‘পথের পাঁচালী’ উপন্যাসের শিশু-কিশোরপাঠ্য সংস্করণের নামই আম-আঁটির ভেঁপু । ৩৫টি পরিচ্ছদের এই উপন্যাস ব্যঞ্জনাময় ৩টি অঙ্কে (বল্লালী-বালাই, আম-আঁটির ভেঁপু ও অত্রূর সংবাদ বিভক্ত)। অনেক পরে বিভূতিভূষণ যখন ‘পথের পাঁচালী’-র একটি কিশোর সংস্করণের কথা ভাবেন, তখন উপন্যাসের মধ্যম অঙ্ক নিয়ে ১৯টি অধ্যায়ে পুনর্নির্মাণ করেন মূল উপন্যাসকে। এভাবেই ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ জন্ম নেয়। শিশু-কিশোরদের বোধগম্যতার জন্য বিভূতিভূষণ একদিকে যেমন অনেক শব্দের পরিবর্তন ও সংযোজন ঘটান, তেমনই অন্যদিকে অপরিবির্তিত রাখেন মূল উপন্যাসের সাধুভাষাকে। আমরা বিভূতিভূষণের অমর সৃষ্টিকে অবিকৃত রেখে শুধু সাধুভাষাকে বদলে নিয়েছি মূলানুগ মান্য চলিত ভাষায়। এর ফলে বর্তমান প্রজন্মের ছোটো ছোটো ছেলেমেয়েরা অনায়াসে একাত্ম হতে পারবে এই মহৎ সৃষ্টির সঙ্গে। উপন্যাসের চিত্ররূপময় সেই আবেদন এখনকার ছেলেমেয়েদের কাছেও যাতে অক্ষুণ্ণ থাকে, সেইজন্য এই বইয়ের ছবি এঁকেছেন দেবব্রত ঘোষ। শব্দে, কথায়, ছবির জাদুতে আম-আঁটির ভেঁপু এক আশ্চর্য অভিযান।
COMICS DWIPE TINTIN / কমিক্স দ্বীপে টিনটিন
₹120.00রতনতনু ঘাটী
কুশল আর আগমনি পলাশপুর হাই স্কুলে ক্লাস সেভেনে পড়ে। ওরা দূর্গাপুজোর ছুটিতে বেড়াতে এসেছে আগমনির রানিদির বাড়ি খেলাঘরপুরে। একদিন ওরা ছবি কুড়োতে আর গল্প খুঁজতে নয়না নদীতে ঘাটে পড়ে থাকা একটা নৌকোয় চড়ে বসল। একসময় ভাটার টানে নৌকোটা সমুদ্রের দিকে ছুটেছিল। তারপর ওদের আর কিচ্ছু মনে নেই। যখন ঘুম ভাঙল, কুশল চোখ মেলে দেখল, দূরে লাল গেঞ্জি আর কালো প্যান্ট পরা গাবলুর মতো একটা ছেলে। হঠাৎ পলাশ বনের দিক থেকে ঠিক টিনটিনের মতো দেখতে একটা ছেলে ছুটতে ছুটতে এসে গাবলুর পাশে দাঁড়াল। কুশল বলল, ‘‘তোরা কি সেই কমিক্সের টিনটিন আর গাবলু? তোরা তো সব কমিক্সের দেশের। তাহলে এখানে কেন?’’ টিনটিন বলল, ‘‘এই দ্বীপটির নাম তো কমিক্স দ্বীপ। অনেক দিন পর পর আমরা এখানে বেড়াতে আসি।’’ তারপর প্রোফেসর ক্যালকুলাস, ক্যাপ্টেন হ্যাডক, জনসন, রনসন, অরণ্যদেব, আর্চি, ভেরোনিকাদের নিয়ে কুশল আর আগমনির দুটি রোমাঞ্চকর অ্যাডভেঞ্চার। পৃথিবীকে নতুন করে ভালোবাসার এ এক অন্য রূপকথা।
Reviews
There are no reviews yet.