(বিশ্বনাথা দয়োহনুসারতঃ)
ড. সাধনকুমার পাত্র
₹100.00
(বিশ্বনাথা দয়োহনুসারতঃ)
ড. সাধনকুমার পাত্র
(বিশ্বনাথা দয়োহনুসারতঃ)
ড. সাধনকুমার পাত্র
Only logged in customers who have purchased this product may leave a review.
সম্পাদনা অলোক রায় ও গৌতম নিয়োগী
উনিশ শতকের বঙ্গীয় জাগরণ নিয়ে আমাদের কৌতূহলের অন্ত নেই। ওই শতকে ঔপনিবেশিক প্রেক্ষাপটের মধ্যে ঘটে চলেছিল নানা সুদূরপ্রসারী পরিবর্তন। মহাত্মা শিবচন্দ্র দেবের দ্বিশততম জন্মজয়ন্তী উৎসব উপলক্ষ্যে স্মারকগ্রন্থরূপে উনিশ শতকের বাংলা প্রকাশিত হল। শিবচন্দ্র ছিলেন উনিশ শতকের এক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। হিন্দু কলেজের প্রথম দিকের ছাত্র। ডিরোজিয়ো-র প্রত্যক্ষ ছাত্র, রামমোহন রায়ের দ্বারা অনুপ্রাণিত। কর্মজীবন সরকারি চাকরিতে উচ্চপদে আসীন ছিলেন, আবার নিজ অঞ্চল কোন্নগরের আধুনিক রূপকার হিসেবে সদা উদ্যোগী। ব্রাহ্মসমাজের আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে যুক্ত থেকে অংশ নিয়েছেন সাহিত্য ও সমাজ-সংস্কারে। তাঁর জীবনপর্ব (১৮১১_১৮৯০ সাল০০০) উনিশ শতকব্যাপী। সে-কথা স্মরণে রেখে এই স্মাকরগ্রন্থে সংকলিত হয়েছে নানা বিশেষজ্ঞ গুণীজনের লেখা একগুচ্ছ মূল্যবান গবেষণাধর্মী প্রবন্ধ। উনিশ শতকের বাংলা ও বাঙালি বিষয়ে প্রাজ্ঞ দুই ব্যক্তির সম্পাদনায় এই স্মারক গ্রন্থে শিবচন্দ্র দেবের পরিচয় তো আছেই, সেই-সঙ্গে আছে তাৎপর্যপূর্ণ উনিশ শতকের নানা অধ্যায়ের ওপর সন্ধানী আলোকপাত। যে শতকে ঐতিহ্য থেকে আধুনিকতার যাত্রাপথে নানা টানাপড়েন, সেই শতকের সমাজ, ধর্ম, সাহিত্য, রাজনীতি, অর্থনীতির উন্মোচন কৌতূহলী করবে পাঠকদের।
সম্পাদনা বারিদবরণ ঘোষ
মানুষ তাঁর ভাবভাষাকে লিপিবদ্ধ রূপ দিয়ে স্থায়িত্ব দিয়েছে। কিন্তু সে-ভাষার সঙ্গে স্বতঃস্ফূর্ত, আবেগময় কথ্য ভাষার দূরত্ব কখনোই ঘোচার নয়। বক্তব্য বা বক্তৃতার বিশেষ মূল্য এ-দৃষ্টিকোণ থেকেই। আবার কখনো সে-বক্তব্যকে পূর্বেই লিখে পরে সভা-সমিতিতে রাখার রীতিও বহুলপ্রচলিত। স্বতোৎসারিত কিংবা প্রস্তুত ভাষণ_উভয় প্রকার বক্তব্যেরই একটা স্থায়ী মূল্য থেকে যদি তাতে ধরা পড়ে মানুষের চিরন্তন ভাবনা-প্রবাহ। উনিশ ও বিশ শতকের বেশ কয়েকজন মনীষীর ভাষণ একত্রিত করে প্রস্তুত এই সংকলনে পাঠক অনুভব করবেন। তদানীন্তন যুগস্পন্দন। পাশাপাশি এইসব ভাষণে মিলবে সাহিত্য, বিজ্ঞান, শিল্পকলা, সংস্কৃতি, সমাজসংস্কার, ধর্ম প্রভৃতি বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষাবহ চিন্তা ও চেতনার অনুরণন। রবীন্দ্রনাথ, শরৎচন্দ্র, বিবেকানন্দের অনায়াসলভ্য ভাষণ যেমন এতে গৃহীত, তেমনই স্থান পেয়েছে বহু আয়াসে উদ্ধার করা অনেক খ্যাতনামা ব্যক্তিত্বের দুষ্প্রাপ্য ভাষণও।
দেবব্রত মল্লিক
নৌকার গঠন, হাল, পাটাতন, নাবিক-মাঝিমাল্লা থেকে শুরু করে বাতিঘর, ভাইকিং, ফিনিশীয় ও গ্রিক নৌযান, এমনকী সাহিত্য-সংস্কৃতি-লোকাচারে নৌকার উল্লেখ তো বটেই, নৌকার তত্ত্বতালাশ নিয়ে এমন বই বাংলায় প্রথম।
সুব্রতকুমার মাল
ব্রিটিশ শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তনের পূর্বে সমগ্র বঙ্গদেশে, বিশেষত মেদিনীপুরে, দেশজ শিক্ষার এক সমৃদ্ধ ধারা প্রবহমান ছিল, তা ভেঙে পড়ল কেন ? ১৮৩৫ সালের অ্যাডামস-এর রিপোর্ট অনুসারে জানা যায়, অতীতে মেদিনীপুর শিক্ষার দিক থেকে সর্বাগ্রে ছিল। তাহলে এখানে ব্রিটিশ শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তনের আগে কেন কালের করাল গ্রাসে এর অবলুপ্তি ঘটল ? এই গ্রন্থে আছে, প্রাক্ঔপনিবেশিক আমলে মেদিনীপুরে দেশজ শিক্ষার ধারা প্রাথমিক শিক্ষার অবস্থা, নারীশিক্ষার অগ্রগতি এবং লোকশিক্ষার অবস্থা। সেইসঙ্গে মেদিনীপুরের আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যগুলিও বিস্তারিতভাবে আলোচিত।
অমিত ভট্টাচার্য
অন্ধকার থেকে অন্ধকারে নয়। অন্ধকার থেকে আলোয় উত্তরণই মানবজীবনের সার্থকতা। প্রাচীন ভারতের শাস্ত্র-সাহিত্য–দর্শনই কেবল নয়, আধুনিক সাহিত্যেও যতদূর সম্ভব হয়েছে, প্রসারিত দৃষ্টি নিয়ে সেসবের মননসমৃদ্ধ দীপ্তি পাঠকের দরবারে পৌঁছে দেওয়ার নিরলস প্রয়াস মিথকথা শীর্ষক গ্রন্থটিতে লক্ষণীয়। একদিকে পরম্পরাবাহিত সামাজিক ও পারিবারিক পরিবেশজনিত ভ্রান্ত ধারণা আপামর জনতাকে শিক্ষা-ডিগ্রি নির্বিশেষে এখনও কীভাবে আচ্ছন্ন করে রাখে, অপরদিকে ঋষিদের কল্পকথায় রূপকাকারে চিত্তশুদ্ধির আবাহন_এই দুয়েরই প্রতিচ্ছবি মূর্ত হয়ে উঠেছে নির্বাচিত চোদ্দোটি কাহিনিতে।
রবীন্দ্রসংগীত বিষয়ক আমাদের সকল প্রশ্নের উত্তর হয়তো এ বইয়ে পাওয়া যাবে না। কিন্তু যা পাওয়া যাবে, তার মূল্যও কিছু কম নয়। কবির গান সংক্রান্ত এতাবৎ সকল গবেষণালব্ধ জ্ঞান ও অন্তর্দৃষ্টি একদিকে যেমন এ গ্রন্থ আত্মস্থ করেছে, তেমনই আবার আলোকিত করেছে বহু অনালোকিত ও অনালোচিত প্রসঙ্গ। শুধি কবির গান শুনে যাঁদের প্রাণ ভরে না, যাঁরা যেতে চান সেই গানের গভীরে, এই গ্রন্থ তাঁদের জন্য। আর যাঁরা খুঁজেত চান গানের ওপারে দাঁড়িয়ে রয়েছেন যিনি সেই পরমকে, তাঁরাও এই গ্রন্থ থেকে পেয়ে যাবেন সূত্রসন্ধান। নিঃসন্দেহে রবীন্দ্রনাথের গানের ভুবন রবীন্দ্রসংগীতচর্চা ও উপভোগের ক্ষেত্র এক দিশারিগ্রন্থের ভূমিকা পালন করবে।
Reviews
There are no reviews yet.