(বিশ্বনাথা দয়োহনুসারতঃ)
ড. সাধনকুমার পাত্র
₹100.00
(বিশ্বনাথা দয়োহনুসারতঃ)
ড. সাধনকুমার পাত্র
(বিশ্বনাথা দয়োহনুসারতঃ)
ড. সাধনকুমার পাত্র
Only logged in customers who have purchased this product may leave a review.
বিশ্বনাথ রায়
বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ-এর প্রাণপুরুষ তথা উনিশ শতকীয় চর্চায় বাঙালির পথপ্রদর্শক ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যক্তিজীবন সম্পর্কে আমরা এতাবৎ প্রায় অনবহিতই ছিলাম। দৌহিত্র বিশ্বনাথ রায় প্রণীত এই সংক্ষিপ্ত ব্রজেন্দ্র-আলেখ্য সে অভাব বহুলাংশে মেটাবে।
অগ্নিকুমার আচার্য
সাহিত্যের অঙ্গনে প্রবন্ধ কোনো বর্ষীয়ান বটবৃক্ষ যেন। তার অগণিত শাখা-প্রশাখার মধ্যে জ্ঞানমূলক এহেন বিষয় নেই। যা আশ্রয় পায় না। সাহিত্য, বিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান, শিল্পকলা, প্রত্নতত্ত্ব, সমাজতত্ত্ব, নৃতত্ত্ব, দর্শন, রাষ্ট্রনীতি, অর্থনীতি, মহৎ জীবনকথা ইত্যাদি প্রবন্ধের মাধ্যমেই উপস্থিত হয় পাঠকের দরবারে। নানা নিবন্ধ এমনই এক প্রবন্ধগ্রন্থ, যা পাঁচটি পর্বে সংকলিত করেছে বাইশটি অনন্য প্রবন্ধকে। এখানে একদিকে যেমন আমরা পাই লোকসংস্কৃতি, ধর্মসংস্কৃতি ও সাহিত্য বিষয়ক প্রবন্ধ, অন্যদিকে তেমনই রয়েছে মহৎ জীবনকথা ও বিবিধ বিষয়ক নিবন্ধ। এক-একটি পর্বের মধ্যেও কত-না বৈচিত্র! তাই লোকসংস্কৃতি বিভাগে যেমন আমরা পড়ি ব্রাত্যজনের প্রাণের উৎসব চড়ক-গাজনের কথা, তেমনই আমাদের মুগ্ধ করে নামপদকীর্তন বৃত্তান্ত। এ-রকম সব ক-টি পর্বেই আমরা পেয়ে যাই আলোকসামান্য এক-একটি প্রবন্ধ_তা সে নজরুলের হিন্দুসাধনা নিয়েই হোক, কিংবা বহুবিচিত্ররূপিণী দেবী দুর্গা প্রসঙ্গে। অগ্নিকুমার আচার্য লিখিত প্রবন্ধগুলির সহজ-সরল উপস্থাপনভঙ্গি, ক্ষুরধার যুক্তিবিন্যাস, প্রাসঙ্গিক তথ্যের যথাযথ উপস্থাপন এবং সর্বোপরি, ভাষার অনন্য প্রসাদগুণ নানা নিবন্ধকে করে তুলেছে ব্যতিক্রমী তথা বহুমাত্রিক।
আশিসতরু মুখোপাধ্যায়
অমর পাল লোকগানের সেই বিরল শিল্পী যাঁর কণ্ঠে গান আর শুধু গান থাকে না, হয়ে ওঠে দর্শন। ভাটিয়ালি গানের প্রবাদপ্রতিম এই শিল্পীর জীবনও তাঁর কণ্ঠ-নিঃসৃত সংগীতের মূর্ছনার মতো ব্যঞ্জনাময়। এই গ্রন্থেই প্রথম ধরা রইল তাঁর কিংবদন্তী হয়ে ওঠার দীর্ঘ ঘটনাবহুল সংগ্রামময় কাহিনি। সেই আখ্যান তাঁর গানের মতোই সরল, মোহময় ও জাদুকরি। কিন্তু কেন এ মুহূর্তে অমর পালই দুই বাংলায় লোকগানের সবচেয়ে সম্মানিত স্বর? তাঁর কণ্ঠে আছে সেই হিরণ্ময় ঐশ্বর্য, যা আমাদের রোমাঞ্চিত করে অনির্বচনীয় আবিষ্কারের পুলকে। সে আবিষ্কার শাশ্বত এক জীবনবোধকে খুঁজে পাওয়ার আনন্দে প্রোজ্জ্বল। প্রান্তিক মানুষের সহজিয়া জীবনে যে জাদু লুকিয়ে আছে, তার অপরূপ সৌন্দর্যকে আমরা চিনতে পেরেছি তাঁরই সৌজন্যে। ভাঙা নাওয়ের যাত্রী হয়ে জীবনের অকুল দরিয়ায় এই যে আমাদের অনির্দেশ ভেসে চলা, তার সূত্র তো বাঁধা আছে ওই সুরসাধকেরই মরমিয়া কন্ঠস্বরে।
প্রবীরকুমার চট্টোপাধ্যায়
বিধিপূর্বক সামবেদোক্ত সংস্কারকর্ম পালন এখন এক দুঃসাধ্য কার্যে পরিণত হয়েছে। সংস্কারকর্ম পালনের সময় মন্ত্রোচ্চারণ আবশ্যিক। অথচ সংস্কৃতজ্ঞানের অভাবে উচ্চারিত মন্ত্রের অর্থ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রয়ে যায় অবিদিত। অর্থবোধহীন মন্ত্রোচরণের ফলে শূদ্রত্ব থেকে দ্বিজত্বে উত্তরণে অপারগ হই আমরা। এই প্রথম যাবতীয় মন্ত্রের বঙ্গানুবাদসহ প্রকাশিত হল সামবেদীয় সংস্কারকর্ম। ব্রহ্মজ্ঞানান্বেষী পুজক,পাঠক তথা ধর্মশাস্ত্রের অনুসিন্ধিৎসু গবেষক_ সকলকেই এই গ্রন্থ এক নতুন পথের দিশা দেবে।
‘বঙ্গদর্শনের প্রথম অভ্যুদয়ে বাংলা দেশের মধ্যে একটি অভূতপূর্ব আনন্দ ও আশার সঞ্চার হইয়াছিল, একটি সুদূরব্যাপী চাঞ্চল্যে বাংলার পাঠকহৃদয় যেন কল্লোলিত হইয়া উঠিয়াছিল। সে চেষ্টা স্বাধীন চেষ্টার আনন্দ।’ বঙ্কিমচন্দ্রের বঙ্গদর্শন সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথ এই মন্তব্য করেছেন নবপর্যায়-বঙ্গদর্শন প্রকাশের আগে। তারপর তাঁকে নিতে হয় বঙ্গদর্শন সম্পাদনার দায়িত্ব। বঙ্কিমের বঙ্গদর্শন যেমন একসময় ‘আমাদের সাহিত্যপ্রাসাদের সিংহদ্বার’ খুলে দিয়ে নবযুগের সূচনা করেছিল, তেমনি বিশ শতকের প্রারম্ভে রবীন্দ্রাথের বঙ্গদর্শন আর এক নতুন যুগে প্রবেশের সুযোগ করে দিল। সেই নবপর্যায়-বঙ্গদর্শন বিশেষভাবে স্মরণীয় হয়ে আছে মননসমৃদ্ধ। অসামান্য প্রবন্ধসম্পদের জন্য। আমরা একালের পাঠককে সেই মননের জগতের সন্ধান দেওয়ার জন্য অধুনা দুষ্প্রাপ্য পত্রিকা থেকে কয়েকটি প্রবন্ধ গ্রন্থাকারে প্রকাশ করছি। বাঙালির মননের ইতিহাসে এক মূল্যবান সংযোজন এই গ্রন্থ।
শিশির মজুমদার
আচার্য সুনীতিকুমারের আশীর্বাদধন্য শিশির মজুমদারের এই গ্রন্থে উত্তরবঙ্গের লোকসমাজের বারোমাসি জীবনের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার কথা যেমন তুলে ধরা হয়েছে তেমনি ‘পাশোসি’ অংশে আছে বৈচিত্রময় জীবনযাপনের নানা কথা। আচার্য সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের ১২৫তম জন্মবর্ষপূর্তিতে এই সংস্করণ তাঁরই স্মৃতির প্রতি নিবেদিত হল। এই গ্রন্থের একটি রচনায় একটি লুপ্তপ্রায় ‘ব্রত’র কথা বলা হয়েছে যেখানে শুধুমাত্র পুরুষেরাই যুক্ত। যে ব্রতটির আচার-অনুষ্ঠান ব্যবহার করেছিলেন রাজা গণেশ। অন্য একটি রচনায় দেশী সম্প্রদায়ের পাটের তৈরি ধোকড়ার কথা বলা হয়েছে। সেই ধোকড়া তাঁতে তৈরি জ্যাকেট জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির মেলা থেকে ক্রয় করে পরেছেন রবীন্দ্রভারতীর তৎকালীন উপাচার্য পবিত্র সরকার ও সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার।
Reviews
There are no reviews yet.