চঞ্চলকুমার ঘোষ
শুধুই চিড়িয়াখানার জীবজন্তুদের জীবনের আশ্চর্য এক জগৎ নয়, এই উপন্যাসে ভেসে উঠেছে বিচিত্র মানুষের বৈচিত্র্যময় জীবনকথা।
₹150.00 ₹120.00
চঞ্চলকুমার ঘোষ
শুধুই চিড়িয়াখানার জীবজন্তুদের জীবনের আশ্চর্য এক জগৎ নয়, এই উপন্যাসে ভেসে উঠেছে বিচিত্র মানুষের বৈচিত্র্যময় জীবনকথা।
The Ganga to me is the symbol of India’s memorable past which has been flowing into the present and continues to flow towards the ocean of the future..
চঞ্চলকুমার ঘোষ
আজ থেকে প্রায় দেড় হাজার বছর আগে চিন থেকে ভারতের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছিলেন বৌদ্ধ সন্ন্যাসী হিউ-এন-সাঙ। উদ্দেশ্য ছিল বৌদ্ধশাস্ত্রে জ্ঞানার্জন করা। মহান সেই পরিব্রাজকের যাত্রাপথ ধরে মানসভ্রমণ করেছেন এ গ্রন্থের লেখক। রচনা করেছেন এমন এক উপন্যাস যেখানে একইসঙ্গে পথ চলা ভগবান বুদ্ধ এবং একালের ইতিহাসপ্রেমী তরুণ অমিতাভের।
সহস্রাধিক বছরের প্রেক্ষাপটে নির্মিত এই উপন্যাসে মিলেমিশে গেছে কল্পনা, ইতিহাস, দর্শন ও জীবন।
চঞ্চলকুমার ঘোষ
শুধুই চিড়িয়াখানার জীবজন্তুদের জীবনের আশ্চর্য এক জগৎ নয়, এই উপন্যাসে ভেসে উঠেছে বিচিত্র মানুষের বৈচিত্র্যময় জীবনকথা।
Only logged in customers who have purchased this product may leave a review.
অভিজিৎ চৌধুরী
‘ওই এল সে প্রাণ কালিয়া স্মর খরশরে তবু যায় জ্বলিয়া’। কবি, গীতিকার, সমাজসংস্কারক মদনমোহন তর্কালঙ্কারের নিজের গলায় গাওয়া গান দিয়ে শেষ হয়েছিল সমাগত মধুমাস (১ম খণ্ড)। ২য় খণ্ডের শুরুতেই রয়েছে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের চাকরিতে ক্লিষ্ট মদনমোহনের আত্মবিলাপ। তথাপি, জাতীয় মানুষের মনের মধ্যে প্রতিদিনের জীবনেও দেশ, বিশ্ব, বিজ্ঞান, সমাজ, সাহিত্য, শিক্ষার বীক্ষণ চলতেই থাকে। সিপাহিবিদ্রোহ সম্পর্কে মদনমোহন তর্কালঙ্কারের নিজস্ব অবস্থান, নতুন বিজ্ঞানচেতনার বিকাশ, ফেলে আসা জীবনের কাব্যময়তা_অন্যতম কন্যা ভুবনবালার সঙ্গে প্রতিদিনের সংলাপই উঠে আসে। মহতী সময়ের পরিচর্চা বাবা এবং মেয়ের নিতান্ত আটপৌরে সংলাপের মধ্যেও কখনো কখনো ফ্রেমবন্দি হয়ে যায়। ফ্ল্যাশব্যাকে এসেছেন বিটন সাহেব, বিদ্যাসাগর প্রমুখ ঐতিহাসিক চরিত্র কারণ তাঁদের বাদ দিয়ে মদনমোহন তর্কালঙ্কারের জীবনের যে-কোনো পর্যায়ই অসম্পূর্ণ রয়ে যায়। মদনমোহন তর্কলঙ্কারের মৃত্যু এক নায়কের নিস্তব্ধ প্রস্থান। তাঁর মৃত্যুর পর ভার্যা মুক্তকেশীর এক ভিন্ন ছবি উপন্যাসে পাওয়া যাবে। কন্যা কুন্দমালা_দিদি ভুবনমালা ও বাবার মৃত্যুর পর_নিজের প্রণয়কে গোপন রেখে ভালোবাসার প্রার্থীকে সঁপে দিচ্ছে আর এক বোন হেমবালার সমীপে। হেমবালা কবিতা লেখে, পিতার কবিসত্তার সামান্য উত্তরাধিকার রয়েছে তার মধ্যে। ১ম খণ্ডের মতোই ২য় খণ্ডে রেয়েছে অসম বয়সের প্রণয় কাহিনি। সত্তরোর্ধ্ব বাচস্পতির সঙ্গে রূপোপজীবনী তারাসুন্দরীর মানসপরিণয় মধুমাসের আশ্বাসকে বিস্মৃত হতে দেয় না পুনর্বার।
অভিজিৎ চৌধুরী
কবি, গীতিকার, সমাজ সংস্কারক তথা নারীশিক্ষা প্রসারের অন্যতম অগ্রদূত মদনমোহন তর্কালঙ্কার ও তাঁর সময়-ঋদ্ধ এই আখ্যান। আখ্যানের কেন্দ্রবিন্দু মদনমোহন আর তাঁকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন কক্ষপেথ ভার্যা মুক্তকেশী, কন্যা ভুবনমালা-কুন্দমালা-হেমবালা, মা বিশ্বেশ্বরী দেবী, সুহৃদ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, বিটন সাহেব, রাজা রাধাকান্ত দেব, রামগোপাল ঘোষ প্রমুখ ঐতিহাসিক চরিত্রের পরিভ্রমণ। একদিকে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রথম আলো, অন্যদিকে মধ্যযুগীয় সংস্কারে অবরুদ্ধ হিন্দুসমাজ_ ইতিহাসের এই দ্বন্দ্বে দীর্ণ হতে হতে মদনমোহনের সাহিত্যসাধনা ও জীবনসংগ্রাম। লুপ্ত সেই সময়ের আঘ্রাণ আবার পাওয়া যাবে এই উপন্যাসের পাতায়। ঐতিহাসিক চরিত্রগুলির পাশাপাশি আলাদা করে নজর কাড়ে অন্য দুটি চরিত্র : বাচস্পতি খুড়ো ও তারাসুন্দরী। মদ্যপ বেশ্যাসক্ত, পরান্নভোজী, সংস্কৃত কলেজের লিপিকরের কর্ম থেকে বহিষ্কৃত বাচস্পতি খুড়ো অপূর্ব কণ্ঠসম্পদের অধিকারী। সত্তরোর্ধ্ব বাচস্পতির সঙ্গে রূপোপজীবনী তারাসুন্দরীর প্রণয় মধুমাসের আশ্বাসকে বিস্মৃত হতে দেয় না।
মুকুরদীপি রায়
কারগিল যুদ্ধের প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীর চিকিৎসক প্রমিতের সঙ্গে মণিদীপার প্রেম প্রস্ফুটিত হয়েও পূর্ণতা পায় না। কিন্তু শাশ্বত হয়ে রয়ে যায় তাদের মধ্যে বিনিমিত কিছু চিঠি, চিঠির ভেতরের আখ্যান আর জ্যোৎস্নার মতো রাতের আকাশে ভেসে বেড়ানো কয়েকটি শব্দ।
বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়
চিনের আন্তর্জাতিক কবিতা উৎসবে ভারতের প্রতিনিধি কবি এই উপন্যাসের নায়ক নয়, সূত্রধরমাত্র। তবু সেই সূত্রেই সে হয়ে ওঠে এক আশ্চর্য আখ্যানের অংশ। আবিষ্কার করে সাসপেন্সের সুতো নয়, জীবন এবং উপন্যাস দুটোকেই এগিয়ে নিয়ে চলে বিনিসুতোর ভালোবাসা। এই উপন্যাসে চিন কোনো টুরিস্ট স্পট নয়। কম্পাস যেরকম একটা বিন্দুর ওপর পা রেখে এঁকে ফেলে বড়ো একটা বৃত্ত, চিন এখানে সেরকমই এক বিন্দু। সেই বিন্দুতে সারা পৃথিবীর কাহিনিসিন্ধু এসে মিশেছে। ঢেউয়ের পরে ঢেউ ভেঙে ওরাই গড়ে তুলেছে তারাবন্দর।
সেই কোয়েলের কাছে থেকে তিনি আমাদের নিয়ে গেছেন একের পর এক মাধুকরী সংগ্রহের আরণ্যক অভিযান। পাশাপাশি, তাঁর তীব্র নাগরিক চেতনা উন্মোচিত করেছে মধ্যিবত্ত ও উচ্চমধ্যিবত্ত বাঙালি সমাজের যাবতীয় ভণ্ডামিকে। এরই মাঝে প্রস্ফুটিত হয়েছে প্রেম, তার তীব্র আবেগ, অনুপম অনুভব এবং শাশ্বত সংরাগ নিয়ে। এই পাঁচটি উপন্যাসেও অনায়াস ঋজুতায় বুদ্ধদেব ছুঁয়ে নেন নারীচরিত্র চিত্রায়ণে দক্ষতায় শীর্ষেন্দু। ‘উঁচুমহল’-এর মনীষা, ‘ঋক’-এর তৃষ্ণা, ‘আলোকঝারির দিনগুলিকে’-র শিলি, ‘পরিযায়ী’-র ঐশিকা এবং ‘ঝাঁকিদর্শন’-এর বউরানি—আমাদের চেনা চরিত্র হয়েও শেষ অবধি রয়ে যায় অচেনা। সৌন্দর্যে, সাহসে, রহস্যময়তায় তারা পাঠককে টেনে নিয়ে যায় ভিন্ন এক অন্তর্লোকের আরাধ্য দেবী আর বুদ্ধদেবের জাদুগদ্য তার চিরতৃষ্ণার্ত, চির-অপেক্ষমাণ, অভিমানী উপাসক।
Reviews
There are no reviews yet.