পাঁচুগোপাল বক্সি
ঐতিহ্য-পরম্পরা ও আধুনিকতার দ্বন্দ্বে দীর্ণ উনিশ শতকের বাংলায় আবির্ভূত হয়েছিলেন এক রেনেসাঁস-পুরুষ। প্রামাণ্য এই জীবনীগ্রন্থটি নতুন করে চিনিয়ে দেবে অমিত কর্মশক্তিময় সেই বীরসিংহকে।
₹250.00 ₹200.00
পাঁচুগোপাল বক্সি
ঐতিহ্য-পরম্পরা ও আধুনিকতার দ্বন্দ্বে দীর্ণ উনিশ শতকের বাংলায় আবির্ভূত হয়েছিলেন এক রেনেসাঁস-পুরুষ। প্রামাণ্য এই জীবনীগ্রন্থটি নতুন করে চিনিয়ে দেবে অমিত কর্মশক্তিময় সেই বীরসিংহকে।
পাঁচুগোপাল বক্সি
ঐতিহ্য-পরম্পরা ও আধুনিকতার দ্বন্দ্বে দীর্ণ উনিশ শতকের বাংলায় আবির্ভূত হয়েছিলেন এক রেনেসাঁস-পুরুষ। প্রামাণ্য এই জীবনীগ্রন্থটি নতুন করে চিনিয়ে দেবে অমিত কর্মশক্তিময় সেই বীরসিংহকে।
Only logged in customers who have purchased this product may leave a review.
ড. সুনীতা বন্দ্যোপাধ্যয়
বাংলার প্রথম মহিলা চিকিৎসক কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায় সম্পর্কে বাঙালির অজ্ঞতা সীমাহীন। রবীন্দ্রনাথের সমবয়সী বিদূষী এই নারী চিকিৎসাবিজ্ঞানের সাধনায় যে বিরল কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন, তার তুলনা মেলা ভার। বর্তমান গ্রন্থে, প্রামাণ্য তথ্যাদি সহযোগে শুধু কাদম্বিনীর বিশ্বস্ত জীবনীই রচিত হয়নি, অনুসন্ধানী ও বিশ্লেষণী দৃষ্টিতে আলোকিত হয়েছে সমসময়ও। কাদম্বিনীর সাফল্যকে লেখিকা কোনো ব্যক্তিবিশেষের একক, মসৃণ উত্তরণ হিসেবে দেখাননি। তাঁকে স্থাপন করা হয়েছে তৎকালীন বঙ্গসমাজের দ্বন্দ্বগুলির প্রেক্ষাপটে। সেই সুবাদে নারী হিসেবে তাঁর সংগ্রামের চিহ্নগুলি যেমন ভাস্বর হয়ে উঠেছে, তেমনই মূর্ত হয়েছে তাঁর পুরুষ সহযোদ্ধাদের প্রগতিশীল ভূমিকাও। প্রসঙ্গত, তাঁর স্বামী দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের কথা বলা যায়। সে সময়ে মেয়েদের শিক্ষাগ্রহণের বিরুদ্ধে যে-সকল অযৌক্তিক যুক্তি খাড়া করা হত, এই দম্পতি তার বিপ্রতীপে দাঁড়িয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।
সুচিত্রা সেনের জীবন ও ছবি
সবার উপের তো তিনিই। সুচিত্রা সেন। রমা থেকে মিসেস সেন হয়ে ওঠার আটপৌরে মধ্যবিত্ত গল্পে থেমে থাকেনি তাঁর জীবন। জীবদ্দশাতেই তা হয়ে উঠেছে কিংবদন্তীসম। আর তিনি সুচিত্রা সেন হয়তো-বা সবচেয়ে বিখ্যাত বাঙালি নারী বনলতা সেনের মতোই এক অপূর্ব জীবনানন্দ-কবিতা হয়ে বাঙালির শয়নে, স্বপনে, জাগরণে বারে বারে আবির্ভূতা। বিগত শতাব্দীর যে সময়ে রুপোলি পর্দায় তাঁর আত্মপ্রকাশ, ভিটেমাটি ছেড়ে লাখো লাখো মানুষ সীমান্ত পেরিয়ে চলে আসছেন এ বাংলায়। দেশভাগ-উত্তর পিচ্ছিল, হতাশ সে সময়ে প্রেমহীন, স্বপ্নহীন, বাঙালিকে প্রেমে পড়তে, স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছিলেন তিনি। যাঁরা বলেন সুচিত্রা-অভিনীত বেশিরভাগ ছবিই আসলে লিবিডোতাড়িত হীনম্মন্য এক জাতির রোম্যান্টিক এসকেপ, তাঁরা পুরোটা বলেন না। অনেক ক্ষেত্রেই মিলনান্তক সে-সব ছবিতেও কি লেগে থাকে না অস্থির এক সময়ের আঁচড়? নতুন দেশে, নতুন কালে মাথা উঁচু করে বাঁচতে চাওয়া শিক্ষিত, মধ্যবিত্ত বাঙালি নারীর আত্মপরিচয় খোঁজার লড়াইকে যেভাবে অভিনয়ের মাধ্যমে একের পর এক ছবিতে মূর্ত করে তুলেছিলেন তিনি তার তুলনা ভারতীয় চলচ্চিত্রে কেন, আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্রেও নেই। ১৯৫৩ থেকে ১৯৭৮_এ এক অলীক সফর! অভিনয়জীবনের এই পঁচিশ বছরে সুচিত্রা শুধু নায়িকা থেকে মহানায়িকাই হয়ে ওঠেননি, তিন দশক ধরে তিনি কার্যত শাসন করে গেছেন বাংলা চলচ্চিত্রকে। ভারতীয় সিনেমায় এই প্রথম কোনো অভিনেত্রী বদলে দিলেন পুরুষ-আধিপত্যবাদী সিনেমাশিল্পের যাবতীয় সমীকরণ। নায়িকা, মহানায়িকা কিংবা ভারতীয় সিনেমার গ্রেটা গার্বো বলে তাঁকে বিশেষিত করতে চাওয়া আমাদের প্রমাদ, ঐতিহাসিক ভ্রান্তি। বাংলা তথা ভারতীয় সিনেমায় আসলে তিনিই নায়ক। তিনি ইন্ডাস্ট্রি!
THIS IS BIOGRAPHICAL STORY BOOKS
সম্পাদনা গৌতম বাগচি
এক চরম বিপন্ন সময়ে ভারতবর্ষের মাটিতে পা রেখেছিলেন ভগিনী নিবেদিতা। এদেশের আত্মার আত্মীয় হয়ে ওঠাই ছিল তাঁর জীবনের পরম লক্ষ্য। একজন বিদেশিনী হিসেবেও তিনি যে কী বিপুল পরিমাণ কর্মযজ্ঞে সামিল হয়েছিলেন, তার বিশদ চর্চা ও মূল্যায়ন চলছে বিগত একশো বছর ধরেই। এই গ্রন্থে প্রতিফলিত হয়েছে তাঁর প্রয়াণের অব্যবহিত পরেই নানা পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত দেশবিদেশের বিশিষ্টজনের প্রতিক্রিয়া ও শ্রদ্ধাঞ্জলির কথা। বলাবাহুল্য, এই প্রয়াস অবশ্যই মৌলিকতা দাবি করে। বহু অজানা তথ্যে সমৃদ্ধ এই গ্রন্থ একটি ঐতিহাসিক কাজ হিসেবেই আকর্ষণীয় হয়ে থাকবে। সঙ্গে রইল নিবেদিতার ইংরেজি ভাষায় অনূদিত রবীন্দ্রনাথের কাবুলিওয়ালা গল্পটি।
‘বিদ্যাসাগর বক্তিৃতামালা’ – র এই মূল্যবান সংকলনটি একজন সংবেদনশীল বিদগ্ধ শিক্ষকের মহান অবদান ।
Reviews
There are no reviews yet.