গ্রন্থ-প্রকাশনা এখন পুরোদস্তুর একটি শিল্প কিন্তু অন্যান্য শিল্প যতটা নিয়মতান্ত্রিক ও বিধিবদ্ধভাবে গড়ে ওঠে, এই শিল্পে সেই নিয়মের শাসন কম। ফলত, এক্ষেত্রে, বিশেষত বাংলায় প্রকাশিত বইয়ের জগতে, সৃষ্টি হয়েছে নৈরাজ্যের। কোন বই ছাপব, কত কপি ছাপব, কী শর্তে ছাপব, লেখকের প্রাপ্য কী, বই হার্ডবাউন্স হবে না পেপারব্যাক, বইয়ের টেরিটোরিয়াল রাইটস কার কাছে বিক্রি হবে_এসব প্রশ্নের কোনো যুক্তিগ্রাহ্য উত্তর বাঙালি প্রকাশকদের কাছে নেই। তাঁরা এখনও পড়ে রয়েছেন আন্তর্জাতিক প্রকাশনার সঙ্গে সম্পর্কবিহীন বিচ্ছিন্ন একটি দ্বীপের মতো। প্রকাশনার মূলকথা তাঁদেরকে পথ দেখাতে পারে। শ্রীসৌরেন্দ্রনাথ মিত্র অনূদিত ও সম্পাদিত এই গ্রন্থটিকে হ্যান্ডবুক অর পাবলিশিং হিসেবে মেনে নেওয়া যেতে পারে। কালের অমোঘ নিয়মে গ্রন্থে আলোচিত অনেক বিষয়ই এখন অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেছে। তবু পাণ্ডুলিপি বিচার, লেখক বাছাই, বিপণন, প্রচার, বিজ্ঞাপন, মূল্যনির্ধারণ, স্বত্ব সংক্রান্ত মামলা প্রভৃতি বিবিধ বিষয়ে সারগর্ভ আলোচনা বইটির তাৎপর্য বাড়িয়েছে।
মেদিনীপুরে দেশজ শিক্ষার ধারা / MEDINIPURE DESHAJ SHIKSHAR DHARA
₹160.00সুব্রতকুমার মাল
ব্রিটিশ শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তনের পূর্বে সমগ্র বঙ্গদেশে, বিশেষত মেদিনীপুরে, দেশজ শিক্ষার এক সমৃদ্ধ ধারা প্রবহমান ছিল, তা ভেঙে পড়ল কেন ? ১৮৩৫ সালের অ্যাডামস-এর রিপোর্ট অনুসারে জানা যায়, অতীতে মেদিনীপুর শিক্ষার দিক থেকে সর্বাগ্রে ছিল। তাহলে এখানে ব্রিটিশ শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তনের আগে কেন কালের করাল গ্রাসে এর অবলুপ্তি ঘটল ? এই গ্রন্থে আছে, প্রাক্ঔপনিবেশিক আমলে মেদিনীপুরে দেশজ শিক্ষার ধারা প্রাথমিক শিক্ষার অবস্থা, নারীশিক্ষার অগ্রগতি এবং লোকশিক্ষার অবস্থা। সেইসঙ্গে মেদিনীপুরের আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যগুলিও বিস্তারিতভাবে আলোচিত।
Reviews
There are no reviews yet.