সৈকত রক্ষিত
এক আদিবাসী যুবতীকে কেন্দ্র করে দুই শবর-সহোদরের কলহ থেকে জন্ম নেয় যে বিরোধ, কালক্রমে তা-ই রূপ নেয় এক মহাভারতীয় যুদ্ধের। রাঢ়বঙ্গীয় পটভূমিতে সেই সংঘর্ষ ও সংগ্রামেরই মহাকাব্যিক রূপ ও উপন্যাস, যেখানে প্রাচীনের মধ্যে বিলীন হয়ে যায় সমকালীন।
₹595.00 ₹0.00
সৈকত রক্ষিত
এক আদিবাসী যুবতীকে কেন্দ্র করে দুই শবর-সহোদরের কলহ থেকে জন্ম নেয় যে বিরোধ, কালক্রমে তা-ই রূপ নেয় এক মহাভারতীয় যুদ্ধের। রাঢ়বঙ্গীয় পটভূমিতে সেই সংঘর্ষ ও সংগ্রামেরই মহাকাব্যিক রূপ ও উপন্যাস, যেখানে প্রাচীনের মধ্যে বিলীন হয়ে যায় সমকালীন।
Out of stock
কালের প্রভাবে মানুষের মন আধুনিক ও সংস্কারমুক্ত হলে এই নিরীহ মানুষগুলির জীবনে দেখা দেয় প্রবল জীবিকার সংকট । এদের জীবনের সুত্র ধরেই এসেছে যুগ যুগ ধরে চলে আসা রাঢ়ভূমি পুরুলিয়ার খরা , অজন্মা ও আকালের অখণ্ড চিত্র, যা দুর্বিষহ , ভয়ংকর ও মর্মস্পর্শী । |
সৈকত রক্ষিত
এক আদিবাসী যুবতীকে কেন্দ্র করে দুই শবর-সহোদরের কলহ থেকে জন্ম নেয় যে বিরোধ, কালক্রমে তা-ই রূপ নেয় এক মহাভারতীয় যুদ্ধের। রাঢ়বঙ্গীয় পটভূমিতে সেই সংঘর্ষ ও সংগ্রামেরই মহাকাব্যিক রূপ ও উপন্যাস, যেখানে প্রাচীনের মধ্যে বিলীন হয়ে যায় সমকালীন।
Only logged in customers who have purchased this product may leave a review.
সংকলন ও ভূমিকা শৈলেন ঘোষ
উপেন্দ্রকিশোর রায়চেৌধুরী (১২মে ১৮৬৩_২৩ ডিসেম্বর ১৯১৫) : শিশুসাহিত্যিক, সম্পাদক, চিত্রকর, শিল্পী, সংগীতজ্ঞ, তথা মুদ্রণশিল্প বিশারদ উপেন্দ্রকিশোরের জন্ম অবিভক্ত বঙ্গের মসুয়া গ্রামের সুবিখ্যাত রায় (পূর্বতন ‘দেনা’ বা ‘দেও’) পরিবারে। পিতা কালীনাথ (শ্যামসুন্দর মুনশি) মাতা জয়তারা। কালীনাথ ও জন্মতারার পাঁচ পুত্র, তিন কন্যার মধ্যে উপেন্দ্রকিশোর ছিলেন মধ্যম। পিতৃদত্ত নাম কামদারঞ্জন। কামদা যখন চার বছেরর শিশু, কালীনাথের জ্ঞাতিভাই জমিদার হরিকিশোর রায়চৌধুরী তাকে দত্তক নেন। নামকরণ করেন উপেন্দ্রকিশোর। মায়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে এন্ট্রান্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে উপেন্দ্রকিশোর কলকাতায় এসে প্রেসিডেন্সি কলেজে ভরতি হন। কিন্তু বিএ পাস করেন ক্যালকাটা মেট্রোপলিটন ইনস্টিটিউট থেকে ১৮৮৪ সালে। পরের বছরই তাঁর বিবাহ হয় ব্রাহ্মনেতা দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের জ্যেষ্ঠা কন্যা বিধুমুখী দেবীর সঙ্গে। সুখলতা, সুকুমার, পুণ্যলতা, সুবিনয় ও শান্তিলতা_তিন কন্যা, দুই পুত্রকে নিয়ে ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে এক সুখের সংসার। মুখ্যত শিশুসাহিত্যকে কেন্দ্র করেই উপেন্দ্রকিশোরের সাহিত্যপ্রতিভার স্ফুরণ ও বিকাশ। কলেজে পড়তে পড়তেই ১৮৮৩ সালে শিশুদের পত্রিকা সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল প্রথম রচনা। পরবর্তীকালে তিনি লিখেছিলেন সখা ও সাথী, মুকুল প্রভৃতি পত্রিকাতেও। ১৮৮৫-এ প্রকাশিত হল তাঁর লেখা ছোটোদের রামায়ণ । ওই একই বছের তাঁর নিজস্ব মুদ্রণ সংস্থা U. Ray & Sons.-এর প্রতিষ্ঠা। এরপর একে একে বেরোল ছোটোদের মহাভারত, সেকালের কথা, টুনটুনির বই । ১৯১৩-য় নিজের সম্পাদনায় উপেন্দ্রকিশোর প্রকাশ করলেন ছোটোদের জন্য সচিত্র মাসিক পত্রিকা সন্দেশ, নিঃসন্দেহে যা তাঁর স্মরণীয়তম কীর্তি। এর দু-বছর আট মাস বাদে যখন তাঁর জীবনাবসান ঘটে, ততদিনে এ পত্রিকার ৩২টি সংখ্যা তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত। ২২নং সুকিয়া স্ট্রিটের বাড়ি থেকে গোড়ার দিকে সন্দেশ প্রকাশিত হয়। মুদ্রক ও প্রকাশক ছিলেন ললিতমোহন গুপ্ত। পত্রিকাটি মুদ্রিত হত ৬৪/১ নং সুকিয়া স্ট্রিটে অবস্থিত লক্ষ্মী প্রিন্টিং ওয়ার্কস থেকে। ছড়া, রূপকথা, লোককথা, ইতিহাস, পুরাণ, আবিষ্কারের গল্প কিংবা নিখাদ কল্পকাহিনি_ শিশুসাহিত্যের এমন কোনো শাখার কথাই ভাবা যায় না, যা উপেন্দ্রকিশোর লেখনীর জাদুস্পর্শে নবপ্রাণে সঞ্জীবিত হয়নি। ছোটোদের রামায়ণ থেকে শুরু করে তাঁর লেখা সব গ্রন্থগুলির বাংলা শিশুসাহিত্যের চিরায়ত সম্পদ। তেমনই তাঁর গুপি গাইন বাঘা বাইন, বোকা জোলা, ঘ্যাঁঘাসু প্রমুখ চরিত্র তাদের জন্মলগ্ন থেকে শুরু করে আজ অবধি অবিস্মরণীয়।
সেই কোয়েলের কাছে থেকে তিনি আমাদের নিয়ে গেছেন একের পর এক মাধুকরী সংগ্রহের আরণ্যক অভিযান। পাশাপাশি, তাঁর তীব্র নাগরিক চেতনা উন্মোচিত করেছে মধ্যিবত্ত ও উচ্চমধ্যিবত্ত বাঙালি সমাজের যাবতীয় ভণ্ডামিকে। এরই মাঝে প্রস্ফুটিত হয়েছে প্রেম, তার তীব্র আবেগ, অনুপম অনুভব এবং শাশ্বত সংরাগ নিয়ে। এই পাঁচটি উপন্যাসেও অনায়াস ঋজুতায় বুদ্ধদেব ছুঁয়ে নেন নারীচরিত্র চিত্রায়ণে দক্ষতায় শীর্ষেন্দু। ‘উঁচুমহল’-এর মনীষা, ‘ঋক’-এর তৃষ্ণা, ‘আলোকঝারির দিনগুলিকে’-র শিলি, ‘পরিযায়ী’-র ঐশিকা এবং ‘ঝাঁকিদর্শন’-এর বউরানি—আমাদের চেনা চরিত্র হয়েও শেষ অবধি রয়ে যায় অচেনা। সৌন্দর্যে, সাহসে, রহস্যময়তায় তারা পাঠককে টেনে নিয়ে যায় ভিন্ন এক অন্তর্লোকের আরাধ্য দেবী আর বুদ্ধদেবের জাদুগদ্য তার চিরতৃষ্ণার্ত, চির-অপেক্ষমাণ, অভিমানী উপাসক।
ঔপন্যাসিক স্বয়ং যখন চয়ন করে নেন তাঁর উপন্যাসমালার এক-একটি আখ্যান, তখন নিশ্চিতভাবেই সেই নির্বাচনের পিছনে কোনো–না-কোনো অভিপ্রায় কাজ করে। ‘শ্রীবুদ্ধদেব গুহর স্বনির্বাচিত উপন্যাস’ (প্রথম খণ্ড) আমাদের বিস্ময় উদ্রেক করেছিল। সাতটি উপন্যাস নিয়ে শুরু হয়েছিল যে-সিরিজ, তাঁর দ্বিতীয় খণ্ডে এসে রচিত হয় এমন এক জীবন যে- জীবনকে ঘিরে এমন এক বহুমাত্রিক আখ্যান, যার সহস্র দ্বার অবারিত। উপন্যাসের এই সহস্র দুয়ার দিয়ে পাঠক পরিভ্রমণ করেন কথাসাহিত্যের ভুবনে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
রাজর্ষি রবীন্দ্রনাথের লেখা দ্বিতীয় উপন্যাস। অল্প বয়সের লেখা হলেও এর কাহিনি আজও পাঠকসমাজে সমাদৃত। এর নাট্যরূপ বিসর্জন আজও নাট্যরসিকদের কাছে সমান জনপ্রিয়। উপন্যাসটি প্রথম ছাপা হয়েছিল বালক পত্রিকায়_কিন্তু অসম্পূর্ণ রয়ে যায় এর কাহিনি। এই কাহিনির সূত্র কবি পেয়েছিলেন স্বপ্নের মধ্যে। কিন্তু পত্রিকায় প্রকাশের পর কবির মনে হয়েছিল এটি সম্পূর্ণ করতে হবে এবং তা করতে হলে জানা প্রয়োজন ত্রিপুরার রাজপরিবারের ইতিহাস। সেজন্য তিনি ত্রিপুররাজ গোবিন্দমাণিক্যের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেন। সেখান থেকে রাজপরিবারের ইতিবৃত্ত তাঁকে পাঠিয়ে দেওয়া হলে রবীন্দ্রনাথ রাজর্ষিকে সম্পূর্ণ করেন। স্বপ্ন ও ইতিহাসে ঘটে যায় এক অনবদ্য মেলবন্ধন। রচনা-ইতিহাসের নথি, বালক পত্রিকায় প্রকাশিত অবিকল প্রতিলিপি এবং আনুষঙ্গিক চিত্রাদিসহ রাজর্ষির সম্পূর্ণ পাঠ এই প্রথম কোনো সংস্করণে গৃহীত হল। রাজর্ষি-র পাঠে বহু পরিবর্তন ঘটেছে_তার ইতিকথাও সম্পাদকীয় ভূমিকায় সবিস্তারে আলোচিত। এই প্রথম উপন্যাসটির রসগ্রাহী আলোচনাসহ একটি সুমুদ্রিত সংস্করণ পাঠকের কাছে উপস্থাপিত হল ঠাকুর ও মাণিক্য পরিবারের অনুপম সংযোগসূত্রে।
মুকুরদীপি রায়
কারগিল যুদ্ধের প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীর চিকিৎসক প্রমিতের সঙ্গে মণিদীপার প্রেম প্রস্ফুটিত হয়েও পূর্ণতা পায় না। কিন্তু শাশ্বত হয়ে রয়ে যায় তাদের মধ্যে বিনিমিত কিছু চিঠি, চিঠির ভেতরের আখ্যান আর জ্যোৎস্নার মতো রাতের আকাশে ভেসে বেড়ানো কয়েকটি শব্দ।
Reviews
There are no reviews yet.