চিড়িয়াখানার জীবজন্তুদের জীবনের আশ্চর্য এক জগৎ । |
KOISHORER RABINDRANATH
₹140.00এই সংকলনে শুধু লেখা নয়, আছে তাঁর আঁকা অসংখ্য ছবি, সঙ্গে রবিজীবনী এবং জীবনের নানান মজার কাহিনি, যেখানে তিনি এক অন্য রবীন্দ্রনাথ । |
₹150.00 ₹105.00
চিড়িয়াখানার জীবজন্তুদের জীবনের আশ্চর্য এক জগৎ । |
এই সংকলনে শুধু লেখা নয়, আছে তাঁর আঁকা অসংখ্য ছবি, সঙ্গে রবিজীবনী এবং জীবনের নানান মজার কাহিনি, যেখানে তিনি এক অন্য রবীন্দ্রনাথ । |
তিনজন প্রবীন মানুষ । সংসার – সমুদ্রে ভাসতে ভাসতে এসে নোঙর করছেন নতুন আশয়ে । |
ভূত আগেও ছিল এখনও আছে, তবে এই বইয়ের ভূতেরা কাউকে ভয় দেখায় না – নিজেরাই ভয় পায় । ভূতের সঙ্গে রয়েছে মজা, হাসি আর লোককথা-রূপকথার অনাবিল আনন্দ । আজকের যুগে কোথায় যেন হারিয়ে যেতে বসেছে শিশুমনের সেই আনন্দের খোরাক । |
এক মহান উদ্দেশ্য নিয়ে আমি পশ্চিমের পথে যাত্রা করেছি। ব্রাম্ভণ্যদেশ অবধি না – পৌঁছে আর পূর্বদিকে যাব না । পথে যদি মৃত্যু আসে আসুক, দুঃখ নেই। —— ইউ – এন – সাঙ |
চিড়িয়াখানার জীবজন্তুদের জীবনের আশ্চর্য এক জগৎ । |
সম্পাদনা দীপককুমার ভট্টাচার্য
সৃষ্টিশীল, আত্মমগ্ন, বিনম্র কোনো মানুষ যখন কঠোর জীবনসংগ্রামের মধ্য দিয়ে সংস্কৃতিচর্চায় স্বীয় প্রতিভার স্বাক্ষর রাখেন, তখন নিজের অগোচরেই তিনি বদলে দিতে থাকেন তাঁর পারিপার্শ্বিককে। আর এভাবেই ক্রমে সৃষ্টি হয় এক জ্যোতির্বলয়, যার কেন্দ্রে স্বয়ং সেই জ্যোতির্ময় মানব। রাখাল রায়চৌধুরি এমনই এক ব্যক্তিত্ব। কবিতা, গল্প, নাটক, উপন্যাস, ছোটোদের জন্য লেখা_সাহিত্যের সকল শাখায় তাঁর অনায়াস বিচরণ। শিশুসাহিত্যে জাতীয় পুরস্কার বিজয়ী নিরহংকার এই মানুষটির অবিস্মরণীয় অবদান ‘ত্রিপুরা কৃষ্টিসংহতি’ নামে এক মুক্ত সংস্কৃতিচর্চাকেন্দ্র স্থাপন। এই প্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ত্রিপুরায় প্রগতিশীল সাহিত্য আন্দোলন এক ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে। বর্তমান গ্রন্থে তিনটি পর্বে সংকলিত হয়েছে রাখালবাবুর জীবন ও সাহিত্য সংক্রান্ত নিবন্ধ ও প্রবন্ধগুচ্ছ। নিঃসন্দেহে এই আয়োজন বাংলা সাহিত্যের এক অন্যতম শ্রেষ্ঠ কুশীলবের জীবন ও কর্মের ডকুমেন্টেশন হয়ে থাকবে।
দেবাশিস বসু
গভীর স্বদেশানুরাগ, অন্তহীন দানশীলতা আর স্বাজাত্যবোধ এঁদের একজনকে করেছিল ‘দেশবন্ধু’। ইংরেজ সৈন্যের চালানো গুলি আর একজন নিয়েছিলেন বুক পেতে_মেদিনীপুরের অগ্নিকন্যা তিনি। প্রথমে বিপ্লবী, পরে ঋষিরূপে ভারতাত্মার বাণীমূর্তি হয়ে উঠলেন আর একজন। প্রথমে ছুরি হাতে বাঘ, পরে মাউজার পিস্তল হাতে ব্রিটিশের মোকাবিলা করল এক অকুতোভয় বাঙালি যুবক। শিবাজির মতো পোশাক বদলে বদলে পরাক্রান্ত ইংরেজরাজের প্রতিস্পর্ধী এক রণবাহিনী গড়ে তুললেন জনৈক ‘লীলাবতী’। বন্দে মাতরম্ মন্ত্র উচ্চারণ করে ফাঁসির দড়ি গলায় পরে নিল আঠেরো বছরের এক অদম্য কিশোর। সুদূর চট্টগ্রামে ব্রিটিশ সেনার অস্ত্রাগার লুঠ করে স্বাধীন জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করলেন এক শিক্ষক। পটাশিয়াম সায়নাইড খেয়ে আত্মোৎসর্গ করল তাঁর আদর্শে অনু্প্রাণিত এক ছাত্রী। জার্মানি থেকে জাপান-মালয়েশিয়া-ব্রহ্মদেশ হয়ে আর একজন যাত্রা করলেন পশ্চিমে। লক্ষ্য দিল্লি। জয় হিন্দ্ ধ্বনিতে প্রথম মুখরিত হল ভারতের আকাশ-বাতাস। রাইটার্স বিল্ডিং-এর অলিন্দে বন্দুকের লড়াইয়ে ব্রিটিশ সিংহের ঘুম কেড়ে নিল তিন যুবক। কার্জনের বঙ্গভঙ্গ আইনের বিরুদ্ধে বাঙালিকে ঐক্যবদ্ধ করতে নিরলস প্রচেষ্টা এক সম্পাদক। আর স্বাধীনতার স্বপ্ন চোখে নিয়ে টানা তেষট্টি দিন অনশনের পর প্রাণবিসর্জন দিলেন আর এক বাঙালি যুবক। দু-মলাটের মধ্যে ধরা রইল এরকম বারোটি জীবন, যা মানবজীবনের সমস্ত সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করে হয়ে উঠেছে মহাজীবন। বাংলার বিপ্লবীদের অগ্নিবর্ষী সেই দিনগুলির গল্প-কথায় আমরা খুঁজতে চেয়েছি স্বাধীনতার মানে।
সংকলন ও সম্পাদনা অজিত বসু
এফ এম-এর উচ্চকিত নিনাদে বেতার আজ শুধু স্মৃতিমাত্র, বাঙালি অতি প্রিয় নস্ট্যালজিয়ায় তার স্থান। আর শীতের দুপুরে মাদুরে শরীর এলিয়ে দিয়ে বাঙালি তখন শুধু বেতারে শিশুমহল, গল্পদাদুর আসর কিংবা অনুরোধের আসরই শুনত না, উলটোত বেতার জগৎ-এর পাতাও। সেই ১৯২৯-এর ২৭ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার থেকে পাক্ষিক এই পত্রিকার পথ চলা শুরু। এতে যেমন থাকত বেতারের অনুষ্ঠানসূচি, পাট ও গানির দর, তেমনই ছাপা হত প্রবন্ধ, নিবন্ধ, কবিতা ও কথাসাহিত্য। বেতার জগৎ-এর এই সংকলনে আমরা স্থান দিয়েছি বেতার জগৎ-এর প্রকাশিত বিবিধ প্রবন্ধ ও স্মৃতিচারণ-এর পাশাপাশি, পাক্ষিক এই পত্রিকার দুটি শারদীয় সংখ্যায় প্রকাশিত নির্বাচিত কবিতাগুচ্ছকে। এই সংগ্রহ একদিকে যেমন বেতারের পুরোনো দিনগুলিকে মনে করিয়ে দেবে, তেমনই নানা স্বাদের বিখ্যাত রচনাগুলির নির্বাচিত উপস্থাপনার মাধ্যমে বহুলাংশে আমাদের সাহিত্যপিপাসাও মেটাবে।
সংকলন ও ভূমিকা শৈলেন ঘোষ
উপেন্দ্রকিশোর রায়চেৌধুরী (১২মে ১৮৬৩_২৩ ডিসেম্বর ১৯১৫) : শিশুসাহিত্যিক, সম্পাদক, চিত্রকর, শিল্পী, সংগীতজ্ঞ, তথা মুদ্রণশিল্প বিশারদ উপেন্দ্রকিশোরের জন্ম অবিভক্ত বঙ্গের মসুয়া গ্রামের সুবিখ্যাত রায় (পূর্বতন ‘দেনা’ বা ‘দেও’) পরিবারে। পিতা কালীনাথ (শ্যামসুন্দর মুনশি) মাতা জয়তারা। কালীনাথ ও জন্মতারার পাঁচ পুত্র, তিন কন্যার মধ্যে উপেন্দ্রকিশোর ছিলেন মধ্যম। পিতৃদত্ত নাম কামদারঞ্জন। কামদা যখন চার বছেরর শিশু, কালীনাথের জ্ঞাতিভাই জমিদার হরিকিশোর রায়চৌধুরী তাকে দত্তক নেন। নামকরণ করেন উপেন্দ্রকিশোর। মায়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে এন্ট্রান্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে উপেন্দ্রকিশোর কলকাতায় এসে প্রেসিডেন্সি কলেজে ভরতি হন। কিন্তু বিএ পাস করেন ক্যালকাটা মেট্রোপলিটন ইনস্টিটিউট থেকে ১৮৮৪ সালে। পরের বছরই তাঁর বিবাহ হয় ব্রাহ্মনেতা দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের জ্যেষ্ঠা কন্যা বিধুমুখী দেবীর সঙ্গে। সুখলতা, সুকুমার, পুণ্যলতা, সুবিনয় ও শান্তিলতা_তিন কন্যা, দুই পুত্রকে নিয়ে ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে এক সুখের সংসার। মুখ্যত শিশুসাহিত্যকে কেন্দ্র করেই উপেন্দ্রকিশোরের সাহিত্যপ্রতিভার স্ফুরণ ও বিকাশ। কলেজে পড়তে পড়তেই ১৮৮৩ সালে শিশুদের পত্রিকা সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল প্রথম রচনা। পরবর্তীকালে তিনি লিখেছিলেন সখা ও সাথী, মুকুল প্রভৃতি পত্রিকাতেও। ১৮৮৫-এ প্রকাশিত হল তাঁর লেখা ছোটোদের রামায়ণ । ওই একই বছের তাঁর নিজস্ব মুদ্রণ সংস্থা U. Ray & Sons.-এর প্রতিষ্ঠা। এরপর একে একে বেরোল ছোটোদের মহাভারত, সেকালের কথা, টুনটুনির বই । ১৯১৩-য় নিজের সম্পাদনায় উপেন্দ্রকিশোর প্রকাশ করলেন ছোটোদের জন্য সচিত্র মাসিক পত্রিকা সন্দেশ, নিঃসন্দেহে যা তাঁর স্মরণীয়তম কীর্তি। এর দু-বছর আট মাস বাদে যখন তাঁর জীবনাবসান ঘটে, ততদিনে এ পত্রিকার ৩২টি সংখ্যা তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত। ২২নং সুকিয়া স্ট্রিটের বাড়ি থেকে গোড়ার দিকে সন্দেশ প্রকাশিত হয়। মুদ্রক ও প্রকাশক ছিলেন ললিতমোহন গুপ্ত। পত্রিকাটি মুদ্রিত হত ৬৪/১ নং সুকিয়া স্ট্রিটে অবস্থিত লক্ষ্মী প্রিন্টিং ওয়ার্কস থেকে। ছড়া, রূপকথা, লোককথা, ইতিহাস, পুরাণ, আবিষ্কারের গল্প কিংবা নিখাদ কল্পকাহিনি_ শিশুসাহিত্যের এমন কোনো শাখার কথাই ভাবা যায় না, যা উপেন্দ্রকিশোর লেখনীর জাদুস্পর্শে নবপ্রাণে সঞ্জীবিত হয়নি। ছোটোদের রামায়ণ থেকে শুরু করে তাঁর লেখা সব গ্রন্থগুলির বাংলা শিশুসাহিত্যের চিরায়ত সম্পদ। তেমনই তাঁর গুপি গাইন বাঘা বাইন, বোকা জোলা, ঘ্যাঁঘাসু প্রমুখ চরিত্র তাদের জন্মলগ্ন থেকে শুরু করে আজ অবধি অবিস্মরণীয়।
সুনির্মল চক্রবর্তী
সুনির্মল চক্রবর্তী বাংলা শিশুসাহিত্যে একটি সুপরিচিত নাম। ছোটোদের জন্য তাঁর লেখা গল্প, রূপকথা, উপকথা, ছড়া-কবিতা, নাটক ইতিমধ্যেই শিশু-কিশোরদের মন জয় করে নিয়েছে। ছোটো ছোটো বাক্যে লেখা তাঁর গল্পে পাই মনোহারী ভাষা, সহজ সরলতা, রহস্যবোধ, কৌতুকমেশা এক মায়াবী গদ্য, যা ছুঁয়ে যায় শুধু ছোটোদের নয়, সব বয়সি পাঠকের মন। নতুন গ্রহে যতীনবাবু লেখকের বারোটি নতুন গল্পের সংকলন। এখানে আমরা যেমন মুগ্ধ হয়ে পড়ব মা-হাতি, বাবা-হাতি ও তাদের ছানা-হাতির গল্প, তেমনই পড়ে চমকে যাব বলরামবাবুর পোষা, পাখিটির বৃত্তান্ত, হ্যাংলা নামে এক ঘাসফড়িংয়ের কাহিনি, এমনকী পিকু নামে এক ভালুকছানার কাণ্ডও। অঙ্কে ভীষণ ভয় পেয়ে থাকা তারাপদবাবুর বিপদ কিংবা নতুন গ্রহকে মানুষের বাসযোগ্য করে তোলার দায়িত্বপ্রাপ্ত যতীনবাবুর আশ্চর্য অভিজ্ঞতার কথা শুনতে হলে এ বইয়ের পাতা না-উলটে গতি নেই।
Reviews
There are no reviews yet.