দেবব্রত মল্লিক
নৌকার গঠন, হাল, পাটাতন, নাবিক-মাঝিমাল্লা থেকে শুরু করে বাতিঘর, ভাইকিং, ফিনিশীয় ও গ্রিক নৌযান, এমনকী সাহিত্য-সংস্কৃতি-লোকাচারে নৌকার উল্লেখ তো বটেই, নৌকার তত্ত্বতালাশ নিয়ে এমন বই বাংলায় প্রথম।
₹125.00 ₹87.50
দেবব্রত মল্লিক
নৌকার গঠন, হাল, পাটাতন, নাবিক-মাঝিমাল্লা থেকে শুরু করে বাতিঘর, ভাইকিং, ফিনিশীয় ও গ্রিক নৌযান, এমনকী সাহিত্য-সংস্কৃতি-লোকাচারে নৌকার উল্লেখ তো বটেই, নৌকার তত্ত্বতালাশ নিয়ে এমন বই বাংলায় প্রথম।
দেবব্রত মল্লিক
নৌকার গঠন, হাল, পাটাতন, নাবিক-মাঝিমাল্লা থেকে শুরু করে বাতিঘর, ভাইকিং, ফিনিশীয় ও গ্রিক নৌযান, এমনকী সাহিত্য-সংস্কৃতি-লোকাচারে নৌকার উল্লেখ তো বটেই, নৌকার তত্ত্বতালাশ নিয়ে এমন বই বাংলায় প্রথম।
অমিত ভট্টাচার্য
ধর্মানুভূতি, গৃহজীবনের সুখ ও শান্তি এবং শিল্পচেতনাকে সংমিশ্রিত করে আর্যেতর সমাজে ও আর্যসমাজের মেয়েমহলে দেবমহিমা বিষয়ক কাহিনি বিবৃত হত। বস্তুত, ব্রতকথার কোনো নির্দিষ্ট রচনাকার নেই। আমাদের সমাজই ব্রতকথার স্রষ্টা ও সংরক্ষক। অগণিত মানুষের সমবেত চেষ্টার দরুন সমাজমানস থেকেই ব্রতকথার জন্ম। পরিবারের অন্তঃপুরে যেসকল লোকধর্মাশ্রয়ী দেবদেবীর পূজার্চনা চলে আসছিল মেয়েদের ব্রতকথা শীর্ষক গ্রন্থটিতে তা স্পষ্ট ও সরল ভঙ্গিমায় ব্যাখ্যাত হয়ে হিন্দুর সমাজ-আদর্শকে রক্ষার চেষ্টা করেছে।
সংকলন ও সম্পাদনা অজিত বসু
এফ এম-এর উচ্চকিত নিনাদে বেতার আজ শুধু স্মৃতিমাত্র, বাঙালি অতি প্রিয় নস্ট্যালজিয়ায় তার স্থান। আর শীতের দুপুরে মাদুরে শরীর এলিয়ে দিয়ে বাঙালি তখন শুধু বেতারে শিশুমহল, গল্পদাদুর আসর কিংবা অনুরোধের আসরই শুনত না, উলটোত বেতার জগৎ-এর পাতাও। সেই ১৯২৯-এর ২৭ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার থেকে পাক্ষিক এই পত্রিকার পথ চলা শুরু। এতে যেমন থাকত বেতারের অনুষ্ঠানসূচি, পাট ও গানির দর, তেমনই ছাপা হত প্রবন্ধ, নিবন্ধ, কবিতা ও কথাসাহিত্য। বেতার জগৎ-এর এই সংকলনে আমরা স্থান দিয়েছি বেতার জগৎ-এর প্রকাশিত বিবিধ প্রবন্ধ ও স্মৃতিচারণ-এর পাশাপাশি, পাক্ষিক এই পত্রিকার দুটি শারদীয় সংখ্যায় প্রকাশিত নির্বাচিত কবিতাগুচ্ছকে। এই সংগ্রহ একদিকে যেমন বেতারের পুরোনো দিনগুলিকে মনে করিয়ে দেবে, তেমনই নানা স্বাদের বিখ্যাত রচনাগুলির নির্বাচিত উপস্থাপনার মাধ্যমে বহুলাংশে আমাদের সাহিত্যপিপাসাও মেটাবে।
অগ্নিকুমার আচার্য
সাহিত্যের অঙ্গনে প্রবন্ধ কোনো বর্ষীয়ান বটবৃক্ষ যেন। তার অগণিত শাখা-প্রশাখার মধ্যে জ্ঞানমূলক এহেন বিষয় নেই। যা আশ্রয় পায় না। সাহিত্য, বিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান, শিল্পকলা, প্রত্নতত্ত্ব, সমাজতত্ত্ব, নৃতত্ত্ব, দর্শন, রাষ্ট্রনীতি, অর্থনীতি, মহৎ জীবনকথা ইত্যাদি প্রবন্ধের মাধ্যমেই উপস্থিত হয় পাঠকের দরবারে। নানা নিবন্ধ এমনই এক প্রবন্ধগ্রন্থ, যা পাঁচটি পর্বে সংকলিত করেছে বাইশটি অনন্য প্রবন্ধকে। এখানে একদিকে যেমন আমরা পাই লোকসংস্কৃতি, ধর্মসংস্কৃতি ও সাহিত্য বিষয়ক প্রবন্ধ, অন্যদিকে তেমনই রয়েছে মহৎ জীবনকথা ও বিবিধ বিষয়ক নিবন্ধ। এক-একটি পর্বের মধ্যেও কত-না বৈচিত্র! তাই লোকসংস্কৃতি বিভাগে যেমন আমরা পড়ি ব্রাত্যজনের প্রাণের উৎসব চড়ক-গাজনের কথা, তেমনই আমাদের মুগ্ধ করে নামপদকীর্তন বৃত্তান্ত। এ-রকম সব ক-টি পর্বেই আমরা পেয়ে যাই আলোকসামান্য এক-একটি প্রবন্ধ_তা সে নজরুলের হিন্দুসাধনা নিয়েই হোক, কিংবা বহুবিচিত্ররূপিণী দেবী দুর্গা প্রসঙ্গে। অগ্নিকুমার আচার্য লিখিত প্রবন্ধগুলির সহজ-সরল উপস্থাপনভঙ্গি, ক্ষুরধার যুক্তিবিন্যাস, প্রাসঙ্গিক তথ্যের যথাযথ উপস্থাপন এবং সর্বোপরি, ভাষার অনন্য প্রসাদগুণ নানা নিবন্ধকে করে তুলেছে ব্যতিক্রমী তথা বহুমাত্রিক।
রাজেশ বসু
উত্তরাধুনিক এক অন্ধকার পৃথিবীর প্রতিনিধি এ-কাহিনির নায়ক। কোমায় আচ্ছন্ন তার মা। নিঃসাড় মৃতবৎ তাঁর বেঁচে থাকা। অবশেষে মৃতবৎ তাঁর বেঁচে থাকা। অবশেষে মৃত্যু। আর তারপরই নায়কের বাড়ি ফেরা। টেলিফোন। ও-প্রান্তে বান্ধবী উজ্জ্বয়িনী যে শুনতে পায় শয়তানের কন্ঠস্বর। বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে পড়া। এবার গন্তব্য সুখলডিহি। এক আদিবাসী গ্রাম। সেখানে অপেক্ষমাণ আর এক পৃথিবী_ তার আদিম ঐশ্বর্য আর আধুনিক লালসা নিয়ে। জনদরদি চিকিৎসক, অসহায় আদিবাসী তরুণী, অত্যাচারী পুলিশ অফিসার, লম্পট ব্যবসায়ী, প্রতিবাদী নারী, রাষ্ট্রদ্রোহী তরুণ_বিচিত্র নানান চরিত্র এক মহাজগতের প্রেক্ষাপটে উপস্থিত সেখানে। কী হয় তারপর?
আশিসতরু মুখোপাধ্যায়
অমর পাল লোকগানের সেই বিরল শিল্পী যাঁর কণ্ঠে গান আর শুধু গান থাকে না, হয়ে ওঠে দর্শন। ভাটিয়ালি গানের প্রবাদপ্রতিম এই শিল্পীর জীবনও তাঁর কণ্ঠ-নিঃসৃত সংগীতের মূর্ছনার মতো ব্যঞ্জনাময়। এই গ্রন্থেই প্রথম ধরা রইল তাঁর কিংবদন্তী হয়ে ওঠার দীর্ঘ ঘটনাবহুল সংগ্রামময় কাহিনি। সেই আখ্যান তাঁর গানের মতোই সরল, মোহময় ও জাদুকরি। কিন্তু কেন এ মুহূর্তে অমর পালই দুই বাংলায় লোকগানের সবচেয়ে সম্মানিত স্বর? তাঁর কণ্ঠে আছে সেই হিরণ্ময় ঐশ্বর্য, যা আমাদের রোমাঞ্চিত করে অনির্বচনীয় আবিষ্কারের পুলকে। সে আবিষ্কার শাশ্বত এক জীবনবোধকে খুঁজে পাওয়ার আনন্দে প্রোজ্জ্বল। প্রান্তিক মানুষের সহজিয়া জীবনে যে জাদু লুকিয়ে আছে, তার অপরূপ সৌন্দর্যকে আমরা চিনতে পেরেছি তাঁরই সৌজন্যে। ভাঙা নাওয়ের যাত্রী হয়ে জীবনের অকুল দরিয়ায় এই যে আমাদের অনির্দেশ ভেসে চলা, তার সূত্র তো বাঁধা আছে ওই সুরসাধকেরই মরমিয়া কন্ঠস্বরে।
সুশীলকুমার দে সংকলন ও ভূমিকা অলোক রায়
আচার্য সুশীলকুমার দে-র বিখ্যাত গ্রন্থগুলি ইংরেজিতে লেখা হলেও তাঁর বাংলায় লেখা প্রবন্ধ-নিবন্ধাদির সংখ্যাও নিতান্ত অল্প নয়। সংস্কৃত অলংকারশাস্ত্র ও সাহিত্যের অবিসংবাদী এই পাণ্ডিত্যের ইংরেজি ও বাংলা ভাষা সাহিত্যেও অধিকার ছিল সুবিদিত। বাংলা ভাষা-সাহিত্য নিয়ে তাঁর লেখালেখির শুরু ১৯১৫ সালে। সাহিত্যালোচনায় সুশীলকুমারের অবলম্বন শুধুমাত্র আলংকারিকদের অনুশাসন নয়, পাশ্চাত্য সাহিত্যতত্ত্ব অর্জিত বোধও। লেখকের জীবৎকালে প্রকাশিত দুটি গ্রন্থ_দীনবন্ধু মিত্র (১৯৫১ সাল) এবং নানা নিবন্ধ (১৯৫৩ সাল)_বহুদিন যাবৎ মুদ্রিত না-থাকায় রয়ে গিয়েছিল পাঠকের দৃষ্টির অন্তরালে। এই দুটি গ্রন্থের সঙ্গে সুশীলকুমারের আরও কিছু দুষ্প্রাপ্য লেখা একত্র করে প্রকাশিত হল বর্তমান গ্রন্থটি।
Reviews
There are no reviews yet.