দেবব্রত মল্লিক
নৌকার গঠন, হাল, পাটাতন, নাবিক-মাঝিমাল্লা থেকে শুরু করে বাতিঘর, ভাইকিং, ফিনিশীয় ও গ্রিক নৌযান, এমনকী সাহিত্য-সংস্কৃতি-লোকাচারে নৌকার উল্লেখ তো বটেই, নৌকার তত্ত্বতালাশ নিয়ে এমন বই বাংলায় প্রথম।
Subtotal : ₹5,125.00
₹125.00 ₹100.00
দেবব্রত মল্লিক
নৌকার গঠন, হাল, পাটাতন, নাবিক-মাঝিমাল্লা থেকে শুরু করে বাতিঘর, ভাইকিং, ফিনিশীয় ও গ্রিক নৌযান, এমনকী সাহিত্য-সংস্কৃতি-লোকাচারে নৌকার উল্লেখ তো বটেই, নৌকার তত্ত্বতালাশ নিয়ে এমন বই বাংলায় প্রথম।
দেবব্রত মল্লিক
নৌকার গঠন, হাল, পাটাতন, নাবিক-মাঝিমাল্লা থেকে শুরু করে বাতিঘর, ভাইকিং, ফিনিশীয় ও গ্রিক নৌযান, এমনকী সাহিত্য-সংস্কৃতি-লোকাচারে নৌকার উল্লেখ তো বটেই, নৌকার তত্ত্বতালাশ নিয়ে এমন বই বাংলায় প্রথম।
Only logged in customers who have purchased this product may leave a review.
অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর
রাজকাহিনী অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রচনা। টডের রাজপুত কাহিনি অবলম্বনে মধ্যযুগীয় রাজপুত রাজাদের বীরত্ব, ত্যাগ ও মহিমার এমন রূপনির্মাণ শুধু বাংলা সাহিত্যে কেন আন্তর্জাতিক সাহিত্যেও দুর্লভ। রাজপুত চিত্রকলার সঙ্গে শিল্পী অবনীন্দ্রনাথের পরিচয় উনিশ শতাব্দীর শেষ প্রান্তে এসে। যখন তিনি কচ ও দেবযানী, রাধাকৃষ্ণের ছবি বা মোগল চিত্রাবলী আঁকছিলেন, তখনই রাজকাহিনীর রচনা। টডের ইতিহাস অবনীন্দ্রনাথের প্রেরণা হলেও সে আকরকে ব্যবহার করে তিনি সৃজন করেছেন শব্দ-ছবির এমন এক ভিন্ন রূপ জগৎ, শৌর্য, বীর্য, আত্মোৎসর্গ এবং দেশপ্রেমের মহিমায় যা প্রোজ্জ্বল। অবনীন্দ্রনাথের সংগীতময় অসামান্য স্পন্দিত গদ্য রাজকাহিনীর কাহিনিগুলিকে দান করেছে এক অনন্য বিশিষ্টতা। কল্পনায় তিনি পূরণ করেছেন বাস্তবের সংগত অনেক দাবি। ভাষার ঐশ্বর্য সেই কল্পনালীলার সঙ্গে মিলিয়েছেন তাল। সর্বোপরি, পাঠকের অখণ্ড মনোযোগ ধরে রাখতে সহায়ক হয়েছে অবনীন্দ্রনাথের অননুকরণীয় রচনাকৌশল যা একইসঙ্গে কুশলী ও চিত্তগ্রাহী। সবমিলিয়ে, রাজকাহিনী আজও বাঙালি পাঠকের কাছে সেরা কিশোর ক্লাসিক।
অগ্নিকুমার আচার্য
সাহিত্যের অঙ্গনে প্রবন্ধ কোনো বর্ষীয়ান বটবৃক্ষ যেন। তার অগণিত শাখা-প্রশাখার মধ্যে জ্ঞানমূলক এহেন বিষয় নেই। যা আশ্রয় পায় না। সাহিত্য, বিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান, শিল্পকলা, প্রত্নতত্ত্ব, সমাজতত্ত্ব, নৃতত্ত্ব, দর্শন, রাষ্ট্রনীতি, অর্থনীতি, মহৎ জীবনকথা ইত্যাদি প্রবন্ধের মাধ্যমেই উপস্থিত হয় পাঠকের দরবারে। নানা নিবন্ধ এমনই এক প্রবন্ধগ্রন্থ, যা পাঁচটি পর্বে সংকলিত করেছে বাইশটি অনন্য প্রবন্ধকে। এখানে একদিকে যেমন আমরা পাই লোকসংস্কৃতি, ধর্মসংস্কৃতি ও সাহিত্য বিষয়ক প্রবন্ধ, অন্যদিকে তেমনই রয়েছে মহৎ জীবনকথা ও বিবিধ বিষয়ক নিবন্ধ। এক-একটি পর্বের মধ্যেও কত-না বৈচিত্র! তাই লোকসংস্কৃতি বিভাগে যেমন আমরা পড়ি ব্রাত্যজনের প্রাণের উৎসব চড়ক-গাজনের কথা, তেমনই আমাদের মুগ্ধ করে নামপদকীর্তন বৃত্তান্ত। এ-রকম সব ক-টি পর্বেই আমরা পেয়ে যাই আলোকসামান্য এক-একটি প্রবন্ধ_তা সে নজরুলের হিন্দুসাধনা নিয়েই হোক, কিংবা বহুবিচিত্ররূপিণী দেবী দুর্গা প্রসঙ্গে। অগ্নিকুমার আচার্য লিখিত প্রবন্ধগুলির সহজ-সরল উপস্থাপনভঙ্গি, ক্ষুরধার যুক্তিবিন্যাস, প্রাসঙ্গিক তথ্যের যথাযথ উপস্থাপন এবং সর্বোপরি, ভাষার অনন্য প্রসাদগুণ নানা নিবন্ধকে করে তুলেছে ব্যতিক্রমী তথা বহুমাত্রিক।
প্রবীরকুমার চট্টোপাধ্যায়
বিধিপূর্বক সামবেদোক্ত সংস্কারকর্ম পালন এখন এক দুঃসাধ্য কার্যে পরিণত হয়েছে। সংস্কারকর্ম পালনের সময় মন্ত্রোচ্চারণ আবশ্যিক। অথচ সংস্কৃতজ্ঞানের অভাবে উচ্চারিত মন্ত্রের অর্থ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রয়ে যায় অবিদিত। অর্থবোধহীন মন্ত্রোচরণের ফলে শূদ্রত্ব থেকে দ্বিজত্বে উত্তরণে অপারগ হই আমরা। এই প্রথম যাবতীয় মন্ত্রের বঙ্গানুবাদসহ প্রকাশিত হল সামবেদীয় সংস্কারকর্ম। ব্রহ্মজ্ঞানান্বেষী পুজক,পাঠক তথা ধর্মশাস্ত্রের অনুসিন্ধিৎসু গবেষক_ সকলকেই এই গ্রন্থ এক নতুন পথের দিশা দেবে।
সম্পাদনা দেবব্রত ঘোষ
জন্মের একশো পঁচিশ বছর পরেও যদি কোনো মানুষ একটি দেশের প্রাত্যহিক জীবনে ভীষণভাবে প্রাসঙ্গিক হয়ে রয়ে যান, তবে তাঁর জীবন ও কর্মের পুনর্মূল্যায়ন এক আশু কর্তব্য। বাবাসাহেব আম্বেদকর এমনই এক অলোকসামান্য ব্যক্তিত্ব। শুধু বর্ণবৈষম্য কিংবা অস্পৃশ্যতার বিরুদ্ধে আজীবন লড়াই করেই যাওয়া নয়, ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের তীব্র সমালোচনাকারী বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ হিসেবেও তাঁর ভূমিকা অবিস্মরণীয়। প্রকৃত অর্থেই তিনি ছিলেন এক বহুমুখী প্রতিভা। ভারতীয় দলিত রাজনীতির প্রবক্তা তথা সংগঠকরূপে তো বটেই, সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেও তিনি ছিলেন এক আপোশহীন যোদ্ধা। ভারতীয় সংবিধানের রূপকার এই মানুষটিই আবার ছিলেন হিন্দু-মুসলমান সম্প্রদায়ের পারস্পরিক সম্পর্ক ও পাকিস্তান গঠনের আন্দোলন প্রসঙ্গে স্পষ্টবাদী এক অনন্য মতের প্রবর্তক। যেহেতু তিনি ছিলেন সব ধরনের শোষণের বিরুদ্ধেই মূর্ত প্রতিবাদ, তাই নারীর অধিকার নিয়েও বাবাসাহেব পরিচয় রেখেছিলেন সুচিন্তিত ভাবনার। গান্ধিবাদী কংগ্রেসি সামাজিক-রাজনৈতিক নীতি ও কার্যক্রমের কুণ্ঠাহীন সমালোচক এই ভীমরাও রামজি আম্বেদকর ছিলেন আদ্যন্ত জাতীয়তাবাদী।
সুশীলকুমার দে সংকলন ও ভূমিকা অলোক রায়
আচার্য সুশীলকুমার দে-র বিখ্যাত গ্রন্থগুলি ইংরেজিতে লেখা হলেও তাঁর বাংলায় লেখা প্রবন্ধ-নিবন্ধাদির সংখ্যাও নিতান্ত অল্প নয়। সংস্কৃত অলংকারশাস্ত্র ও সাহিত্যের অবিসংবাদী এই পাণ্ডিত্যের ইংরেজি ও বাংলা ভাষা সাহিত্যেও অধিকার ছিল সুবিদিত। বাংলা ভাষা-সাহিত্য নিয়ে তাঁর লেখালেখির শুরু ১৯১৫ সালে। সাহিত্যালোচনায় সুশীলকুমারের অবলম্বন শুধুমাত্র আলংকারিকদের অনুশাসন নয়, পাশ্চাত্য সাহিত্যতত্ত্ব অর্জিত বোধও। লেখকের জীবৎকালে প্রকাশিত দুটি গ্রন্থ_দীনবন্ধু মিত্র (১৯৫১ সাল) এবং নানা নিবন্ধ (১৯৫৩ সাল)_বহুদিন যাবৎ মুদ্রিত না-থাকায় রয়ে গিয়েছিল পাঠকের দৃষ্টির অন্তরালে। এই দুটি গ্রন্থের সঙ্গে সুশীলকুমারের আরও কিছু দুষ্প্রাপ্য লেখা একত্র করে প্রকাশিত হল বর্তমান গ্রন্থটি।
Reviews
There are no reviews yet.