মালা দত্তরায়
রানি রাসমণি শুধু দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে নয়, নবজাগ্রত বঙ্গভূমির এক আলোকিত মানবী হিসেবেও প্রাতঃস্মরণীয়। এই প্রথম সেই জীবনের ধারাভাষ্য এক ব্যতিক্রমী কলমে।
₹120.00
মালা দত্তরায়
রানি রাসমণি শুধু দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে নয়, নবজাগ্রত বঙ্গভূমির এক আলোকিত মানবী হিসেবেও প্রাতঃস্মরণীয়। এই প্রথম সেই জীবনের ধারাভাষ্য এক ব্যতিক্রমী কলমে।
Out of stock
মালা দত্তরায়
রানি রাসমণি শুধু দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে নয়, নবজাগ্রত বঙ্গভূমির এক আলোকিত মানবী হিসেবেও প্রাতঃস্মরণীয়। এই প্রথম সেই জীবনের ধারাভাষ্য এক ব্যতিক্রমী কলমে।
Only logged in customers who have purchased this product may leave a review.
সম্পাদনা অলোক রায় ও গৌতম নিয়োগী
উনিশ শতকের বঙ্গীয় জাগরণ নিয়ে আমাদের কৌতূহলের অন্ত নেই। ওই শতকে ঔপনিবেশিক প্রেক্ষাপটের মধ্যে ঘটে চলেছিল নানা সুদূরপ্রসারী পরিবর্তন। মহাত্মা শিবচন্দ্র দেবের দ্বিশততম জন্মজয়ন্তী উৎসব উপলক্ষ্যে স্মারকগ্রন্থরূপে উনিশ শতকের বাংলা প্রকাশিত হল। শিবচন্দ্র ছিলেন উনিশ শতকের এক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। হিন্দু কলেজের প্রথম দিকের ছাত্র। ডিরোজিয়ো-র প্রত্যক্ষ ছাত্র, রামমোহন রায়ের দ্বারা অনুপ্রাণিত। কর্মজীবন সরকারি চাকরিতে উচ্চপদে আসীন ছিলেন, আবার নিজ অঞ্চল কোন্নগরের আধুনিক রূপকার হিসেবে সদা উদ্যোগী। ব্রাহ্মসমাজের আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে যুক্ত থেকে অংশ নিয়েছেন সাহিত্য ও সমাজ-সংস্কারে। তাঁর জীবনপর্ব (১৮১১_১৮৯০ সাল০০০) উনিশ শতকব্যাপী। সে-কথা স্মরণে রেখে এই স্মাকরগ্রন্থে সংকলিত হয়েছে নানা বিশেষজ্ঞ গুণীজনের লেখা একগুচ্ছ মূল্যবান গবেষণাধর্মী প্রবন্ধ। উনিশ শতকের বাংলা ও বাঙালি বিষয়ে প্রাজ্ঞ দুই ব্যক্তির সম্পাদনায় এই স্মারক গ্রন্থে শিবচন্দ্র দেবের পরিচয় তো আছেই, সেই-সঙ্গে আছে তাৎপর্যপূর্ণ উনিশ শতকের নানা অধ্যায়ের ওপর সন্ধানী আলোকপাত। যে শতকে ঐতিহ্য থেকে আধুনিকতার যাত্রাপথে নানা টানাপড়েন, সেই শতকের সমাজ, ধর্ম, সাহিত্য, রাজনীতি, অর্থনীতির উন্মোচন কৌতূহলী করবে পাঠকদের।
সম্পাদনা অলোক রায়
মুল্যবান এই জীবনীগ্রন্থটি ১৯১৭ সালে গ্রন্থাকারে প্রথম প্রকাশিত হয়। রাজা দক্ষিণারঞ্জন মুখোপাধ্যায়ের জীবন কথা ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল মানসী ও মর্মবাণী পত্রিকায় (ফাল্গুন ১৩২৩ শ্রাবণ ১৩২৪)। বিশিষ্ট জীবনীকার মন্মথনাথ ঘোষ বিগত যুগের দেশ নায়কদের প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধা নিবেদনের উদ্দেশ্যেই কলম ধরেন। রাজা দক্ষিণারঞ্জনের এই জীবনলেখ্যও তাঁর সেই শ্রমসাধ্য অন্যতম প্রয়াস। জীবন নির্ভর এই গ্রন্থটির মহৎ জীবনকথায় সংলগ্ন হয়ে আছে সেই সময়েরও জীবন্ত ইতিহাস। ‘ইয়ং বেঙ্গল’ সম্বন্ধে বেশ কিছুদিন ধরে বাঙালি হৃদয়ে আগ্রহ ও কৌতুহল জেগেছে। সেই কারণেই হিন্দু কলেজের ছাত্র, হেয়ার ডিরোজিও ও ডাফের অন্তরঙ্গ দক্ষিণারঞ্জনের মতো বিশিষ্ট ব্যক্তির জীবনীগ্রন্থের পুনর্মুদ্রণ।
সুব্রতকুমার মাল
ব্রিটিশ শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তনের পূর্বে সমগ্র বঙ্গদেশে, বিশেষত মেদিনীপুরে, দেশজ শিক্ষার এক সমৃদ্ধ ধারা প্রবহমান ছিল, তা ভেঙে পড়ল কেন ? ১৮৩৫ সালের অ্যাডামস-এর রিপোর্ট অনুসারে জানা যায়, অতীতে মেদিনীপুর শিক্ষার দিক থেকে সর্বাগ্রে ছিল। তাহলে এখানে ব্রিটিশ শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তনের আগে কেন কালের করাল গ্রাসে এর অবলুপ্তি ঘটল ? এই গ্রন্থে আছে, প্রাক্ঔপনিবেশিক আমলে মেদিনীপুরে দেশজ শিক্ষার ধারা প্রাথমিক শিক্ষার অবস্থা, নারীশিক্ষার অগ্রগতি এবং লোকশিক্ষার অবস্থা। সেইসঙ্গে মেদিনীপুরের আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যগুলিও বিস্তারিতভাবে আলোচিত।
সম্ভবত পৃথিবীর মানুষকে দু-ভাগে ভাগ করা যায়। এক যারা প্যারিস দেখেছে; দুই যারা প্যরিস দেখেনি। সম্ভবত পৃথিবীর সব কবিকেও দু-ভাগে ভাগ করা যায়। এক যাদের মাতৃভূমি শুধু তাদের নিজেরই দেশ: দুই যাদের মাতৃভূমি তাদের নিজের দেশ ছাড়াও তার একটি শহর_ প্যারিস। ইতিহাসে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকার মতন শহর প্যারিস নয়, উলটে ইতিহাসই এখানে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকে। এখানে কেউ নারীর হাত ধরে প্রবিষ্ট হয়ে অবশেষে কবিতা, শিল্প কিংবা দর্শনের হাত মুঠো করে ধরে নিষ্ক্রান্ত হয়। আবার কেউ কবিতা, শিল্প বা দর্শনের হাত পাকড়ে ঢোকে এবং বার হয় নারীর আঁচল আঁকড়ে। প্যারিস নারীর মতন টানে, প্যারিসের নারীরা নিয়তির মতন টানে। আর সেই টানে। আর সেই টানে অভিমন্যুর মতো চক্রব্যূহে প্রবিষ্ট লেখক আর নিষ্ক্রান্ত হতে পারেন না কুহকিনী এ শহরের মায়াজাল থেকে। প্যারিস তাই তাঁর কাছে সতেরোশো উননব্বই-এর লঁসিয়ঁ রেজি্ম, য়ুগো, কিংবা মালার্মের লিতেরাচুর, দেরিদার অবিনির্মাণ, পাস্কালের হৃদয়ের যুক্তি, গোদার-কে বোঝার বৃথা চেষ্টা, ক্রফোর ফ্রিজ শট, পোলানস্কির, জীবনসিনেমা, ব্রিজিং বার্ডোর লাস্য, কামুর ফুটবল, পারফিউমের সুগন্ধ, কনিয়াকের ঘ্রাণ আর রাতের আলো-আধারিতে উদ্দাম স্ট্রিপটিজ্। কাল থেকে শুরু হয়ে আজ ছুঁয়ে প্যারিস প্রবহমান আগামী কালে। চিরযৌবনা এ নগরীর শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও মননের মায়াবী রূপকথা প্যারিসপ্রেমিক লেখকের কলমে।
শ্রীনিরপেক্ষ
বিগত শতাব্দীর পঞ্চশ-ষাটের দশকে যুগান্তর পত্রিকায় শ্রীনিরেপক্ষ ছদ্মনামের অন্তরালে নবীন সাংবাদিক অমিতাভ চৌধুরীর ‘নেপথ্যদর্শন’ ধারাবাহিক রচনা ভারতীয় তথা এশীয় সাংবাদিকতায় নতুন যুগের সূচনা করে। অনুসন্ধানমূলক সাংবাদিকতার অন্যতম পথিকৃৎ হিসেবে স্বীকৃত হন তিনি। প্রশাসনের নানা অনিয়ম-অনাচার-অবিচারের ঘটনাকে পাঠকের দরবারে তিনি হাজির করেন অসামান্য সৎসাহস এবং আপসহীন মনোভাব নিয়ে। সেইসঙ্গে এই কলমের বহু রচনায় ছিল অপ্রত্যাশিত নানান মানবিক উদ্ঘাটন। এই কারণেই এই প্রতিবেদনগুলি নিতান্ত সাময়িক রচনা না-থেকে হয়ে উঠেছে সমকালীন পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ইতিহাসের মূল্যবান দলিল। সেই সময়ের নবমূল্যায়নের জন্য আজও অপিরহার্য এই সংকলন।
Reviews
There are no reviews yet.