Dr. Jagadis Gan-Chaudhuri
This book is a rigorous study of the history of Tripura within the demographic, political and socio-economic contexts of the period studied (642 to 1949).
₹400.00
Dr. Jagadis Gan-Chaudhuri
This book is a rigorous study of the history of Tripura within the demographic, political and socio-economic contexts of the period studied (642 to 1949).
Dr. Jagadis Gan-Chaudhuri
This book is a rigorous study of the history of Tripura within the demographic, political and socio-economic contexts of the period studied (642 to 1949).
Only logged in customers who have purchased this product may leave a review.
সতীপতি ভট্টাচার্য
শেকসপিয়রের মতোই দুর্জ্ঞেয়, রহস্যময় ও কুয়াশাবৃত কালিদাসের জীবন। তাঁর জন্ম খ্রিস্টপূর্ব প্রথম শতকে, নাকি খ্রিস্টীয় ষষ্ঠ শতকে_এ নিয়ে পণ্ডিতদের মধ্যে বিতর্ক আছে। যা নিয়ে বিতর্ক নেই, তা হল শতাব্দীর পর শতাব্দী পেরিয়েও তাঁর অবিসংবাদী জনপ্রিয়তা। কীভাবে কোনো মহাকবি লোককবিতে রূপান্তরিত হয়ে ওঠেন, কী অন্যন্য পারম্পর্যে তাঁকে নিয়ে গড়ে ওঠে শত সহস্র কিংবদন্তী, কালিদাস অথবা কালিদাস-মিথ তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। তবে অভিজ্ঞানশকুন্তলম্, বিক্রমোর্ব্বশীয়ম্, মালবিকাগ্নিমিত্রম্ প্রভৃতি নাটকের রচয়িতা যিনি, তাঁর কলম থেকে উৎসারিত রঘুবংশ ও কুমারসম্ভব-এর মতো মহাকাব্য এবং মেঘদূত এবং কুমারসম্ভব-এর মতো মহাকাব্য এবং মেঘদূত ও ঋতুসংহার-এর মতো খণ্ডকাব্য, বাল্মিকী-ব্যাসের পর তিনিই যে শ্রেষ্ঠ ভারতীয় কবি তথা নাট্যকার, এ বিষয়ে প্রায় সকলেই নিঃসংশয়। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কালিদাস সম্পর্কিত কিংবদন্তী ও লোককাহিনিগুলিকে একত্রিত করে রচিত এই গ্রন্থ প্রকাশিত হয় ১৯৩০ সালে। বাঙালির কালিদাস-চর্চায় যে আবেগ ও অনুরাগ পরিলক্ষিত হয়, মহাকবি কালিদাসের ইতিহাস সেই ঐতিহ্যেরই নির্ভীক অনুসারী।
অমলেন্দু দে
পলাশির যুদ্ধে হারিয়ে যাওয়া কয়েকটি তথ্যের অনুসন্ধানে দীর্ঘকাল ব্যাপৃত ছিলেন অধ্যাপক অমলেন্দু দে। এই যু্দ্ধ- সংক্রান্ত ভারতীয় ও বিদেশি লেখকদের মূল্যবান গ্রন্থসমূহ এবং সরকার কর্তৃক সংরক্ষিত নথিপত্রেও সেগুলির সন্ধান না পাওয়ায় তিনি আঠারো শতকের পারিবারিক কাগজপত্র অনুসন্ধান করতে থাকেন। অধ্যাপক দে বিশেষ নজর দেন সেইসব জমিদার পরিবারের নথিপত্রে, যাঁরা ১৭৫৭ কিংবা ১৭৫৮ সালে দত্তক পুত্র গ্রহণ করেছিলেন। ময়মনসিংহের জমিদার পরিবারের সঙ্গে বাংলার নবাবদের সুসম্পর্ক ছিল। অধ্যাপক দে ময়মনসিংহের ইতিহাস গ্রন্থে এমন কিছু তথ্য পান, যার সূত্র ধরে তিনি খোঁজ পেয়ে যান ইতিহাসে অনু্ল্লেখিত সিরাজউদদৌলার পুত্রের। সিরাজের সন্তান এই জমিদার পরিবারেই দত্তক পুত্র হিসেবে গৃহীত হয়েছিলেন। সিরাজের অন্যতম সেনানায়ক মোহনলাল ছিলেন সিরাজের স্ত্রী আলেয়ার দাদা। ধর্মান্তরিত হওয়ার আগে আলোয়ার নাম ছিল হীরা। সিরাজ ও হীরার এই পুত্রকে নিয়ে মোহনলাল যু্দ্ধক্ষেত্র থেকে ২৩ জুন (১৭৫৭ সাল) পালিয়ে চলে যান ময়মনসিংহ। তারপর সেখানকার জমিদার পরিবারে তাঁর আপন ভাগিনেয়কে দত্তক নেওয়ার ব্যবস্থা করেন। এই দত্তক পুত্রের নাম হল যুগলকিশোর রায়চৌধুরী। যেভাবে একের পর এক নবলব্ধ তথ্যের সাহায্যে সিরাজের পুত্র ও বংশধরদের অজানা ইতিহাস এ গ্রন্থে উন্মোচিত হয়েছে, তা এককথায় অনবদ্য। প্রসঙ্গত, মোহনলাল সম্পর্কে অধ্যাপক দে যে-সকল অজানা তথ্য সংগ্রহ করেছেন, তার ঐতিহাসিক মূল্য অনস্বীকার্য। সব মিলিয়ে, পলাশির যুদ্ধের ইতিহাস ও তাৎপর্য আলোচনায় এই গ্রন্থ এক মহামূল্যবান সংযোজন।
বারিদবরণ ঘোষ
ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদীদের হাত থেকে স্বদেশকে উদ্ধার করে স্বাধীনতা অর্জনের সূচনাপর্বে যাঁরা আত্মোৎসর্গ করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে অগ্রগণ্য ক্ষুদিরাম বসু। বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলন সবেমাত্র সংগঠিত হয়েছে, সহিংস বা অহিংস আন্দোলনের রূপরেখা তখনও অঙ্কিত হয়নি, কিন্তু দেশকে মুক্ত করার একটা স্বপ্ন তরুণ বাঙালিরা দেখছিলেন। এ কাজে জীবন তাঁদের কাছে পায়ের ভৃত্য হয়েছিল, মৃত্যু হয়েছিল বরণীয়। সংশপ্তকের প্রতিজ্ঞা নিয়ে এঁরা গোপনে গোপনে দেশমন্ত্রে উদবুদ্ধ হয়েছিলেন। সেই মন্ত্রই ক্ষুদিরাম-প্রফুল্ল চাকী-কানাইলালদের জাগিয়ে দিয়েছিল। সেই জাগরণী মন্ত্রে দীক্ষিত ক্ষুদিরাম সঙ্গী প্রফুল্ল চাকীকে নিয়ে দূর মজঃফরপুরে ব্রিটিশ শাসনযন্ত্রের এক অপরাধীকে হত্যা করার জন্য ছদ্মনামে গিয়েছিলেন। শৈশবোচিত একটা ভুলের শিকার হয়ে তাঁরা লক্ষ্যভ্রষ্ট হন। পরিণামে প্রফুল্লের আত্মহত্যা আর ক্ষুদিরামের ফাঁসি_যে ফাঁসির যন্ত্রণা দেশকে আবার উদ্দীপনাময় করে তুলেছিল, বিকল হতে বসেছিল সমগ্র ব্রিটিশ নিপীড়নযন্ত্র। এ-বই সেই জাগরণী মন্ত্র, নিপীড়ন ও আত্মোৎসর্গের এক মহান কাহিনি।
গোপালচন্দ্র রায়
শ্রীকান্তের ইন্দ্রনাথ। ইন্দ্র। সে কি কথাশিল্পীর কপোলকল্পনা? নাকি রক্তমাংসের কোনো বাস্তব চরিত্র? এই প্রশ্নই একদা জিজ্ঞাসু করে তুলেছিল যাঁকে, তিনি গোপালচন্দ্র রায়। শরৎচন্দ্রের প্রামাণ্য এই জীবনীকার ইন্দ্রনাথের খোঁজে পৌঁছে গেছেন ভাগলপুরে। কথাশিল্পীর মাতুলালয় ও তার সন্নিহিত অঞ্চলে পাড়া-প্রতিবেশীদের কাছ থেকে তিনি সংগ্রহ করেছেন সত্যিকারের ইন্দ্রনাথ অর্থাৎ রাজুর সাহস, বীরত্ব এবং কীর্তিকলাপের কাহিনি। সাহিত্যের সঙ্গে বাস্তবের সম্পর্ক যে কী অমোঘ, কী অনিবার্য, তা আরও একবার মূর্ত হয়ে উঠল লেখকের গবেষণাধর্মী অনুসন্ধানে। শরৎচন্দ্রের ছেলেবেলার গল্প গ্রন্থের অন্তর্গত লালু বিষয়ক তিনটি গল্পও সংযোজিত হয়েছে এই সংকলনে। কারণ, লালুর গল্প হলেও এগুলি আসলে ইন্দ্রনাথ ওরফে রাজুরই কাহিনি।
Reviews
There are no reviews yet.