(বিশ্বনাথা দয়োহনুসারতঃ)
ড. সাধনকুমার পাত্র
₹100.00 ₹70.00
(বিশ্বনাথা দয়োহনুসারতঃ)
ড. সাধনকুমার পাত্র
(বিশ্বনাথা দয়োহনুসারতঃ)
ড. সাধনকুমার পাত্র
অমিত ভট্টাচার্য
অন্ধকার থেকে অন্ধকারে নয়। অন্ধকার থেকে আলোয় উত্তরণই মানবজীবনের সার্থকতা। প্রাচীন ভারতের শাস্ত্র-সাহিত্য–দর্শনই কেবল নয়, আধুনিক সাহিত্যেও যতদূর সম্ভব হয়েছে, প্রসারিত দৃষ্টি নিয়ে সেসবের মননসমৃদ্ধ দীপ্তি পাঠকের দরবারে পৌঁছে দেওয়ার নিরলস প্রয়াস মিথকথা শীর্ষক গ্রন্থটিতে লক্ষণীয়। একদিকে পরম্পরাবাহিত সামাজিক ও পারিবারিক পরিবেশজনিত ভ্রান্ত ধারণা আপামর জনতাকে শিক্ষা-ডিগ্রি নির্বিশেষে এখনও কীভাবে আচ্ছন্ন করে রাখে, অপরদিকে ঋষিদের কল্পকথায় রূপকাকারে চিত্তশুদ্ধির আবাহন_এই দুয়েরই প্রতিচ্ছবি মূর্ত হয়ে উঠেছে নির্বাচিত চোদ্দোটি কাহিনিতে।
সম্পাদনা বরুণকুমার চক্রবর্তী
লোকজ শিল্প গ্রন্থটি লোকশিল্প সংক্রান্ত পঞ্চাশটি প্রবন্ধের সংকলন। সংকলিত প্রবন্ধগুলিকে সাতটি উপবিভাগে বিন্যস্ত করা হয়েছে। লোক চিত্রকলা পর্যায়ে স্থান পেয়েছে মোট আটটি আলোচনা। এই পর্যায়ে বাংলার আলপনা, কালীঘাটের পট, জড়ানো পটচিত্র, দেওয়াল চিত্র, চড়িদার মুখোশ, দশাবতার ভাগ, পুঁথির পটচিত্র এবং দুর্গা-লক্ষ্মীরা স্থান পেয়েছে। ধাতু নির্মিত লোকশিল্প পর্যায়ে স্থান পেয়েছে মোট পাঁচটি আলোচনা। আলোচিত বিষয়গুলির মধ্যে রয়েছে তাম্র শিল্প, লৌহ শিল্প, ডোকরা শিল্প, কাঁসা-পেতল শিল্প এবং বীরভূমের সেরপাই শিল্প। বাঁশ বেত ও পাঁট শিল্প পর্যায়ে মোট চারটি আলোচনাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই বিভাগে আলোচিত হয়েছে বেত শিল্প, পাট শিল্প, ত্রিপুরার বাঁশ শিল্প, নকশি ছাঁদ ও বাঁশ কারিগর। মাটি ও কাঠের লোকশিল্প-র অন্তর্ভুক্ত হয়েছে কৃষ্ণনগরের মৃৎশিল্প, বলাগড়ের নৌশিল্প, বাংলার মন্দির শিল্প, টেরাকোটা, দারু ভাস্কর্য শিল্প প্রসঙ্গে ছ-টি রচনা। বয়নশিল্প পর্যায়ে আলোচিত বিষয়গুলির মধ্যে রয়েছে নকশিকাঁথা, বাংলাদেশের জামদানি, উত্তরবঙ্গের মেচ জনগোষ্ঠীর বয়ন শিল্প, রেশম শিল্প ইত্যাদি। প্রবন্ধের সংখ্যা এই পর্যায়ে সাত। বৈচিত্রময় লোকশিল্প পর্যায়ে সর্বাধিক_মোট পনেরোটি_আলোচনাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আলোচিত বিষয়গুলির মধ্যে রয়েছে আমসত্ত্ব ও সন্দেশের ছাঁচ, উত্তরবঙ্গের শোলা শিল্প, মুর্শিদাবাদের গজদন্ত শিল্প, বাংলার হস্তশিল্প, তুলসী মঞ্চ, বাংলাদেশের শীতলপাটি, বড়ি শিল্প, কুসুম শিল্প, পুরুলিয়ার লাক্ষা শিল্প, চন্দননগরের শঙ্খ শিল্প ইত্যাদি। পাঁচটি প্রবন্ধকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে লোকশিল্প সম্পৃক্ত তাত্ত্বিক ভাবনা পর্যায়ে। গ্রন্থটির বৈশিষ্ট্য হল : সংকলিত রচনায় মূলত ক্ষেত্রানুসন্ধানলব্ধ অভিজ্ঞতার ওপর নির্ভরতা। সেইসঙ্গে পর্যাপ্তসংখ্যক আলোকচিত্রের যোগ্য সংগত। আলোচনায় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে কয়েকটি নির্বাচিত অঞ্চলকে। যেমন_লাক্ষাশিল্পের জন্য পুরুলিয়া, শঙ্খ শিল্পের জন্য চন্দননগর, জামদানি ও শীতলপাটির জন্য বাংলাদেশ কিংবা গজদন্তের জন্য মুর্শিদাবাদকে। আলোচকদের মধ্যে প্রবীণ গবেষক যেন আছেন, তেমনি আছেন নবপ্রজন্মের নবীন গবেষকও।
বাসুদেব মোশেল
মোগল যুগের বর্ণময় ইতিহাসের কথা সকলেই জানি। মোগলরা কোন প্রকৃতির শাসক ছিলেন তাও আমাদের অজানা নয়। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না_তাঁদের প্রাত্যহিক জীবনের সাতকাহন। তাঁদের ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ তো ছিলই, সেই সঙ্গে ছিল তাঁদের নানারকমের জীবনপরিচর্যার ব্যাপার-স্যাপার। কেমন ছিল তাঁদের খাওয়া-দাওয়া, চলাফেরা, শিকার যাত্রা, হাতি-ঘোড়া ও গোরুর খাওয়া-দাওয়ার খাইখরচা। খুনোখুনিতেও তাঁদের ভয়ডর ছিল না, অসুখবিসুখেও যে চিকিৎসার ব্যবস্থা ছিল_তা জানতে লেখকের প্রয়াস ধরা পড়েছে লেখার সঙ্গে ছবির আশ্চর্য সম্মিলনে।
সংকলন ও সম্পাদনা অজিত বসু
এফ এম-এর উচ্চকিত নিনাদে বেতার আজ শুধু স্মৃতিমাত্র, বাঙালি অতি প্রিয় নস্ট্যালজিয়ায় তার স্থান। আর শীতের দুপুরে মাদুরে শরীর এলিয়ে দিয়ে বাঙালি তখন শুধু বেতারে শিশুমহল, গল্পদাদুর আসর কিংবা অনুরোধের আসরই শুনত না, উলটোত বেতার জগৎ-এর পাতাও। সেই ১৯২৯-এর ২৭ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার থেকে পাক্ষিক এই পত্রিকার পথ চলা শুরু। এতে যেমন থাকত বেতারের অনুষ্ঠানসূচি, পাট ও গানির দর, তেমনই ছাপা হত প্রবন্ধ, নিবন্ধ, কবিতা ও কথাসাহিত্য। বেতার জগৎ-এর এই সংকলনে আমরা স্থান দিয়েছি বেতার জগৎ-এর প্রকাশিত বিবিধ প্রবন্ধ ও স্মৃতিচারণ-এর পাশাপাশি, পাক্ষিক এই পত্রিকার দুটি শারদীয় সংখ্যায় প্রকাশিত নির্বাচিত কবিতাগুচ্ছকে। এই সংগ্রহ একদিকে যেমন বেতারের পুরোনো দিনগুলিকে মনে করিয়ে দেবে, তেমনই নানা স্বাদের বিখ্যাত রচনাগুলির নির্বাচিত উপস্থাপনার মাধ্যমে বহুলাংশে আমাদের সাহিত্যপিপাসাও মেটাবে।
চণ্ডী লাহিড়ী
শুরু সেই ১৯৫২-তে, জমছে তো জমছেই, কিংবদন্তীর পাড়াড়! কখনো নিজের দেখা বিখ্যাত ব্যক্তি, কখনো তাঁদের জীবনীর ছেঁড়াপাতা, চানাচুরের ঠোঙা, বিদেশি সাহিত্যের টুকরো সংবাদ_বহুবিচিত্র সংগ্রহ। বাংলায় Anecdote–এর বই নেই। নেই বলে, কোনোদিনই হবে না? চণ্ডী লাহিড়ী শুরু করলেন_চলমান প্রসঙ্গ_অজস্র না-জানা ঘটনা। বাংলা কার্টুনের ইতিহাস আর বাঙালির রঙ্গব্যঙ্গ-চর্চার ইতিহাস আগেই হয়েছে। এবার বাংলায় Anecdote শুরু হল_নিজের কয়েক হাজার সংগ্রহ থেকে প্রথম কিস্তি। সাহিত্য-সংগীত-ইতিহাস মহাযুদ্ধ, বিজ্ঞান ইত্যাদির সাড়ে বত্রিশ ভাজা দিয়ে শুরু। ইতিহাসের সম্মার্জনীর প্রবল প্রহারে সবই তো ডাস্টবিনে হারাতে বসেছিল। তার থেকেই কয়েকটি উজ্জ্বল উদ্ধার।
শ্রীনিরপেক্ষ
বিগত শতাব্দীর পঞ্চশ-ষাটের দশকে যুগান্তর পত্রিকায় শ্রীনিরেপক্ষ ছদ্মনামের অন্তরালে নবীন সাংবাদিক অমিতাভ চৌধুরীর ‘নেপথ্যদর্শন’ ধারাবাহিক রচনা ভারতীয় তথা এশীয় সাংবাদিকতায় নতুন যুগের সূচনা করে। অনুসন্ধানমূলক সাংবাদিকতার অন্যতম পথিকৃৎ হিসেবে স্বীকৃত হন তিনি। প্রশাসনের নানা অনিয়ম-অনাচার-অবিচারের ঘটনাকে পাঠকের দরবারে তিনি হাজির করেন অসামান্য সৎসাহস এবং আপসহীন মনোভাব নিয়ে। সেইসঙ্গে এই কলমের বহু রচনায় ছিল অপ্রত্যাশিত নানান মানবিক উদ্ঘাটন। এই কারণেই এই প্রতিবেদনগুলি নিতান্ত সাময়িক রচনা না-থেকে হয়ে উঠেছে সমকালীন পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ইতিহাসের মূল্যবান দলিল। সেই সময়ের নবমূল্যায়নের জন্য আজও অপিরহার্য এই সংকলন।
Reviews
There are no reviews yet.