মোট্ ১৬টি প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথের নানা মানসিকতার প্রতিফলন আলোচ্য গ্রন্থে সংলগ্ন ।
.
Subtotal : ₹2,332.25
₹150.00 ₹120.00
মোট্ ১৬টি প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথের নানা মানসিকতার প্রতিফলন আলোচ্য গ্রন্থে সংলগ্ন ।
THIS IS A STORY BOOK.
THIS IS A POETRY BOOK.
মোট্ ১৬টি প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথের নানা মানসিকতার প্রতিফলন আলোচ্য গ্রন্থে সংলগ্ন ।
.
Only logged in customers who have purchased this product may leave a review.
সংকলন ও ভূমিকা শৈলেন ঘোষ
উপেন্দ্রকিশোর রায়চেৌধুরী (১২মে ১৮৬৩_২৩ ডিসেম্বর ১৯১৫) : শিশুসাহিত্যিক, সম্পাদক, চিত্রকর, শিল্পী, সংগীতজ্ঞ, তথা মুদ্রণশিল্প বিশারদ উপেন্দ্রকিশোরের জন্ম অবিভক্ত বঙ্গের মসুয়া গ্রামের সুবিখ্যাত রায় (পূর্বতন ‘দেনা’ বা ‘দেও’) পরিবারে। পিতা কালীনাথ (শ্যামসুন্দর মুনশি) মাতা জয়তারা। কালীনাথ ও জন্মতারার পাঁচ পুত্র, তিন কন্যার মধ্যে উপেন্দ্রকিশোর ছিলেন মধ্যম। পিতৃদত্ত নাম কামদারঞ্জন। কামদা যখন চার বছেরর শিশু, কালীনাথের জ্ঞাতিভাই জমিদার হরিকিশোর রায়চৌধুরী তাকে দত্তক নেন। নামকরণ করেন উপেন্দ্রকিশোর। মায়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে এন্ট্রান্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে উপেন্দ্রকিশোর কলকাতায় এসে প্রেসিডেন্সি কলেজে ভরতি হন। কিন্তু বিএ পাস করেন ক্যালকাটা মেট্রোপলিটন ইনস্টিটিউট থেকে ১৮৮৪ সালে। পরের বছরই তাঁর বিবাহ হয় ব্রাহ্মনেতা দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের জ্যেষ্ঠা কন্যা বিধুমুখী দেবীর সঙ্গে। সুখলতা, সুকুমার, পুণ্যলতা, সুবিনয় ও শান্তিলতা_তিন কন্যা, দুই পুত্রকে নিয়ে ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে এক সুখের সংসার। মুখ্যত শিশুসাহিত্যকে কেন্দ্র করেই উপেন্দ্রকিশোরের সাহিত্যপ্রতিভার স্ফুরণ ও বিকাশ। কলেজে পড়তে পড়তেই ১৮৮৩ সালে শিশুদের পত্রিকা সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল প্রথম রচনা। পরবর্তীকালে তিনি লিখেছিলেন সখা ও সাথী, মুকুল প্রভৃতি পত্রিকাতেও। ১৮৮৫-এ প্রকাশিত হল তাঁর লেখা ছোটোদের রামায়ণ । ওই একই বছের তাঁর নিজস্ব মুদ্রণ সংস্থা U. Ray & Sons.-এর প্রতিষ্ঠা। এরপর একে একে বেরোল ছোটোদের মহাভারত, সেকালের কথা, টুনটুনির বই । ১৯১৩-য় নিজের সম্পাদনায় উপেন্দ্রকিশোর প্রকাশ করলেন ছোটোদের জন্য সচিত্র মাসিক পত্রিকা সন্দেশ, নিঃসন্দেহে যা তাঁর স্মরণীয়তম কীর্তি। এর দু-বছর আট মাস বাদে যখন তাঁর জীবনাবসান ঘটে, ততদিনে এ পত্রিকার ৩২টি সংখ্যা তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত। ২২নং সুকিয়া স্ট্রিটের বাড়ি থেকে গোড়ার দিকে সন্দেশ প্রকাশিত হয়। মুদ্রক ও প্রকাশক ছিলেন ললিতমোহন গুপ্ত। পত্রিকাটি মুদ্রিত হত ৬৪/১ নং সুকিয়া স্ট্রিটে অবস্থিত লক্ষ্মী প্রিন্টিং ওয়ার্কস থেকে। ছড়া, রূপকথা, লোককথা, ইতিহাস, পুরাণ, আবিষ্কারের গল্প কিংবা নিখাদ কল্পকাহিনি_ শিশুসাহিত্যের এমন কোনো শাখার কথাই ভাবা যায় না, যা উপেন্দ্রকিশোর লেখনীর জাদুস্পর্শে নবপ্রাণে সঞ্জীবিত হয়নি। ছোটোদের রামায়ণ থেকে শুরু করে তাঁর লেখা সব গ্রন্থগুলির বাংলা শিশুসাহিত্যের চিরায়ত সম্পদ। তেমনই তাঁর গুপি গাইন বাঘা বাইন, বোকা জোলা, ঘ্যাঁঘাসু প্রমুখ চরিত্র তাদের জন্মলগ্ন থেকে শুরু করে আজ অবধি অবিস্মরণীয়।
খনিগর্ভে অনেক মূল্যবান রত্ন বা পাথর পাওয়া যায়। খুঁজলে তবেই পাওয়া যায় সেইসব পাথর। অনেকটা ওই ‘উড়াইয়া দ্যাখো ছাই, পাইলেও পাইতে পারো অমূল্য রতন’। সেই সত্যকে আমরা সহজে দেখতে পাই না। কে কিভাবে খুঁজবেন, তা তাঁর ব্যাপার। |
ঔপন্যাসিক স্বয়ং যখন চয়ন করে নেন তাঁর উপন্যাসমালার এক-একটি আখ্যান, তখন নিশ্চিতভাবেই সেই নির্বাচনের পিছনে কোনো–না-কোনো অভিপ্রায় কাজ করে। ‘শ্রীবুদ্ধদেব গুহর স্বনির্বাচিত উপন্যাস’ (প্রথম খণ্ড) আমাদের বিস্ময় উদ্রেক করেছিল। সাতটি উপন্যাস নিয়ে শুরু হয়েছিল যে-সিরিজ, তাঁর দ্বিতীয় খণ্ডে এসে রচিত হয় এমন এক জীবন যে- জীবনকে ঘিরে এমন এক বহুমাত্রিক আখ্যান, যার সহস্র দ্বার অবারিত। উপন্যাসের এই সহস্র দুয়ার দিয়ে পাঠক পরিভ্রমণ করেন কথাসাহিত্যের ভুবনে।
বুদ্ধদেব গুহ
কর্মজীবন থেকে সেমি-রিটায়ার্ড গৌতমনারায়ণ ধৃতির সঙ্গে এসেছেন চম্পাঝরনের বনবাংলোতে। একদিকে অনির্বচনীয় নৈসর্গিক সৌন্দর্য, অন্যদিকে নারীশরীরের নিষিদ্ধ আঘ্রাণ_এ আসলে আত্মানুসন্ধানী গৌতমনারায়ণের অন্য এক আরণ্যক নির্বাসন। একসময়ের দুর্ধর্ষ শিকারি এই মানুষটি নারীর হৃদয়শিকারেও সমদক্ষতার অধিকারী। শরীরের সংস্কারও তাঁর নেই। শুধু অ্যানজিওপ্লাস্টি হওয়ার পর থেকে বেপরোয়া অ্যাডভেঞ্চারের ঝোঁক হয়তো সংবৃত হয়েছে কিয়দংশ। সাতপুরা পর্বতমালার পটভূমিতে, ন্যারোগেজ রেললাইন পেরিয়ে, প্রাচীন মহুয়া গাছের আশ্রয়ে, টিটিপাখির ডাক শুনতে শুনতে মহারাষ্ট্রের এই অভয়ারণ্যে গৌতমনারায়ণ আত্মস্থ করছেন তাঁর মোহিনী, সুন্দরী পরিপার্শ্বকে। কিন্তু সুন্দরের মধ্যেই লুকিয়ে থাকে অপ্রত্যাশিত কোনো ভয়ংকর। অষ্টমীর চাঁদের আলোকেও স্নান করে তীব্র আলোর ঝলকানি জঙ্গল চিরে কাদের যেন খুঁজতে থাকে। কী হল গৌতমনারায়ণের? ধৃতির সঙ্গে তাঁর বন্ধুতা কি কোনও পূর্ণতা পেল? নাকি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়ছে যারা, তিনি জড়িয়ে পড়লেন তাদের সঙ্গে আকস্মিক কোনো সংঘর্ষে? জানতে গেলে পড়তে হবে পাহাড়ি ঝরনার মতো উচ্ছলিত, অসমবয়সী প্রেমের এই অনুপম উপন্যাস।
চঞ্চলকুমার ঘোষ
শুধুই চিড়িয়াখানার জীবজন্তুদের জীবনের আশ্চর্য এক জগৎ নয়, এই উপন্যাসে ভেসে উঠেছে বিচিত্র মানুষের বৈচিত্র্যময় জীবনকথা।
প্রভাতী ভট্টাচার্য
চট্টগ্রামের এক বর্ধিষ্ণু গ্রামে মামাবাড়িতে বিদ্যোৎসাহী দাদা-দিদিদের সঙ্গে বড়ো হয়ে উঠছিল রূপা। শিল্পোদ্যোগী পিতার সাহচর্য ও স্নেহ সেই মেয়েবেলায় এনে দিয়েছিল সোনালি রোদ্দুর। পিতার পথ ধরেই রূপা আপন করে নিয়েছিল সংগীত-সাহিত্য–শিল্পকলার বিমূর্ত জগতকে। দেশভাগ বদলে দিল তার ছন্দোময় জীবনের যাত্রাপথকে। সাগরপাড়ি দিয়ে রূপারা এল কলকাতায়। তারপর? প্রভাতী ভট্টাচার্যর এই প্রথম প্রকাশিত উপন্যাসে এক অদ্ভুত স্মৃতিমেদুর গদ্য আমাদের একাত্ম করে দেয় রূপার জীবনের সঙ্গে। তার জীবনযুদ্ধ হয়ে ওঠে আমাদেরই প্রতিদিন। আর সেই যাত্রাপথে রয়ে যায় সমসময়ের পদচিহ্ন। জীবনের এই জলছবি কখনো কখনো আবেগবিহ্বল আবার কখনো তা অশ্রুত কোনো রুদ্ধসংগীত।
Reviews
There are no reviews yet.