বিশ্বরূপ ভৌমিক
পৃথিবীর প্রথম মানুষ-রোবট রোবু-ওয়ানকে নিয়ে ঝিলের ধারে পিকনিকে গিয়েছিল দুই দস্যি যমজ ভাই-বোন_রুকু টুকু। একটা টিলার ওপর খোঁড়াখুড়ি করতেই ভূমিকম্প! কী হল তারপর জানতে গেলে পড়তেই হবে ছোটোদের রুদ্ধশ্বাস কমিকস ডাইনোসরের ডিম!
₹250.00
বিশ্বরূপ ভৌমিক
পৃথিবীর প্রথম মানুষ-রোবট রোবু-ওয়ানকে নিয়ে ঝিলের ধারে পিকনিকে গিয়েছিল দুই দস্যি যমজ ভাই-বোন_রুকু টুকু। একটা টিলার ওপর খোঁড়াখুড়ি করতেই ভূমিকম্প! কী হল তারপর জানতে গেলে পড়তেই হবে ছোটোদের রুদ্ধশ্বাস কমিকস ডাইনোসরের ডিম!
বিশ্বরূপ ভৌমিক
পৃথিবীর প্রথম মানুষ-রোবট রোবু-ওয়ানকে নিয়ে ঝিলের ধারে পিকনিকে গিয়েছিল দুই দস্যি যমজ ভাই-বোন_রুকু টুকু। একটা টিলার ওপর খোঁড়াখুড়ি করতেই ভূমিকম্প! কী হল তারপর জানতে গেলে পড়তেই হবে ছোটোদের রুদ্ধশ্বাস কমিকস ডাইনোসরের ডিম!
Only logged in customers who have purchased this product may leave a review.
সংকলন ও ভূমিকা শৈলেন ঘোষ
উপেন্দ্রকিশোর রায়চেৌধুরী (১২মে ১৮৬৩_২৩ ডিসেম্বর ১৯১৫) : শিশুসাহিত্যিক, সম্পাদক, চিত্রকর, শিল্পী, সংগীতজ্ঞ, তথা মুদ্রণশিল্প বিশারদ উপেন্দ্রকিশোরের জন্ম অবিভক্ত বঙ্গের মসুয়া গ্রামের সুবিখ্যাত রায় (পূর্বতন ‘দেনা’ বা ‘দেও’) পরিবারে। পিতা কালীনাথ (শ্যামসুন্দর মুনশি) মাতা জয়তারা। কালীনাথ ও জন্মতারার পাঁচ পুত্র, তিন কন্যার মধ্যে উপেন্দ্রকিশোর ছিলেন মধ্যম। পিতৃদত্ত নাম কামদারঞ্জন। কামদা যখন চার বছেরর শিশু, কালীনাথের জ্ঞাতিভাই জমিদার হরিকিশোর রায়চৌধুরী তাকে দত্তক নেন। নামকরণ করেন উপেন্দ্রকিশোর। মায়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে এন্ট্রান্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে উপেন্দ্রকিশোর কলকাতায় এসে প্রেসিডেন্সি কলেজে ভরতি হন। কিন্তু বিএ পাস করেন ক্যালকাটা মেট্রোপলিটন ইনস্টিটিউট থেকে ১৮৮৪ সালে। পরের বছরই তাঁর বিবাহ হয় ব্রাহ্মনেতা দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের জ্যেষ্ঠা কন্যা বিধুমুখী দেবীর সঙ্গে। সুখলতা, সুকুমার, পুণ্যলতা, সুবিনয় ও শান্তিলতা_তিন কন্যা, দুই পুত্রকে নিয়ে ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে এক সুখের সংসার। মুখ্যত শিশুসাহিত্যকে কেন্দ্র করেই উপেন্দ্রকিশোরের সাহিত্যপ্রতিভার স্ফুরণ ও বিকাশ। কলেজে পড়তে পড়তেই ১৮৮৩ সালে শিশুদের পত্রিকা সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল প্রথম রচনা। পরবর্তীকালে তিনি লিখেছিলেন সখা ও সাথী, মুকুল প্রভৃতি পত্রিকাতেও। ১৮৮৫-এ প্রকাশিত হল তাঁর লেখা ছোটোদের রামায়ণ । ওই একই বছের তাঁর নিজস্ব মুদ্রণ সংস্থা U. Ray & Sons.-এর প্রতিষ্ঠা। এরপর একে একে বেরোল ছোটোদের মহাভারত, সেকালের কথা, টুনটুনির বই । ১৯১৩-য় নিজের সম্পাদনায় উপেন্দ্রকিশোর প্রকাশ করলেন ছোটোদের জন্য সচিত্র মাসিক পত্রিকা সন্দেশ, নিঃসন্দেহে যা তাঁর স্মরণীয়তম কীর্তি। এর দু-বছর আট মাস বাদে যখন তাঁর জীবনাবসান ঘটে, ততদিনে এ পত্রিকার ৩২টি সংখ্যা তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত। ২২নং সুকিয়া স্ট্রিটের বাড়ি থেকে গোড়ার দিকে সন্দেশ প্রকাশিত হয়। মুদ্রক ও প্রকাশক ছিলেন ললিতমোহন গুপ্ত। পত্রিকাটি মুদ্রিত হত ৬৪/১ নং সুকিয়া স্ট্রিটে অবস্থিত লক্ষ্মী প্রিন্টিং ওয়ার্কস থেকে। ছড়া, রূপকথা, লোককথা, ইতিহাস, পুরাণ, আবিষ্কারের গল্প কিংবা নিখাদ কল্পকাহিনি_ শিশুসাহিত্যের এমন কোনো শাখার কথাই ভাবা যায় না, যা উপেন্দ্রকিশোর লেখনীর জাদুস্পর্শে নবপ্রাণে সঞ্জীবিত হয়নি। ছোটোদের রামায়ণ থেকে শুরু করে তাঁর লেখা সব গ্রন্থগুলির বাংলা শিশুসাহিত্যের চিরায়ত সম্পদ। তেমনই তাঁর গুপি গাইন বাঘা বাইন, বোকা জোলা, ঘ্যাঁঘাসু প্রমুখ চরিত্র তাদের জন্মলগ্ন থেকে শুরু করে আজ অবধি অবিস্মরণীয়।
সৌম্য ভট্টাচার্য
দাদুর বাড়ির বাগানে পুকুর থেকে উঠে আসা একটা বুড়ো বটগাছ। জলের নীচে তার হাঁ-করা ফোকর গলে দুই বোন ডোরা আর ডোনা_তাদের দুই বন্ধু মিতুল ও নীলুর সঙ্গে_আচমকাই পৌঁছে যায় চির কুয়াশার এক দেশে। সর্বনেশে সে-দেশে অত্যাচারী মকররাজ খোক্কোসদের বিষাক্ত রাজ্যপাট কায়েম করে রেখেছে সেনাপতি কালাপাহাড়ের নির্মম অত্যাচার আর ন্যায়াধীশ শেয়ালপণ্ডিতের ধূর্ত কারসাজিতে। যক্ষপুরীতে গোপন কক্ষে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ তারাই বন্দি করে রাখে বাংলা মাকে।বাচ্চাদের ওপরেই পড়ে আবহমান বঙ্গের স্তন্যদায়িনী সেই মায়ের ভাঙা বুক জোড়া লাগানোর ভার। বাথুয়া_এক সুবিশাল রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার_সহায় হয় তাদের। সঙ্গী হয় লক্ষ্মীপ্যাঁচা সুষমা, সনাতন ভোঁদড়, কুমির-গিন্নি, ছুচোঁ, ইঁদুর, এমনকী বনের আর সব পশুপাখিও। কিন্তু ছোটো ছোটো এই চারটি ছেলে-মেয়ে কি পারবে মকররাজের পরাক্রান্ত সাম্রাজ্যের ভিত টলিয়ে দিতে? রবীন্দ্রনাথের রাখিসংগীতেই কি আছে সেই জাদুশক্তি যা চির কুয়াশাময়, হতাশ সে-দেশে নিয়ে আসবে আশার নতুন আলো? বাংলার চিরকালীন রূপকথা আর শিশুসাহিত্যের নির্যাস নিয়ে লেখা এক আশ্চর্য উপন্যাস, যা একইসঙ্গে ফ্যান্টাসি, স্যাটায়ার, আবার ব্যাপ্ত ক্যানভাসে আঁকা দুর্ধর্ষ, রুদ্ধশ্বাস অ্যাডভেঞ্চারও।
প্রাককথন নিধুভূষণ হাজরা
জ্ঞানদানন্দিনী দেবী সম্পাদিত বালক পত্রিকায় ১২৯২ বঙ্গাব্দের (১৮৮৫ সালে) বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ পরপর দুটি সংখ্যায় প্রকাশিত হয় একটি বড়ো গল্প_মুকুট। ত্রিপুরার প্রাচীন ইতিহাসভিত্তিক এই গল্পটির লেখক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। কবির বয়স তখন চব্বিশ। লেখার আকর সংগ্রহের অন্য তিনি চিঠি লেখেন ত্রিপুরার মহারাজা বীরচন্দ্র মাণিক্যকে। শুরু হয় এক বন্ধুতা যার তাপর্য বহুমুখী। গল্প হিসেবে ‘মুকুট’ হয়তো বিদগ্ধ পাঠককে মুগ্ধ করেব না, কিন্তু শিশুশিক্ষার উপকরণ হিসেবে এর মূল্য অনেক। কবির নিজের ভাষায় : ‘জীবনচরিত বা ইতিহাস হইতে বেশ ছোটো ছোটো anecdote সংগ্রহ করিয়া দিলে ছেলেদের পড়াইবার বিশেষ সুবিধা হয়।’ রবীন্দ্রনাথের অনুমান অভ্রান্ত ছিল। গল্প হিসেবে মুকুট জনপ্রিয় হয় এবং ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দে কবি এর নাট্যরূপ দেন। উদ্দেশ্য ছিল ব্রহ্মচর্যাশ্রমের বালকদের দিয়ে সে-নাটকের অভিনয় করানো। এই গ্রন্থে ‘মুকুট’-এর গল্প ও নাট্য_উভয় রূপই সংকলিত হল আজকের ছেলেমেয়েদের ‘ত্যাগের বীর্যের অধ্যবসায়ের ধর্ম্মনিষ্ঠার সত্যপরায়ণতার’ মন্ত্রে দীক্ষিত করতে।
রতনতনু ঘাটী
কুশল আর আগমনি পলাশপুর হাই স্কুলে ক্লাস সেভেনে পড়ে। ওরা দূর্গাপুজোর ছুটিতে বেড়াতে এসেছে আগমনির রানিদির বাড়ি খেলাঘরপুরে। একদিন ওরা ছবি কুড়োতে আর গল্প খুঁজতে নয়না নদীতে ঘাটে পড়ে থাকা একটা নৌকোয় চড়ে বসল। একসময় ভাটার টানে নৌকোটা সমুদ্রের দিকে ছুটেছিল। তারপর ওদের আর কিচ্ছু মনে নেই। যখন ঘুম ভাঙল, কুশল চোখ মেলে দেখল, দূরে লাল গেঞ্জি আর কালো প্যান্ট পরা গাবলুর মতো একটা ছেলে। হঠাৎ পলাশ বনের দিক থেকে ঠিক টিনটিনের মতো দেখতে একটা ছেলে ছুটতে ছুটতে এসে গাবলুর পাশে দাঁড়াল। কুশল বলল, ‘‘তোরা কি সেই কমিক্সের টিনটিন আর গাবলু? তোরা তো সব কমিক্সের দেশের। তাহলে এখানে কেন?’’ টিনটিন বলল, ‘‘এই দ্বীপটির নাম তো কমিক্স দ্বীপ। অনেক দিন পর পর আমরা এখানে বেড়াতে আসি।’’ তারপর প্রোফেসর ক্যালকুলাস, ক্যাপ্টেন হ্যাডক, জনসন, রনসন, অরণ্যদেব, আর্চি, ভেরোনিকাদের নিয়ে কুশল আর আগমনির দুটি রোমাঞ্চকর অ্যাডভেঞ্চার। পৃথিবীকে নতুন করে ভালোবাসার এ এক অন্য রূপকথা।
শিবরাম চক্রবর্তী
চিত্রনাট্য ও ছবি: সুযোগ বন্দ্যোপাধ্যায়
হর্ষবর্ধন আর গোবর্ধন_দুই ভাইয়ের কীর্তি-কাহিনির এই দ্বিতীয় খণ্ডে পত্রবাহকের ভূমিকায় নাকাল হতে দেখা যাবে হর্ষকে। সেইসঙ্গে যুদ্ধে না-যাওয়ার জন্য গোবরার কেরামতি, বিদেশি গাড়ি কেনা, না-কেনা নিয়ে হর্ষর ধন্দ, সোনার ফসল ফলাতে তাঁর নিদারুণ পণ্ডশ্রম আর মিষ্টির দোকানের পাহারাদার হিসেবে গোবর্ধনের ‘কৃতিত্ব’-র মুখরোচক গল্প তো রয়েছেই! সুযোগ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অননুকরণীয় চিত্রনাট্য ও ছবিতে শিবরাম চক্রবর্তীর কালজয়ী সৃষ্টি এবার কমিকসের পাতায়! পাতা উলটোলেই দমফাটা হাসির রোলে ফেটে পড়বে ছোটো থেকে বড়ো সব বয়সের পাঠক।
Reviews
There are no reviews yet.