিনি কার্যত শাসন করে গেছেন বাংলা চলচ্চিত্রকে। ভারতীয় সিনেমায় এই প্রথম কোনো অভিনেত্রী বদলে দিলেন পুরুষ-আধিপত্যবাদী সিনেমাশিল্পের যাবতীয় সমীকরণ। নায়িকা, মহানায়িকা কিংবা ভারতীয় সিনেমার গ্রেটা গার্বো বলে তাঁকে বিশেষিত করতে চাওয়া আমাদের প্রমাদ, ঐতিহাসিক ভ্রান্তি। বাংলা তথা ভারতীয় সিনেমায় আসলে তিনিই নায়ক। তিনি ইন্ডাস্ট্রি!
নীরা আসলে কল্পনার নারী , চিররোমান্টিক , সুনীলের প্রাণ প্রতিমা , একই সঙ্গে মানস সুন্দরী I নীরা আমাদের কাছে অধরা I নীরার আকর্ষণ এখানেই I
Only logged in customers who have purchased this product may leave a review.
সৌম্য ভট্টাচার্য
দাদুর বাড়ির বাগানে পুকুর থেকে উঠে আসা একটা বুড়ো বটগাছ। জলের নীচে তার হাঁ-করা ফোকর গলে দুই বোন ডোরা আর ডোনা_তাদের দুই বন্ধু মিতুল ও নীলুর সঙ্গে_আচমকাই পৌঁছে যায় চির কুয়াশার এক দেশে। সর্বনেশে সে-দেশে অত্যাচারী মকররাজ খোক্কোসদের বিষাক্ত রাজ্যপাট কায়েম করে রেখেছে সেনাপতি কালাপাহাড়ের নির্মম অত্যাচার আর ন্যায়াধীশ শেয়ালপণ্ডিতের ধূর্ত কারসাজিতে। যক্ষপুরীতে গোপন কক্ষে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ তারাই বন্দি করে রাখে বাংলা মাকে।বাচ্চাদের ওপরেই পড়ে আবহমান বঙ্গের স্তন্যদায়িনী সেই মায়ের ভাঙা বুক জোড়া লাগানোর ভার। বাথুয়া_এক সুবিশাল রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার_সহায় হয় তাদের। সঙ্গী হয় লক্ষ্মীপ্যাঁচা সুষমা, সনাতন ভোঁদড়, কুমির-গিন্নি, ছুচোঁ, ইঁদুর, এমনকী বনের আর সব পশুপাখিও। কিন্তু ছোটো ছোটো এই চারটি ছেলে-মেয়ে কি পারবে মকররাজের পরাক্রান্ত সাম্রাজ্যের ভিত টলিয়ে দিতে? রবীন্দ্রনাথের রাখিসংগীতেই কি আছে সেই জাদুশক্তি যা চির কুয়াশাময়, হতাশ সে-দেশে নিয়ে আসবে আশার নতুন আলো? বাংলার চিরকালীন রূপকথা আর শিশুসাহিত্যের নির্যাস নিয়ে লেখা এক আশ্চর্য উপন্যাস, যা একইসঙ্গে ফ্যান্টাসি, স্যাটায়ার, আবার ব্যাপ্ত ক্যানভাসে আঁকা দুর্ধর্ষ, রুদ্ধশ্বাস অ্যাডভেঞ্চারও।
শুভময় মণ্ডল
বাংলা কবিতার চিরায়ত সম্পদ মেঘনাদবদকাব্য। রবীন্দ্রনাথ এবং মেঘনাদবধকাব্য-র জন্ম একই বছরে। জন্মমাত্রই মেঘনাদবধকাব্য জয় করেছিল বাঙালি পাঠকের হৃদয়। শুধুমাত্র সুশিক্ষিত এবং রুচিশীল পাঠক নন, সাধারণ বাঙালি পাঠকও উন্মথিত হয়েছিলেন এই কাব্যের পঠনে। কাব্যের প্রতিটি সর্গে, প্রতিটি পঙক্তিতে ছন্দ ও যতিচিহ্নের অনন্য চরণধ্বনি, শব্দ ও অলংকারের অম্লান সৌরভ আমাদের আবিষ্ট করে রাখে। বাংলাভাষা যতদিন থাকবে, ততদিনই আয়ুষ্মান মেঘনাদ। প্রতিস্পর্ধী এই মহাকাব্য থেকে গল্পের চলনটুকু তুলে এনে সবার জন্যে একালের গদ্যে বলা হল মেঘনাদের বীরত্ব ও মৃত্যুর কথা।
প্রভাসচন্দ্র ধর
চোদ্দোটি গল্প। ভিন্ন ভিন্ন গল্প, বিভিন্ন কালের ও বিভিন্ন সামাজিক স্তরের। চল্লিশ বছর ধরে লেখা কিছু গল্প থেকে বাছাই করা। চরিত্রে আছে নর-নারী, হিন্দু, মুসলমান, খ্রিস্টান, সমতলবাসী-গিরিবাসী ও দুটি চড়াইও।
রণজিৎকুমার সমাদ্দার
ইতিহাসের তথ্যাবরণই শুধু নয়,আরও অনেক কিছু। কথা-গল্পের বহমানতায় লোকসংস্কৃতির মিশেল দুর্লক্ষ্য নয়। ঈষৎ চমক! ঋদ্ধ-আবেগে রসাপ্লুতায় ভাবুকমনের সন্ধান চলতে পারে_ইতিহাসের অমল-বিভা।
মানুষ হাসতে ভালোবাসে। সেই যে কথায় বলে—আট থেকে আশি, দুঃখ ভুলে হাসি। তাই গোটা পৃথিবী জুড়ে দীর্ঘকাল ধরে লেখা হয়ে আসছে হাসির গল্প, উপন্যাস, ছড়া, কবিতা। শুধু সাহিত্যই নয়, হাসির সিনেমাও কম তৈরি হয়নি। রবীন্দ্রনাথ তাঁর ‘ছিন্নপত্রাবলী’-তে ৪৭ নম্বর পত্রে লিখেছেন, হাস্যরস প্রাচীনকালের ব্রহ্মাস্ত্রের মতো, যে ওর প্রয়োগ জানে সে ওকে নিয়ে একেবারে কুরুক্ষেত্র বাঁধিয়ে দিতে পারে—আর যে হতভাগ্য ছুড়তে জানে না অথচ নাড়তে যায়, তার বেলায় বিমুখ ব্রহ্মাস্ত্র আসি অস্ত্রীরেই বধে, হাস্যরস তাকেই হাস্যজনক করে তোলে। হাসির আবার রকমফেরও তো কম নেই—মিচকে হাসি, খিকখিক হাসি, হা হা হাসি, হো হো হাসি—আরও কত! আমরা দৈনন্দিন জীবনের সমস্যার টানাপোড়েনে অনেকেই হাসতে ভুলে গেছি। তাই আমরা পাঠকদের মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলতে আয়োজন করেছি পঁচিশটি হাসির গল্পের এই সংকলন। শিবরাম চক্রবর্তী, হিমানীশ গোস্বামী, সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় বা তারাপদ রায়ের হাসির গল্পের সঙ্গে গ্রথিত করেছি একালের নবীন কথাকারদেরও হাসির গল্প।
ভজুরাম মেমোরিয়াল স্কুলের অঙ্কের মাস্টারমশাই জয়পতাকাবাবুকে দেখে বীর বলে আদৌ মনে হয় না। কিন্তু তিনিই চমকে দিলেন যখন খেলার মাঠে একদিন মোলাকাত হয়ে গেল শহরের সবচেয়ে সাংঘাতিক জীব কালুর সঙ্গে। ভয়ংকর সেই ষাঁড়ের মুখোমুখি দিব্যি লড়ে গেলেন জয়পতাকাবাবু। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। কালুর গুঁতোয় উড়ে গেলেন তিনি। শূন্যে বার দুই সামারসল্ট খেয়ে শেষমেশ সওয়ার হলেন সেই কালুরই পিঠে! দর্শকমণ্ডলীর তুমুল হর্ষধ্বনির মধ্যে জয়পতাকাবাবুকে পিঠে নিয়ে দিগবিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে ছুটতে থাকল কালু। শহর পেরিয়ে ঢুকে পড়ল পটাশগড়ের ভয়াবহ জঙ্গলে। তারপর? রোমহর্ষক সেই ঘটনা জানতে হলে পড়তেই হবে পটাশগড়ের ভয়াবহ জঙ্গলে ।
Reviews
There are no reviews yet.