নির্বাচিত রচনা-সম্ভার
ড. নির্মল দাশ
‘বহুব্রীহি’ শব্দের অর্থ যার বা যাতে বহু ব্রীহি (= ধান > ফসল) আছে। এই রচনা-সম্ভারে লেখকের কিছু চিন্তার ফসল সঞ্চিত আছে। তাই গ্রন্থনাম ‘বহুব্রীহি’।
₹200.00 ₹140.00
নির্বাচিত রচনা-সম্ভার
ড. নির্মল দাশ
‘বহুব্রীহি’ শব্দের অর্থ যার বা যাতে বহু ব্রীহি (= ধান > ফসল) আছে। এই রচনা-সম্ভারে লেখকের কিছু চিন্তার ফসল সঞ্চিত আছে। তাই গ্রন্থনাম ‘বহুব্রীহি’।
নির্বাচিত রচনা-সম্ভার
ড. নির্মল দাশ
‘বহুব্রীহি’ শব্দের অর্থ যার বা যাতে বহু ব্রীহি (= ধান > ফসল) আছে। এই রচনা-সম্ভারে লেখকের কিছু চিন্তার ফসল সঞ্চিত আছে। তাই গ্রন্থনাম ‘বহুব্রীহি’।
সম্ভবত পৃথিবীর মানুষকে দু-ভাগে ভাগ করা যায়। এক যারা প্যারিস দেখেছে; দুই যারা প্যরিস দেখেনি। সম্ভবত পৃথিবীর সব কবিকেও দু-ভাগে ভাগ করা যায়। এক যাদের মাতৃভূমি শুধু তাদের নিজেরই দেশ: দুই যাদের মাতৃভূমি তাদের নিজের দেশ ছাড়াও তার একটি শহর_ প্যারিস। ইতিহাসে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকার মতন শহর প্যারিস নয়, উলটে ইতিহাসই এখানে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকে। এখানে কেউ নারীর হাত ধরে প্রবিষ্ট হয়ে অবশেষে কবিতা, শিল্প কিংবা দর্শনের হাত মুঠো করে ধরে নিষ্ক্রান্ত হয়। আবার কেউ কবিতা, শিল্প বা দর্শনের হাত পাকড়ে ঢোকে এবং বার হয় নারীর আঁচল আঁকড়ে। প্যারিস নারীর মতন টানে, প্যারিসের নারীরা নিয়তির মতন টানে। আর সেই টানে। আর সেই টানে অভিমন্যুর মতো চক্রব্যূহে প্রবিষ্ট লেখক আর নিষ্ক্রান্ত হতে পারেন না কুহকিনী এ শহরের মায়াজাল থেকে। প্যারিস তাই তাঁর কাছে সতেরোশো উননব্বই-এর লঁসিয়ঁ রেজি্ম, য়ুগো, কিংবা মালার্মের লিতেরাচুর, দেরিদার অবিনির্মাণ, পাস্কালের হৃদয়ের যুক্তি, গোদার-কে বোঝার বৃথা চেষ্টা, ক্রফোর ফ্রিজ শট, পোলানস্কির, জীবনসিনেমা, ব্রিজিং বার্ডোর লাস্য, কামুর ফুটবল, পারফিউমের সুগন্ধ, কনিয়াকের ঘ্রাণ আর রাতের আলো-আধারিতে উদ্দাম স্ট্রিপটিজ্। কাল থেকে শুরু হয়ে আজ ছুঁয়ে প্যারিস প্রবহমান আগামী কালে। চিরযৌবনা এ নগরীর শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও মননের মায়াবী রূপকথা প্যারিসপ্রেমিক লেখকের কলমে।
মানুষ হাসতে ভালোবাসে। সেই যে কথায় বলে—আট থেকে আশি, দুঃখ ভুলে হাসি। তাই গোটা পৃথিবী জুড়ে দীর্ঘকাল ধরে লেখা হয়ে আসছে হাসির গল্প, উপন্যাস, ছড়া, কবিতা। শুধু সাহিত্যই নয়, হাসির সিনেমাও কম তৈরি হয়নি। রবীন্দ্রনাথ তাঁর ‘ছিন্নপত্রাবলী’-তে ৪৭ নম্বর পত্রে লিখেছেন, হাস্যরস প্রাচীনকালের ব্রহ্মাস্ত্রের মতো, যে ওর প্রয়োগ জানে সে ওকে নিয়ে একেবারে কুরুক্ষেত্র বাঁধিয়ে দিতে পারে—আর যে হতভাগ্য ছুড়তে জানে না অথচ নাড়তে যায়, তার বেলায় বিমুখ ব্রহ্মাস্ত্র আসি অস্ত্রীরেই বধে, হাস্যরস তাকেই হাস্যজনক করে তোলে। হাসির আবার রকমফেরও তো কম নেই—মিচকে হাসি, খিকখিক হাসি, হা হা হাসি, হো হো হাসি—আরও কত! আমরা দৈনন্দিন জীবনের সমস্যার টানাপোড়েনে অনেকেই হাসতে ভুলে গেছি। তাই আমরা পাঠকদের মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলতে আয়োজন করেছি পঁচিশটি হাসির গল্পের এই সংকলন। শিবরাম চক্রবর্তী, হিমানীশ গোস্বামী, সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় বা তারাপদ রায়ের হাসির গল্পের সঙ্গে গ্রথিত করেছি একালের নবীন কথাকারদেরও হাসির গল্প।
বুদ্ধদেব গুহ
কর্মজীবন থেকে সেমি-রিটায়ার্ড গৌতমনারায়ণ ধৃতির সঙ্গে এসেছেন চম্পাঝরনের বনবাংলোতে। একদিকে অনির্বচনীয় নৈসর্গিক সৌন্দর্য, অন্যদিকে নারীশরীরের নিষিদ্ধ আঘ্রাণ_এ আসলে আত্মানুসন্ধানী গৌতমনারায়ণের অন্য এক আরণ্যক নির্বাসন। একসময়ের দুর্ধর্ষ শিকারি এই মানুষটি নারীর হৃদয়শিকারেও সমদক্ষতার অধিকারী। শরীরের সংস্কারও তাঁর নেই। শুধু অ্যানজিওপ্লাস্টি হওয়ার পর থেকে বেপরোয়া অ্যাডভেঞ্চারের ঝোঁক হয়তো সংবৃত হয়েছে কিয়দংশ। সাতপুরা পর্বতমালার পটভূমিতে, ন্যারোগেজ রেললাইন পেরিয়ে, প্রাচীন মহুয়া গাছের আশ্রয়ে, টিটিপাখির ডাক শুনতে শুনতে মহারাষ্ট্রের এই অভয়ারণ্যে গৌতমনারায়ণ আত্মস্থ করছেন তাঁর মোহিনী, সুন্দরী পরিপার্শ্বকে। কিন্তু সুন্দরের মধ্যেই লুকিয়ে থাকে অপ্রত্যাশিত কোনো ভয়ংকর। অষ্টমীর চাঁদের আলোকেও স্নান করে তীব্র আলোর ঝলকানি জঙ্গল চিরে কাদের যেন খুঁজতে থাকে। কী হল গৌতমনারায়ণের? ধৃতির সঙ্গে তাঁর বন্ধুতা কি কোনও পূর্ণতা পেল? নাকি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়ছে যারা, তিনি জড়িয়ে পড়লেন তাদের সঙ্গে আকস্মিক কোনো সংঘর্ষে? জানতে গেলে পড়তে হবে পাহাড়ি ঝরনার মতো উচ্ছলিত, অসমবয়সী প্রেমের এই অনুপম উপন্যাস।
প্রভাতী ভট্টাচার্য
চট্টগ্রামের এক বর্ধিষ্ণু গ্রামে মামাবাড়িতে বিদ্যোৎসাহী দাদা-দিদিদের সঙ্গে বড়ো হয়ে উঠছিল রূপা। শিল্পোদ্যোগী পিতার সাহচর্য ও স্নেহ সেই মেয়েবেলায় এনে দিয়েছিল সোনালি রোদ্দুর। পিতার পথ ধরেই রূপা আপন করে নিয়েছিল সংগীত-সাহিত্য–শিল্পকলার বিমূর্ত জগতকে। দেশভাগ বদলে দিল তার ছন্দোময় জীবনের যাত্রাপথকে। সাগরপাড়ি দিয়ে রূপারা এল কলকাতায়। তারপর? প্রভাতী ভট্টাচার্যর এই প্রথম প্রকাশিত উপন্যাসে এক অদ্ভুত স্মৃতিমেদুর গদ্য আমাদের একাত্ম করে দেয় রূপার জীবনের সঙ্গে। তার জীবনযুদ্ধ হয়ে ওঠে আমাদেরই প্রতিদিন। আর সেই যাত্রাপথে রয়ে যায় সমসময়ের পদচিহ্ন। জীবনের এই জলছবি কখনো কখনো আবেগবিহ্বল আবার কখনো তা অশ্রুত কোনো রুদ্ধসংগীত।
দেবাশিস বসু
গভীর স্বদেশানুরাগ, অন্তহীন দানশীলতা আর স্বাজাত্যবোধ এঁদের একজনকে করেছিল ‘দেশবন্ধু’। ইংরেজ সৈন্যের চালানো গুলি আর একজন নিয়েছিলেন বুক পেতে_মেদিনীপুরের অগ্নিকন্যা তিনি। প্রথমে বিপ্লবী, পরে ঋষিরূপে ভারতাত্মার বাণীমূর্তি হয়ে উঠলেন আর একজন। প্রথমে ছুরি হাতে বাঘ, পরে মাউজার পিস্তল হাতে ব্রিটিশের মোকাবিলা করল এক অকুতোভয় বাঙালি যুবক। শিবাজির মতো পোশাক বদলে বদলে পরাক্রান্ত ইংরেজরাজের প্রতিস্পর্ধী এক রণবাহিনী গড়ে তুললেন জনৈক ‘লীলাবতী’। বন্দে মাতরম্ মন্ত্র উচ্চারণ করে ফাঁসির দড়ি গলায় পরে নিল আঠেরো বছরের এক অদম্য কিশোর। সুদূর চট্টগ্রামে ব্রিটিশ সেনার অস্ত্রাগার লুঠ করে স্বাধীন জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করলেন এক শিক্ষক। পটাশিয়াম সায়নাইড খেয়ে আত্মোৎসর্গ করল তাঁর আদর্শে অনু্প্রাণিত এক ছাত্রী। জার্মানি থেকে জাপান-মালয়েশিয়া-ব্রহ্মদেশ হয়ে আর একজন যাত্রা করলেন পশ্চিমে। লক্ষ্য দিল্লি। জয় হিন্দ্ ধ্বনিতে প্রথম মুখরিত হল ভারতের আকাশ-বাতাস। রাইটার্স বিল্ডিং-এর অলিন্দে বন্দুকের লড়াইয়ে ব্রিটিশ সিংহের ঘুম কেড়ে নিল তিন যুবক। কার্জনের বঙ্গভঙ্গ আইনের বিরুদ্ধে বাঙালিকে ঐক্যবদ্ধ করতে নিরলস প্রচেষ্টা এক সম্পাদক। আর স্বাধীনতার স্বপ্ন চোখে নিয়ে টানা তেষট্টি দিন অনশনের পর প্রাণবিসর্জন দিলেন আর এক বাঙালি যুবক। দু-মলাটের মধ্যে ধরা রইল এরকম বারোটি জীবন, যা মানবজীবনের সমস্ত সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করে হয়ে উঠেছে মহাজীবন। বাংলার বিপ্লবীদের অগ্নিবর্ষী সেই দিনগুলির গল্প-কথায় আমরা খুঁজতে চেয়েছি স্বাধীনতার মানে।
বাসুদেব মোশেল
মোগল যুগের বর্ণময় ইতিহাসের কথা সকলেই জানি। মোগলরা কোন প্রকৃতির শাসক ছিলেন তাও আমাদের অজানা নয়। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না_তাঁদের প্রাত্যহিক জীবনের সাতকাহন। তাঁদের ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ তো ছিলই, সেই সঙ্গে ছিল তাঁদের নানারকমের জীবনপরিচর্যার ব্যাপার-স্যাপার। কেমন ছিল তাঁদের খাওয়া-দাওয়া, চলাফেরা, শিকার যাত্রা, হাতি-ঘোড়া ও গোরুর খাওয়া-দাওয়ার খাইখরচা। খুনোখুনিতেও তাঁদের ভয়ডর ছিল না, অসুখবিসুখেও যে চিকিৎসার ব্যবস্থা ছিল_তা জানতে লেখকের প্রয়াস ধরা পড়েছে লেখার সঙ্গে ছবির আশ্চর্য সম্মিলনে।
Reviews
There are no reviews yet.