‘বিদ্যাসাগর বক্তিৃতামালা’ – র এই মূল্যবান সংকলনটি একজন সংবেদনশীল বিদগ্ধ শিক্ষকের মহান অবদান ।
SRI RAMAKRISHNER ATMAKATHA
₹200.00শ্রীম প্রণীত ‘ রামকৃষ্ণ কথামৃত ‘ মন্থন করে, এই বই সেই সাগর – সেঁচা – মুক্তা ।
Subtotal : ₹7,076.00
₹150.00 ₹120.00
‘বিদ্যাসাগর বক্তিৃতামালা’ – র এই মূল্যবান সংকলনটি একজন সংবেদনশীল বিদগ্ধ শিক্ষকের মহান অবদান ।
শ্রীম প্রণীত ‘ রামকৃষ্ণ কথামৃত ‘ মন্থন করে, এই বই সেই সাগর – সেঁচা – মুক্তা ।
‘বিদ্যাসাগর বক্তিৃতামালা’ – র এই মূল্যবান সংকলনটি একজন সংবেদনশীল বিদগ্ধ শিক্ষকের মহান অবদান ।
Only logged in customers who have purchased this product may leave a review.
সাহিত্য – সম্রাটের জীবন ও সাহিত্য ছাড়াও এতে আলোচিত বহু অজানা প্রসঙ্গ ।
বারিদবরণ ঘোষ
ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদীদের হাত থেকে স্বদেশকে উদ্ধার করে স্বাধীনতা অর্জনের সূচনাপর্বে যাঁরা আত্মোৎসর্গ করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে অগ্রগণ্য ক্ষুদিরাম বসু। বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলন সবেমাত্র সংগঠিত হয়েছে, সহিংস বা অহিংস আন্দোলনের রূপরেখা তখনও অঙ্কিত হয়নি, কিন্তু দেশকে মুক্ত করার একটা স্বপ্ন তরুণ বাঙালিরা দেখছিলেন। এ কাজে জীবন তাঁদের কাছে পায়ের ভৃত্য হয়েছিল, মৃত্যু হয়েছিল বরণীয়। সংশপ্তকের প্রতিজ্ঞা নিয়ে এঁরা গোপনে গোপনে দেশমন্ত্রে উদবুদ্ধ হয়েছিলেন। সেই মন্ত্রই ক্ষুদিরাম-প্রফুল্ল চাকী-কানাইলালদের জাগিয়ে দিয়েছিল। সেই জাগরণী মন্ত্রে দীক্ষিত ক্ষুদিরাম সঙ্গী প্রফুল্ল চাকীকে নিয়ে দূর মজঃফরপুরে ব্রিটিশ শাসনযন্ত্রের এক অপরাধীকে হত্যা করার জন্য ছদ্মনামে গিয়েছিলেন। শৈশবোচিত একটা ভুলের শিকার হয়ে তাঁরা লক্ষ্যভ্রষ্ট হন। পরিণামে প্রফুল্লের আত্মহত্যা আর ক্ষুদিরামের ফাঁসি_যে ফাঁসির যন্ত্রণা দেশকে আবার উদ্দীপনাময় করে তুলেছিল, বিকল হতে বসেছিল সমগ্র ব্রিটিশ নিপীড়নযন্ত্র। এ-বই সেই জাগরণী মন্ত্র, নিপীড়ন ও আত্মোৎসর্গের এক মহান কাহিনি।
পুরঞ্জনপ্রসাদ চক্রবর্তী
শ্রীরামকৃষ্ণদেব সহজ, সরল ভঙ্গিতে ভক্তদের কাছে পরিবেশন করতেন নানা গল্প-কাহিনি। চাইতেন তাদের মধ্যে ঈশ্বরচেতনা এবং জীবনবোধের উন্মেষ। বইটিতে রইল তারই এক অনন্য প্রকাশ, যা রামকৃষ্ণদেবের জীবনচেতনাকে আরও প্রাঞ্জলভাবে সামনে আনবে। সাধারণ পাঠক পাবেন শ্রীরামকৃষ্ণদেবের অমৃতকথনের স্বাদ আর তার ভক্তরা পাবেন জীবনে চলার পথ।
পল্লব মিত্র
কথার সীমায় তাঁকে বাঁধা যায় না। ভাষার কারুকাজেও তাঁর যথার্থ মূল্যায়ন করা যায় না। কেননা তিনি লতা। লতা মঙ্গেশকর। জন্মসুত্রে ভারতীয় নাগরিক হলেও সমগ্র বসুন্ধরাই আসলে তাঁর বাসভূমি। ঈশ্বরদত্ত অতুলনীয় কণ্ঠস্বরের অধিকারিণী এই মানষুটির জীবন হয়তো-বা সিনেমার চেয়েও বেশি বর্ণময়, প্রাণবন্ত এবং নাটকীয় বৈচিত্রে ভরপুর। বাবা দীননাথ মঙ্গেশকরের কাছেই ছোট্ট লতার গানের প্রথম পাঠগ্রহণ। পাশাপাশি অভিনয়েও হাতেখড়ি মাত্র পাঁচ বছর বয়সে। মা, বাবা এবং তাঁরা চার বোন এক ভাই মিলে সে ছিল এক গানের বাড়ি। কিন্তু মাত্র তেরো বছর বয়সেই বাবাকে হারিয়ে কঠোর বাস্তবের মুখোমুখি হলেন লতা। শুরু হল অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রাম। প্লেব্যাক সিংগিং তো বটেই, অভিনয়ও করা শুরু করলেন জীবিকার তাগিদে। তাঁর কোকিলকণ্ঠী গানের জাদুতে মেতে উঠল আসমুদ্র হিমাচল। একের পর এক ছবিতে সেই যে গান গাওয়ার শুরু, তা অব্যাহত থাকল এর পরবর্তী সাত দশক জুড়ে। আর শুদু হিন্দি নয়, বহু ভারতীয় ভাষায় গান গেয়ে লতা মঙ্গেশকর অচিরেই পরিণত হলেন জীবন্ত কিংবদন্তীতে। বাংলা ভাষাতেও তাঁর গাওয়া গানের সংখ্যা কম নয়। বাঙালি শ্রোতার কাছে লতা ঘরের মেয়ে। আজ যখন পশ্চিমি প্রভাবে অন্য ধারার গানে এই উপমহাদেশ মেতে উঠেছে, তখনও অম্লান লতা মঙ্গেশকর গীত গান। এই গ্রন্থ সেই গানেরই উদযাপন। লতার সংগ্রামী জীবনের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দিয়ে এখানে আমরা প্রবেশ করেছি তাঁর গাওয়া বাংলা গানের গহিনে। সেই সঙ্গে রয়েছে লতা সম্পর্কে সমসাময়িক ব্যক্তিত্বদের উচ্ছ্বাস ও স্মৃতিচারণ এবং একটি দুর্লভ সাক্ষাৎকার।
রমেশচন্দ্র মজুমদার
প্রখ্যাত ঐতিহাসিক ড. রমেশচন্দ্র মজুমদারের কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রদত্ত ‘বিদ্যাসাগর বক্তৃতামালা’-র এই মূল্যবান সংকলনটি একজন সংবেদনশীল বিদগ্ধ শিক্ষকের মহান অবদান।
সুবিশাল এই আলোচনায় আমরা ঋদ্ধ হই একদিকে বাংলা গদ্যসাহিত্যের উদ্ভব প্রসঙ্গে তাঁর মৌলিক ব্যাখ্যায় এবং অন্যদিকে নিরপেক্ষ মননের আলোয় প্রাচীন ভারতের বৈদিক যুগ থেকে বিংশ শতাব্দীর প্রারম্ভকাল পর্যন্ত সময়ে সমাজে নারীজাতির বাস্তব অবস্থান, মহিমা ও অবদমিত নারীজীবনের অতুলনীয় করুণ চিত্রণে। এই সংকলন সেই নিরিখে সমগ্র নারীসমাজের যুগপৎ বিকাশ ও অবদানের এক ঐতিহাসিক দলিল।
সুচিত্রা সেনের জীবন ও ছবি
সবার উপের তো তিনিই। সুচিত্রা সেন। রমা থেকে মিসেস সেন হয়ে ওঠার আটপৌরে মধ্যবিত্ত গল্পে থেমে থাকেনি তাঁর জীবন। জীবদ্দশাতেই তা হয়ে উঠেছে কিংবদন্তীসম। আর তিনি সুচিত্রা সেন হয়তো-বা সবচেয়ে বিখ্যাত বাঙালি নারী বনলতা সেনের মতোই এক অপূর্ব জীবনানন্দ-কবিতা হয়ে বাঙালির শয়নে, স্বপনে, জাগরণে বারে বারে আবির্ভূতা। বিগত শতাব্দীর যে সময়ে রুপোলি পর্দায় তাঁর আত্মপ্রকাশ, ভিটেমাটি ছেড়ে লাখো লাখো মানুষ সীমান্ত পেরিয়ে চলে আসছেন এ বাংলায়। দেশভাগ-উত্তর পিচ্ছিল, হতাশ সে সময়ে প্রেমহীন, স্বপ্নহীন, বাঙালিকে প্রেমে পড়তে, স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছিলেন তিনি। যাঁরা বলেন সুচিত্রা-অভিনীত বেশিরভাগ ছবিই আসলে লিবিডোতাড়িত হীনম্মন্য এক জাতির রোম্যান্টিক এসকেপ, তাঁরা পুরোটা বলেন না। অনেক ক্ষেত্রেই মিলনান্তক সে-সব ছবিতেও কি লেগে থাকে না অস্থির এক সময়ের আঁচড়? নতুন দেশে, নতুন কালে মাথা উঁচু করে বাঁচতে চাওয়া শিক্ষিত, মধ্যবিত্ত বাঙালি নারীর আত্মপরিচয় খোঁজার লড়াইকে যেভাবে অভিনয়ের মাধ্যমে একের পর এক ছবিতে মূর্ত করে তুলেছিলেন তিনি তার তুলনা ভারতীয় চলচ্চিত্রে কেন, আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্রেও নেই। ১৯৫৩ থেকে ১৯৭৮_এ এক অলীক সফর! অভিনয়জীবনের এই পঁচিশ বছরে সুচিত্রা শুধু নায়িকা থেকে মহানায়িকাই হয়ে ওঠেননি, তিন দশক ধরে তিনি কার্যত শাসন করে গেছেন বাংলা চলচ্চিত্রকে। ভারতীয় সিনেমায় এই প্রথম কোনো অভিনেত্রী বদলে দিলেন পুরুষ-আধিপত্যবাদী সিনেমাশিল্পের যাবতীয় সমীকরণ। নায়িকা, মহানায়িকা কিংবা ভারতীয় সিনেমার গ্রেটা গার্বো বলে তাঁকে বিশেষিত করতে চাওয়া আমাদের প্রমাদ, ঐতিহাসিক ভ্রান্তি। বাংলা তথা ভারতীয় সিনেমায় আসলে তিনিই নায়ক। তিনি ইন্ডাস্ট্রি!
Reviews
There are no reviews yet.