সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
তিন বন্দ্যোপাধ্যায়-উত্তর বাংলা কথাসাহিত্যে অন্যতম প্রধান স্বর, নিঃসন্দেহে, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্বাচিত দশটি উপন্যাস এখানে সংকলিত হয়েছে দুটি খণ্ডে।
₹400.00 ₹320.00
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
তিন বন্দ্যোপাধ্যায়-উত্তর বাংলা কথাসাহিত্যে অন্যতম প্রধান স্বর, নিঃসন্দেহে, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্বাচিত দশটি উপন্যাস এখানে সংকলিত হয়েছে দুটি খণ্ডে।
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
তিন বন্দ্যোপাধ্যায়-উত্তর বাংলা কথাসাহিত্যে অন্যতম প্রধান স্বর, নিঃসন্দেহে, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্বাচিত দশটি উপন্যাস এখানে সংকলিত হয়েছে দুটি খণ্ডে।
Only logged in customers who have purchased this product may leave a review.
অভিজিৎ চৌধুরী
কবি, গীতিকার, সমাজ সংস্কারক তথা নারীশিক্ষা প্রসারের অন্যতম অগ্রদূত মদনমোহন তর্কালঙ্কার ও তাঁর সময়-ঋদ্ধ এই আখ্যান। আখ্যানের কেন্দ্রবিন্দু মদনমোহন আর তাঁকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন কক্ষপেথ ভার্যা মুক্তকেশী, কন্যা ভুবনমালা-কুন্দমালা-হেমবালা, মা বিশ্বেশ্বরী দেবী, সুহৃদ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, বিটন সাহেব, রাজা রাধাকান্ত দেব, রামগোপাল ঘোষ প্রমুখ ঐতিহাসিক চরিত্রের পরিভ্রমণ। একদিকে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রথম আলো, অন্যদিকে মধ্যযুগীয় সংস্কারে অবরুদ্ধ হিন্দুসমাজ_ ইতিহাসের এই দ্বন্দ্বে দীর্ণ হতে হতে মদনমোহনের সাহিত্যসাধনা ও জীবনসংগ্রাম। লুপ্ত সেই সময়ের আঘ্রাণ আবার পাওয়া যাবে এই উপন্যাসের পাতায়। ঐতিহাসিক চরিত্রগুলির পাশাপাশি আলাদা করে নজর কাড়ে অন্য দুটি চরিত্র : বাচস্পতি খুড়ো ও তারাসুন্দরী। মদ্যপ বেশ্যাসক্ত, পরান্নভোজী, সংস্কৃত কলেজের লিপিকরের কর্ম থেকে বহিষ্কৃত বাচস্পতি খুড়ো অপূর্ব কণ্ঠসম্পদের অধিকারী। সত্তরোর্ধ্ব বাচস্পতির সঙ্গে রূপোপজীবনী তারাসুন্দরীর প্রণয় মধুমাসের আশ্বাসকে বিস্মৃত হতে দেয় না।
প্রভাতী ভট্টাচার্য
চট্টগ্রামের এক বর্ধিষ্ণু গ্রামে মামাবাড়িতে বিদ্যোৎসাহী দাদা-দিদিদের সঙ্গে বড়ো হয়ে উঠছিল রূপা। শিল্পোদ্যোগী পিতার সাহচর্য ও স্নেহ সেই মেয়েবেলায় এনে দিয়েছিল সোনালি রোদ্দুর। পিতার পথ ধরেই রূপা আপন করে নিয়েছিল সংগীত-সাহিত্য–শিল্পকলার বিমূর্ত জগতকে। দেশভাগ বদলে দিল তার ছন্দোময় জীবনের যাত্রাপথকে। সাগরপাড়ি দিয়ে রূপারা এল কলকাতায়। তারপর? প্রভাতী ভট্টাচার্যর এই প্রথম প্রকাশিত উপন্যাসে এক অদ্ভুত স্মৃতিমেদুর গদ্য আমাদের একাত্ম করে দেয় রূপার জীবনের সঙ্গে। তার জীবনযুদ্ধ হয়ে ওঠে আমাদেরই প্রতিদিন। আর সেই যাত্রাপথে রয়ে যায় সমসময়ের পদচিহ্ন। জীবনের এই জলছবি কখনো কখনো আবেগবিহ্বল আবার কখনো তা অশ্রুত কোনো রুদ্ধসংগীত।
শৈলেন ঘোষ
কল্পনার জাদুকলমে ছুঁয়ে যাওয়া শৈশব-কৈশোর। অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় ধরে যিনি ব্রতী থেকেছেন এ নির্মাণে, তিনি শৈলেন ঘোষ। তাঁর কাছেই প্রথম শুনতে পাওয়া পাখির টুই টুই, তাঁর সাথেই প্রথম তুর্কিনাচন আনন্দ বাজনায়, আজব বাঘের পিঠে চড়ে পাড়ি জমানো আজগুবির দেশে, যতক্ষণ-না দেখা মেলে মিতুল নামে পুতুলটির।
মুকুরদীপি রায়
কারগিল যুদ্ধের প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীর চিকিৎসক প্রমিতের সঙ্গে মণিদীপার প্রেম প্রস্ফুটিত হয়েও পূর্ণতা পায় না। কিন্তু শাশ্বত হয়ে রয়ে যায় তাদের মধ্যে বিনিমিত কিছু চিঠি, চিঠির ভেতরের আখ্যান আর জ্যোৎস্নার মতো রাতের আকাশে ভেসে বেড়ানো কয়েকটি শব্দ।
সংকলন ও ভূমিকা শৈলেন ঘোষ
উপেন্দ্রকিশোর রায়চেৌধুরী (১২মে ১৮৬৩_২৩ ডিসেম্বর ১৯১৫) : শিশুসাহিত্যিক, সম্পাদক, চিত্রকর, শিল্পী, সংগীতজ্ঞ, তথা মুদ্রণশিল্প বিশারদ উপেন্দ্রকিশোরের জন্ম অবিভক্ত বঙ্গের মসুয়া গ্রামের সুবিখ্যাত রায় (পূর্বতন ‘দেনা’ বা ‘দেও’) পরিবারে। পিতা কালীনাথ (শ্যামসুন্দর মুনশি) মাতা জয়তারা। কালীনাথ ও জন্মতারার পাঁচ পুত্র, তিন কন্যার মধ্যে উপেন্দ্রকিশোর ছিলেন মধ্যম। পিতৃদত্ত নাম কামদারঞ্জন। কামদা যখন চার বছেরর শিশু, কালীনাথের জ্ঞাতিভাই জমিদার হরিকিশোর রায়চৌধুরী তাকে দত্তক নেন। নামকরণ করেন উপেন্দ্রকিশোর। মায়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে এন্ট্রান্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে উপেন্দ্রকিশোর কলকাতায় এসে প্রেসিডেন্সি কলেজে ভরতি হন। কিন্তু বিএ পাস করেন ক্যালকাটা মেট্রোপলিটন ইনস্টিটিউট থেকে ১৮৮৪ সালে। পরের বছরই তাঁর বিবাহ হয় ব্রাহ্মনেতা দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের জ্যেষ্ঠা কন্যা বিধুমুখী দেবীর সঙ্গে। সুখলতা, সুকুমার, পুণ্যলতা, সুবিনয় ও শান্তিলতা_তিন কন্যা, দুই পুত্রকে নিয়ে ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে এক সুখের সংসার। মুখ্যত শিশুসাহিত্যকে কেন্দ্র করেই উপেন্দ্রকিশোরের সাহিত্যপ্রতিভার স্ফুরণ ও বিকাশ। কলেজে পড়তে পড়তেই ১৮৮৩ সালে শিশুদের পত্রিকা সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল প্রথম রচনা। পরবর্তীকালে তিনি লিখেছিলেন সখা ও সাথী, মুকুল প্রভৃতি পত্রিকাতেও। ১৮৮৫-এ প্রকাশিত হল তাঁর লেখা ছোটোদের রামায়ণ । ওই একই বছের তাঁর নিজস্ব মুদ্রণ সংস্থা U. Ray & Sons.-এর প্রতিষ্ঠা। এরপর একে একে বেরোল ছোটোদের মহাভারত, সেকালের কথা, টুনটুনির বই । ১৯১৩-য় নিজের সম্পাদনায় উপেন্দ্রকিশোর প্রকাশ করলেন ছোটোদের জন্য সচিত্র মাসিক পত্রিকা সন্দেশ, নিঃসন্দেহে যা তাঁর স্মরণীয়তম কীর্তি। এর দু-বছর আট মাস বাদে যখন তাঁর জীবনাবসান ঘটে, ততদিনে এ পত্রিকার ৩২টি সংখ্যা তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত। ২২নং সুকিয়া স্ট্রিটের বাড়ি থেকে গোড়ার দিকে সন্দেশ প্রকাশিত হয়। মুদ্রক ও প্রকাশক ছিলেন ললিতমোহন গুপ্ত। পত্রিকাটি মুদ্রিত হত ৬৪/১ নং সুকিয়া স্ট্রিটে অবস্থিত লক্ষ্মী প্রিন্টিং ওয়ার্কস থেকে। ছড়া, রূপকথা, লোককথা, ইতিহাস, পুরাণ, আবিষ্কারের গল্প কিংবা নিখাদ কল্পকাহিনি_ শিশুসাহিত্যের এমন কোনো শাখার কথাই ভাবা যায় না, যা উপেন্দ্রকিশোর লেখনীর জাদুস্পর্শে নবপ্রাণে সঞ্জীবিত হয়নি। ছোটোদের রামায়ণ থেকে শুরু করে তাঁর লেখা সব গ্রন্থগুলির বাংলা শিশুসাহিত্যের চিরায়ত সম্পদ। তেমনই তাঁর গুপি গাইন বাঘা বাইন, বোকা জোলা, ঘ্যাঁঘাসু প্রমুখ চরিত্র তাদের জন্মলগ্ন থেকে শুরু করে আজ অবধি অবিস্মরণীয়।
চঞ্চলকুমার ঘোষ
আজ থেকে প্রায় দেড় হাজার বছর আগে চিন থেকে ভারতের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছিলেন বৌদ্ধ সন্ন্যাসী হিউ-এন-সাঙ। উদ্দেশ্য ছিল বৌদ্ধশাস্ত্রে জ্ঞানার্জন করা। মহান সেই পরিব্রাজকের যাত্রাপথ ধরে মানসভ্রমণ করেছেন এ গ্রন্থের লেখক। রচনা করেছেন এমন এক উপন্যাস যেখানে একইসঙ্গে পথ চলা ভগবান বুদ্ধ এবং একালের ইতিহাসপ্রেমী তরুণ অমিতাভের।
সহস্রাধিক বছরের প্রেক্ষাপটে নির্মিত এই উপন্যাসে মিলেমিশে গেছে কল্পনা, ইতিহাস, দর্শন ও জীবন।
Reviews
There are no reviews yet.