ডিং ডং মাঝে মাঝে আজব ভাষায় কথা বলে। তার ভাষায় ‘মাকাটিলি’ মানে ‘লিপইয়ার’। স্কুলে আবৃত্তির পর সে বলল, ‘ইকিতানি’। এর মানে নাকি ‘নমস্কার’। টুপুরের জানলার ওপাশে বাতাবি লেবুর গাছে একটা পাখি এসে বসে। ওকে দেখলেই তার আর পড়ায় মন বসে না। যোগের বেলায় বিয়োগ করে বসে। বাবা একদিন মা-র কথায় দুটো লাঠিতে নিজের ছেঁড়া জামা গলিয়ে বানিয়ে দিলেন পাখিতাডুয়া। তারপর আর পাখিটা আসে না। টুপুরের মনটাই আর ভালো নেই। ঝিমলি আর কাকুর দুই ছেলে-মেয়ে টিটুল আর টিকলি। তাদের পুতুল খেলার রাজ্য ছাদে তার নাম ‘খেলাঘরপুর’। বড়োদের কী নিয়ে যেন কথা বন্ধ, তাই ওদের একসঙ্গে পুতুল খেলাও বারণ। এখন ওরা পুতুলগুলো কি নিজেরা ভাগ করে নেবে? এরকম উনিশটি গল্প নিয়ে এই বই। যারা সবে বই পড়তে শিখেছে বা যারা গড়গড়িয়ে পড়তে পারে, তাদের জন্যে গল্পগুলো লেখা। যারা বই পড়তেই পারে না এখনও, বড়োরা যাদের বই পড়ে শোনান, এই গল্পগুলো তাদের জন্যও।
₹60.00
পাতায় পাতায় গল্প – রতনতনু ঘাটী / PATAY PATAYA GALPO
ডিং ডং মাঝে মাঝে আজব ভাষায় কথা বলে। তার ভাষায় ‘মাকাটিলি’ মানে ‘লিপইয়ার’। স্কুলে আবৃত্তির পর সে বলল, ‘ইকিতানি’। এর মানে নাকি ‘নমস্কার’। টুপুরের জানলার ওপাশে বাতাবি লেবুর গাছে একটা পাখি এসে বসে। ওকে দেখলেই তার আর পড়ায় মন বসে না। যোগের বেলায় বিয়োগ করে বসে। বাবা একদিন মা-র কথায় দুটো লাঠিতে নিজের ছেঁড়া জামা গলিয়ে বানিয়ে দিলেন পাখিতাডুয়া। তারপর আর পাখিটা আসে না। টুপুরের মনটাই আর ভালো নেই। ঝিমলি আর কাকুর দুই ছেলে-মেয়ে টিটুল আর টিকলি। তাদের পুতুল খেলার রাজ্য ছাদে তার নাম ‘খেলাঘরপুর’। বড়োদের কী নিয়ে যেন কথা বন্ধ, তাই ওদের একসঙ্গে পুতুল খেলাও বারণ। এখন ওরা পুতুলগুলো কি নিজেরা ভাগ করে নেবে? এরকম উনিশটি গল্প নিয়ে এই বই। যারা সবে বই পড়তে শিখেছে বা যারা গড়গড়িয়ে পড়তে পারে, তাদের জন্যে গল্পগুলো লেখা। যারা বই পড়তেই পারে না এখনও, বড়োরা যাদের বই পড়ে শোনান, এই গল্পগুলো তাদের জন্যও।
Out of stock
Only logged in customers who have purchased this product may leave a review.
Related products
উপেন্দ্রকিশোরের সেরা সন্দেশ / Upendrakishorer Sera Sandesh
সংকলন ও ভূমিকা শৈলেন ঘোষ
উপেন্দ্রকিশোর রায়চেৌধুরী (১২মে ১৮৬৩_২৩ ডিসেম্বর ১৯১৫) : শিশুসাহিত্যিক, সম্পাদক, চিত্রকর, শিল্পী, সংগীতজ্ঞ, তথা মুদ্রণশিল্প বিশারদ উপেন্দ্রকিশোরের জন্ম অবিভক্ত বঙ্গের মসুয়া গ্রামের সুবিখ্যাত রায় (পূর্বতন ‘দেনা’ বা ‘দেও’) পরিবারে। পিতা কালীনাথ (শ্যামসুন্দর মুনশি) মাতা জয়তারা। কালীনাথ ও জন্মতারার পাঁচ পুত্র, তিন কন্যার মধ্যে উপেন্দ্রকিশোর ছিলেন মধ্যম। পিতৃদত্ত নাম কামদারঞ্জন। কামদা যখন চার বছেরর শিশু, কালীনাথের জ্ঞাতিভাই জমিদার হরিকিশোর রায়চৌধুরী তাকে দত্তক নেন। নামকরণ করেন উপেন্দ্রকিশোর। মায়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে এন্ট্রান্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে উপেন্দ্রকিশোর কলকাতায় এসে প্রেসিডেন্সি কলেজে ভরতি হন। কিন্তু বিএ পাস করেন ক্যালকাটা মেট্রোপলিটন ইনস্টিটিউট থেকে ১৮৮৪ সালে। পরের বছরই তাঁর বিবাহ হয় ব্রাহ্মনেতা দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের জ্যেষ্ঠা কন্যা বিধুমুখী দেবীর সঙ্গে। সুখলতা, সুকুমার, পুণ্যলতা, সুবিনয় ও শান্তিলতা_তিন কন্যা, দুই পুত্রকে নিয়ে ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে এক সুখের সংসার। মুখ্যত শিশুসাহিত্যকে কেন্দ্র করেই উপেন্দ্রকিশোরের সাহিত্যপ্রতিভার স্ফুরণ ও বিকাশ। কলেজে পড়তে পড়তেই ১৮৮৩ সালে শিশুদের পত্রিকা সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল প্রথম রচনা। পরবর্তীকালে তিনি লিখেছিলেন সখা ও সাথী, মুকুল প্রভৃতি পত্রিকাতেও। ১৮৮৫-এ প্রকাশিত হল তাঁর লেখা ছোটোদের রামায়ণ । ওই একই বছের তাঁর নিজস্ব মুদ্রণ সংস্থা U. Ray & Sons.-এর প্রতিষ্ঠা। এরপর একে একে বেরোল ছোটোদের মহাভারত, সেকালের কথা, টুনটুনির বই । ১৯১৩-য় নিজের সম্পাদনায় উপেন্দ্রকিশোর প্রকাশ করলেন ছোটোদের জন্য সচিত্র মাসিক পত্রিকা সন্দেশ, নিঃসন্দেহে যা তাঁর স্মরণীয়তম কীর্তি। এর দু-বছর আট মাস বাদে যখন তাঁর জীবনাবসান ঘটে, ততদিনে এ পত্রিকার ৩২টি সংখ্যা তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত। ২২নং সুকিয়া স্ট্রিটের বাড়ি থেকে গোড়ার দিকে সন্দেশ প্রকাশিত হয়। মুদ্রক ও প্রকাশক ছিলেন ললিতমোহন গুপ্ত। পত্রিকাটি মুদ্রিত হত ৬৪/১ নং সুকিয়া স্ট্রিটে অবস্থিত লক্ষ্মী প্রিন্টিং ওয়ার্কস থেকে। ছড়া, রূপকথা, লোককথা, ইতিহাস, পুরাণ, আবিষ্কারের গল্প কিংবা নিখাদ কল্পকাহিনি_ শিশুসাহিত্যের এমন কোনো শাখার কথাই ভাবা যায় না, যা উপেন্দ্রকিশোর লেখনীর জাদুস্পর্শে নবপ্রাণে সঞ্জীবিত হয়নি। ছোটোদের রামায়ণ থেকে শুরু করে তাঁর লেখা সব গ্রন্থগুলির বাংলা শিশুসাহিত্যের চিরায়ত সম্পদ। তেমনই তাঁর গুপি গাইন বাঘা বাইন, বোকা জোলা, ঘ্যাঁঘাসু প্রমুখ চরিত্র তাদের জন্মলগ্ন থেকে শুরু করে আজ অবধি অবিস্মরণীয়।
CHIRO KUASHAR DESHE / চির কুয়াশার দেশে
সৌম্য ভট্টাচার্য
দাদুর বাড়ির বাগানে পুকুর থেকে উঠে আসা একটা বুড়ো বটগাছ। জলের নীচে তার হাঁ-করা ফোকর গলে দুই বোন ডোরা আর ডোনা_তাদের দুই বন্ধু মিতুল ও নীলুর সঙ্গে_আচমকাই পৌঁছে যায় চির কুয়াশার এক দেশে। সর্বনেশে সে-দেশে অত্যাচারী মকররাজ খোক্কোসদের বিষাক্ত রাজ্যপাট কায়েম করে রেখেছে সেনাপতি কালাপাহাড়ের নির্মম অত্যাচার আর ন্যায়াধীশ শেয়ালপণ্ডিতের ধূর্ত কারসাজিতে। যক্ষপুরীতে গোপন কক্ষে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ তারাই বন্দি করে রাখে বাংলা মাকে।বাচ্চাদের ওপরেই পড়ে আবহমান বঙ্গের স্তন্যদায়িনী সেই মায়ের ভাঙা বুক জোড়া লাগানোর ভার। বাথুয়া_এক সুবিশাল রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার_সহায় হয় তাদের। সঙ্গী হয় লক্ষ্মীপ্যাঁচা সুষমা, সনাতন ভোঁদড়, কুমির-গিন্নি, ছুচোঁ, ইঁদুর, এমনকী বনের আর সব পশুপাখিও। কিন্তু ছোটো ছোটো এই চারটি ছেলে-মেয়ে কি পারবে মকররাজের পরাক্রান্ত সাম্রাজ্যের ভিত টলিয়ে দিতে? রবীন্দ্রনাথের রাখিসংগীতেই কি আছে সেই জাদুশক্তি যা চির কুয়াশাময়, হতাশ সে-দেশে নিয়ে আসবে আশার নতুন আলো? বাংলার চিরকালীন রূপকথা আর শিশুসাহিত্যের নির্যাস নিয়ে লেখা এক আশ্চর্য উপন্যাস, যা একইসঙ্গে ফ্যান্টাসি, স্যাটায়ার, আবার ব্যাপ্ত ক্যানভাসে আঁকা দুর্ধর্ষ, রুদ্ধশ্বাস অ্যাডভেঞ্চারও।
পঁচিশটি সেরা রহস্য / 25TEE SERA RAHASYA – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
নিপুর ঘরের খাটের তলায় আশ্চর্য একটা রহস্যময় ক্রিকেট বল, মধুপুরের ‘দীন কুটির’ নামের সেই বিশাল বাড়ি, নস্যির মতো রঙের বটুকদাদার কুকুর জিপসি, ঘোড়ায় চেপে রুগি দেখতে যাওয়া ভরত ডাক্তার, এমন সব রহস্যময় চরিত্রে ভরা তাঁর এই বইয়ের গল্পগুলি।
লোকমাতা সারদা / Lokamata Sarada
পুরঞ্জনপ্রসাদ চক্রবর্তী
এই গ্রন্থের মাধ্যমে শ্রীমা সারদাদেবীর অনবদ্য জীবনকাহিনি তরুণ-তরুণীদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার এটি একটি ক্ষুদ্র প্রয়াসমাত্র।
এখানে শ্রীমা সারদার অমূল্য উপদেশ ও বাণী এবং শ্রীমায়ের সান্নিধ্যে যাঁরা এসেছিলেন তাঁদের কয়েকজনের শ্রদ্ধাঞ্জলিও সংযোজিত হয়েছে।
স্বপ্নের রাজবাড়ি / Swapner Rajbari
রতনতনু ঘাটী
নদীতে ভেসে আসা ফুলপাতায় মাকে খুঁজে চলা এক ভ্যাবলা ছেলে, উপাসনার স্বপ্নে দেখা রূপকথার মতো একটা রাজবাড়ি, লাল শালুক আর সাদা শালুকের গাছ লাগিয়ে চলা ঝুমনি নামের মেয়েটি, নৌকোয় পাল তুলে পুলিপিঠেদের সঙ্গে চড়ুইভাতিতে যাওয়ার ইচ্ছেময়ী টুপুর, কথাবলা পাখি-দ্বীপের আশ্চর্য মেয়ে দ্বীপ-কুমারী, হলদে পাখিতাড়ুয়া নয়ন, রামধনু-পাগল পরান, কাঁকনের মামারবাড়ি পলাশপুরের মানুষের শেষ সিত্যি–পরি দেখার গল্পে ভরা এ বই। নতুন দিনের জন্য লেখা এ এক মন-ভালো করা নতুন রূপকথা।
Reviews
There are no reviews yet.