জগতের নাথ বা পিতা যিনি, তিনিই প্রভু জগন্নাথ। তিনি আদি। তিনি অনন্ত। অন্যান্য ঠাকুরের মতো তাঁর বিসর্জন নেই। শুধু আছে এক কলেবর থেকে অন্য কলেবর ধারণ। যে-বছর আষাঢ় মাস মলমাস হিসেবে নির্ধারিত হয়, সে মাসেই প্রভু তাঁর পুরোনো শরীর ত্যাগ করে নতুন দেহে প্রবেশ করেন। নতুন এই কলেবর প্রস্তুত হয় শঙ্খ, চক্র, গদা, পদ্ম চিহ্নবিশিষ্ট দারুবৃক্ষ দিয়ে।
বাংলার তিন গান্ধিবাদী শহিদের কথা
₹56.00অমলেন্দু দে
শচীন্দ্রনাথ মিত্র, স্মৃতীশ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সুশীল দাশগুপ্ত_মহাত্মা গান্ধির অনুগামী এই তিন নেতাই শহিদ হয়েছিলেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার্থে। স্বাধীনতার অব্যবহিত পূর্ব এবং পরবর্তী দিনগুলিতে উত্তাল হয়ে উঠেছিল ভারতবর্ষের পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্ত। ১৯৪৬ সালের ১৫ আগস্ট মুসলিম লিগ আহূত Direct Action Day-কে কেন্দ্র করে কলকাতায় শুরু হয়েছিল ভ্রাতৃঘাতী দাঙ্গা। ক্রমে নারকীয় অবস্থা তৈরি হয় বিহার ও পূর্ববঙ্গের নোয়াখালিতে। দেশের এহেন সংকটকালে শান্তিপ্রহরীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন স্বয়ং মহাত্মা গান্ধি। শচীন্দ্রনাথ, স্মৃতীশ এবং সুশীল তাঁর নির্দেশিত পথেই হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতি রক্ষার আন্দোলনে শামিল হয়েছিলেন। দুর্ভাগ্য আমাদের_স্বাধীন ভারতবর্ষে ঘাতকের হাতে নিহত হয়েছিলেন এই ত্রয়ী। কিন্তু দ্বিজাতিতত্ত্বকে মেনে নেননি তাঁরা, মেনে নেননি ভাইয়ে ভাইয়ে গড়ে তোলা কৃত্রিম বিভদকে। তাঁদের আত্মোৎসর্গ আজও পথ দেখায় আমাদের।