‘পথের পাঁচালী’ উপন্যাসের শিশু-কিশোরপাঠ্য সংস্করণের নামই আম-আঁটির ভেঁপু । ৩৫টি পরিচ্ছদের এই উপন্যাস ব্যঞ্জনাময় ৩টি অঙ্কে (বল্লালী-বালাই, আম-আঁটির ভেঁপু ও অত্রূর সংবাদ বিভক্ত)। অনেক পরে বিভূতিভূষণ যখন ‘পথের পাঁচালী’-র একটি কিশোর সংস্করণের কথা ভাবেন, তখন উপন্যাসের মধ্যম অঙ্ক নিয়ে ১৯টি অধ্যায়ে পুনর্নির্মাণ করেন মূল উপন্যাসকে। এভাবেই ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ জন্ম নেয়। শিশু-কিশোরদের বোধগম্যতার জন্য বিভূতিভূষণ একদিকে যেমন অনেক শব্দের পরিবর্তন ও সংযোজন ঘটান, তেমনই অন্যদিকে অপরিবির্তিত রাখেন মূল উপন্যাসের সাধুভাষাকে। আমরা বিভূতিভূষণের অমর সৃষ্টিকে অবিকৃত রেখে শুধু সাধুভাষাকে বদলে নিয়েছি মূলানুগ মান্য চলিত ভাষায়। এর ফলে বর্তমান প্রজন্মের ছোটো ছোটো ছেলেমেয়েরা অনায়াসে একাত্ম হতে পারবে এই মহৎ সৃষ্টির সঙ্গে। উপন্যাসের চিত্ররূপময় সেই আবেদন এখনকার ছেলেমেয়েদের কাছেও যাতে অক্ষুণ্ণ থাকে, সেইজন্য এই বইয়ের ছবি এঁকেছেন দেবব্রত ঘোষ। শব্দে, কথায়, ছবির জাদুতে আম-আঁটির ভেঁপু এক আশ্চর্য অভিযান।
মুকুট / MUKUT
₹80.00প্রাককথন নিধুভূষণ হাজরা
জ্ঞানদানন্দিনী দেবী সম্পাদিত বালক পত্রিকায় ১২৯২ বঙ্গাব্দের (১৮৮৫ সালে) বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ পরপর দুটি সংখ্যায় প্রকাশিত হয় একটি বড়ো গল্প_মুকুট। ত্রিপুরার প্রাচীন ইতিহাসভিত্তিক এই গল্পটির লেখক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। কবির বয়স তখন চব্বিশ। লেখার আকর সংগ্রহের অন্য তিনি চিঠি লেখেন ত্রিপুরার মহারাজা বীরচন্দ্র মাণিক্যকে। শুরু হয় এক বন্ধুতা যার তাপর্য বহুমুখী। গল্প হিসেবে ‘মুকুট’ হয়তো বিদগ্ধ পাঠককে মুগ্ধ করেব না, কিন্তু শিশুশিক্ষার উপকরণ হিসেবে এর মূল্য অনেক। কবির নিজের ভাষায় : ‘জীবনচরিত বা ইতিহাস হইতে বেশ ছোটো ছোটো anecdote সংগ্রহ করিয়া দিলে ছেলেদের পড়াইবার বিশেষ সুবিধা হয়।’ রবীন্দ্রনাথের অনুমান অভ্রান্ত ছিল। গল্প হিসেবে মুকুট জনপ্রিয় হয় এবং ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দে কবি এর নাট্যরূপ দেন। উদ্দেশ্য ছিল ব্রহ্মচর্যাশ্রমের বালকদের দিয়ে সে-নাটকের অভিনয় করানো। এই গ্রন্থে ‘মুকুট’-এর গল্প ও নাট্য_উভয় রূপই সংকলিত হল আজকের ছেলেমেয়েদের ‘ত্যাগের বীর্যের অধ্যবসায়ের ধর্ম্মনিষ্ঠার সত্যপরায়ণতার’ মন্ত্রে দীক্ষিত করতে।
Reviews
There are no reviews yet.