দেবব্রত মল্লিক
নৌকার গঠন, হাল, পাটাতন, নাবিক-মাঝিমাল্লা থেকে শুরু করে বাতিঘর, ভাইকিং, ফিনিশীয় ও গ্রিক নৌযান, এমনকী সাহিত্য-সংস্কৃতি-লোকাচারে নৌকার উল্লেখ তো বটেই, নৌকার তত্ত্বতালাশ নিয়ে এমন বই বাংলায় প্রথম।
₹125.00 ₹100.00
দেবব্রত মল্লিক
নৌকার গঠন, হাল, পাটাতন, নাবিক-মাঝিমাল্লা থেকে শুরু করে বাতিঘর, ভাইকিং, ফিনিশীয় ও গ্রিক নৌযান, এমনকী সাহিত্য-সংস্কৃতি-লোকাচারে নৌকার উল্লেখ তো বটেই, নৌকার তত্ত্বতালাশ নিয়ে এমন বই বাংলায় প্রথম।
দেবব্রত মল্লিক
নৌকার গঠন, হাল, পাটাতন, নাবিক-মাঝিমাল্লা থেকে শুরু করে বাতিঘর, ভাইকিং, ফিনিশীয় ও গ্রিক নৌযান, এমনকী সাহিত্য-সংস্কৃতি-লোকাচারে নৌকার উল্লেখ তো বটেই, নৌকার তত্ত্বতালাশ নিয়ে এমন বই বাংলায় প্রথম।
Only logged in customers who have purchased this product may leave a review.
সুব্রতকুমার মাল
ব্রিটিশ শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তনের পূর্বে সমগ্র বঙ্গদেশে, বিশেষত মেদিনীপুরে, দেশজ শিক্ষার এক সমৃদ্ধ ধারা প্রবহমান ছিল, তা ভেঙে পড়ল কেন ? ১৮৩৫ সালের অ্যাডামস-এর রিপোর্ট অনুসারে জানা যায়, অতীতে মেদিনীপুর শিক্ষার দিক থেকে সর্বাগ্রে ছিল। তাহলে এখানে ব্রিটিশ শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তনের আগে কেন কালের করাল গ্রাসে এর অবলুপ্তি ঘটল ? এই গ্রন্থে আছে, প্রাক্ঔপনিবেশিক আমলে মেদিনীপুরে দেশজ শিক্ষার ধারা প্রাথমিক শিক্ষার অবস্থা, নারীশিক্ষার অগ্রগতি এবং লোকশিক্ষার অবস্থা। সেইসঙ্গে মেদিনীপুরের আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যগুলিও বিস্তারিতভাবে আলোচিত।
সম্পাদনা দেবব্রত ঘোষ
জন্মের একশো পঁচিশ বছর পরেও যদি কোনো মানুষ একটি দেশের প্রাত্যহিক জীবনে ভীষণভাবে প্রাসঙ্গিক হয়ে রয়ে যান, তবে তাঁর জীবন ও কর্মের পুনর্মূল্যায়ন এক আশু কর্তব্য। বাবাসাহেব আম্বেদকর এমনই এক অলোকসামান্য ব্যক্তিত্ব। শুধু বর্ণবৈষম্য কিংবা অস্পৃশ্যতার বিরুদ্ধে আজীবন লড়াই করেই যাওয়া নয়, ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের তীব্র সমালোচনাকারী বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ হিসেবেও তাঁর ভূমিকা অবিস্মরণীয়। প্রকৃত অর্থেই তিনি ছিলেন এক বহুমুখী প্রতিভা। ভারতীয় দলিত রাজনীতির প্রবক্তা তথা সংগঠকরূপে তো বটেই, সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেও তিনি ছিলেন এক আপোশহীন যোদ্ধা। ভারতীয় সংবিধানের রূপকার এই মানুষটিই আবার ছিলেন হিন্দু-মুসলমান সম্প্রদায়ের পারস্পরিক সম্পর্ক ও পাকিস্তান গঠনের আন্দোলন প্রসঙ্গে স্পষ্টবাদী এক অনন্য মতের প্রবর্তক। যেহেতু তিনি ছিলেন সব ধরনের শোষণের বিরুদ্ধেই মূর্ত প্রতিবাদ, তাই নারীর অধিকার নিয়েও বাবাসাহেব পরিচয় রেখেছিলেন সুচিন্তিত ভাবনার। গান্ধিবাদী কংগ্রেসি সামাজিক-রাজনৈতিক নীতি ও কার্যক্রমের কুণ্ঠাহীন সমালোচক এই ভীমরাও রামজি আম্বেদকর ছিলেন আদ্যন্ত জাতীয়তাবাদী।
প্রসেনজিৎ দাশগুপ্ত
সৃষ্টির আদি থেকেই ধর্ম আর সংগীত পরস্পরের সঙ্গে জড়িয়েছে এক অমোঘ বন্ধনে। মনন, চিন্তন ও বোধের ক্ষেত্রে ফলত যোগ হয়েছে অনেক মাত্রা। সভ্যতার ইতিহাসেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে দেশে-বিদেশে বিকশিত হয়েছে ধর্মীয় সংগীতের ধারা। এই বই খুললে সেই ধারার উদ্ভব ও ক্রমবিকাশের এক সংক্ষিপ্ত ধারাবিবরণী তো মিলবেই, সঙ্গে প্রাপ্তি বিশ্বের প্রথম দশটি প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মীয় সংগীতের কাহিনি। এমন প্রচেষ্টা বাংলা ভাষাতে তো বটেই, পৃথিবীর অন্যান্য ভাষাতেও দুর্লভ।
অক্ষয়কুমার মৈত্রেয়
আপনি ওকালতিটা ছাড়ুন। চুপচাপ বসিয়া পড়ুন। মাঠের কোণে আসিয়া একটি কুটির বাঁধুন। তারপরে হবিষ্যান্ন খাইয়া খাগড়ার কলম ধরিয়া তালপাতে ভারতবর্ষের ইতিহাসকথা লিপিবদ্ধ করুন, ত্রিশ কোটি নর-নারীর আশীর্বাদভাজন হইবেন। যাঁর সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ এ মন্তব্য করেছেন, তিনি অক্ষয়কুমার মৈত্রেয়। একনিষ্ঠ স্বদেশহিতৈষী ও সত্যনিষ্ঠ ইতিহাসচর্চার অনুরাগী অক্ষয়কুমার ভারতের জাতীয়তাবাদী ইতিহাসচর্চায় এক অবিস্মরণীয় ব্যক্তিত্ব। দলিল দস্তাবেজ নির্ভর যুক্তিবাদী ইতিহাস রচনায় তিনি অগ্রদূতের ভূমিকা পালন করেছিলেন। সাহিত্যকে বাহন করে পরিক্রমা করেছেন ইতিহাসের পথ। স্বভাবতই ভাষা, রচনানৈপুণ্য ও যুক্তিনিষ্ঠ ইতিহাসচিন্তার ছাপ রয়ে গেছে তাঁর সৃজনশীল রচনার পাতায় পাতায়। শুধু ঐতিহাসিক সাহিত্যিকের ভূমিকাতেই নয়, অক্ষয়কুমার বিদ্বজনের সম্ভ্রম অর্জন করেছিলেন প্রত্নতাত্ত্বিক, শিল্প-সমালোচক, বাগ্মী ও স্বদেশপ্রেমী হিসেবেও। তাঁর সেই বহুমুখী প্রতিভার একত্র সমাবেশ ঘটেছে এ গ্রন্থে। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রদত্ত তাঁর অভিভাষণ ও চিঠিপত্র এই মনীষীর মননের জগতে প্রবেশের সন্ধান পথ। আর ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণা সেই পথের প্রবেশদ্বার। ঐতিহাসিক প্রত্নতাত্ত্বিক-সাহিত্যিক-বাগ্মী অক্ষয়কুমারকে জানতে ও তাঁর অনুসন্ধিৎসার পরিচয়লাভ করতে এ গ্রন্থ বাঙালির ইতিহাসচর্চার ক্ষেত্রে নবতম সংযোজন।
‘বঙ্গদর্শনের প্রথম অভ্যুদয়ে বাংলা দেশের মধ্যে একটি অভূতপূর্ব আনন্দ ও আশার সঞ্চার হইয়াছিল, একটি সুদূরব্যাপী চাঞ্চল্যে বাংলার পাঠকহৃদয় যেন কল্লোলিত হইয়া উঠিয়াছিল। সে চেষ্টা স্বাধীন চেষ্টার আনন্দ।’ বঙ্কিমচন্দ্রের বঙ্গদর্শন সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথ এই মন্তব্য করেছেন নবপর্যায়-বঙ্গদর্শন প্রকাশের আগে। তারপর তাঁকে নিতে হয় বঙ্গদর্শন সম্পাদনার দায়িত্ব। বঙ্কিমের বঙ্গদর্শন যেমন একসময় ‘আমাদের সাহিত্যপ্রাসাদের সিংহদ্বার’ খুলে দিয়ে নবযুগের সূচনা করেছিল, তেমনি বিশ শতকের প্রারম্ভে রবীন্দ্রাথের বঙ্গদর্শন আর এক নতুন যুগে প্রবেশের সুযোগ করে দিল। সেই নবপর্যায়-বঙ্গদর্শন বিশেষভাবে স্মরণীয় হয়ে আছে মননসমৃদ্ধ। অসামান্য প্রবন্ধসম্পদের জন্য। আমরা একালের পাঠককে সেই মননের জগতের সন্ধান দেওয়ার জন্য অধুনা দুষ্প্রাপ্য পত্রিকা থেকে কয়েকটি প্রবন্ধ গ্রন্থাকারে প্রকাশ করছি। বাঙালির মননের ইতিহাসে এক মূল্যবান সংযোজন এই গ্রন্থ।
Reviews
There are no reviews yet.