হাসি মানে তো শুধুই পেটে কাতুকুতু খেয়ে হেসে কুটোপাটি নয়, হাসির অনেকরকম পোশাক হতে পারে। শিশু-কিশোরদের জন্য লেখা সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের এই পঁচিশটি হাসির গল্পে আমরা দেখব সেই নানান ধরনের পোশাক পরা অদ্ভুত চরিত্রদের, যাদের কাণ্ডকারখানায় হাসি চেপে রাখা দায়। বেশিরভাগ সময়েই তারা আমাদের পরিচিত মানুষদের ছদ্মবেশে আসে। পড়লে মনে হতেই পারে এ যেন ফেলে আসা কোনো সময়ের গল্প। মিথ্যে নয় তা। ফেলে আসা সময়ের হারিয়ে ফেলা মানবিক সম্পর্কগুলোর মধ্যেই তো গল্পের চারা ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠে। বড়ো মামা, মেজো মামা, পিসি, কাকিমা_ওঁরাই তো আনমনে, ভুল করেই হয়তো-বা সঞ্জীবের গল্পের চরিত্র হয়ে ওঠেন। আমরা পড়ি ওঁদের কথা, পড়ে হসি আবার পড়তে পড়তেই কখন যে মনটা উদাস হয়ে যায় খেয়ালও রাখি না। চারপাশে কোথাও আর সেই যৌথ পরিবারের গমগমে পরিবেশ, রাশভারী বড়োরা আর তাঁদের প্রাণখোলা হাসি নেই! ভ্যা নি শ।
সুখু আর দুখু / Sukhu ar Dukhu
₹70.00সুনির্মল চক্রবর্তী
এক যে ছিল তাঁতি। তার দুই বউ। বড়ো বউয়ের মেয়ের নাম দুখু। ছোটো বউয়ের মেয়ের নাম সুখু। বাবার মৃত্যুই কাল হল দুখুর। তাকে আর তার মাকে তাড়িয়ে দিল ছোটো বউ আর সুখু। দুখু আর দুখুর মা আশ্রয় নিল জঙ্গলে, বানাল একটা ছোট্টো কুঁড়েঘর, তুলো থেকে সুতো কেটে কোনোরকমে দিন চালাতে লাগল। একদিন মা গেল নদীতে চান সারতে। দুখু তখন সুতো কাটতে ব্যস্ত। হঠাৎ সাঁই সাঁই করে ছুটে এল বাতাস। ঝড়ের আকার নিয়ে দমকা হাওয়ায় সে উড়িয়ে নিয়ে চলল দুখুর তুলো। কাঁদতে কাঁদতে দুখু ঝড়ের পেছনে থাকা বাতাসের সঙ্গে সঙ্গে চলল। পথে দেখা হল কালো গোরু, কলাগাছ, সাদা ঘোড়া আর বোয়াল মাছের সঙ্গে। শেষমেষ সে পৌঁছোল অদ্ভুত এক বাড়ির উঠোনে এক বুড়িমার কাছে। বুড়িমার কথামতো সামনের পুকুরে দিতে গেল দুই ডুব। আর তার পরেই যাদুর মতো বদলে গেল তার জীবন। কিন্তু তার হিংসুটে বোন সুখু আর বড়ো বউ_তাদের কী হল? জানতে গেলে পড়তে হবে সুনির্মল চক্রবর্তীর দুখু আর সুখু। সঙ্গে যুধাজিৎ সেনগুপ্তর অনবদ্য অলংকরণ। খুব ছোটোদের সঙ্গে সঙ্গে কিশোর, এমনকী পরিণত পাঠকেরাও এড়িয়ে যেতে পারবেন না চিরায়ত এই রূপকথার আমোঘ আকর্ষণ।
Reviews
There are no reviews yet.