একজন বড়ো স্রষ্টার মনের মধ্যে সৃষ্টির পাশাপাশি চলে এক তুমুল নির্মাণপর্ব। সেই নির্মাণপর্বও আসলে সৃষ্টিরই অন্তর্গত। এই নিগূঢ় উপলব্ধির ফসল রবীন্দ্রনাথের পড়াশোনা গ্রন্থটি। রবীন্দ্রনাথের মনোযোগী পাঠের নিবিড় স্পর্শ লাগা মূল্যবান বইগুলিকে ছুঁয়ে শিহরিত হয়েছিলেন এ গ্রন্থের লেখক ড. উজ্জ্বলকুমার মজুমদার। বিশ্বভারতীতে পড়াতে গিয়ে গ্রন্থাগারে বই ঘাঁটতে ঘাঁটতে তিনি দেখেছিলেন রবীন্দ্রনাথের সই, তারিখ, দাগ বা কখনো কখনো পাশে লেখা নোট-চিহ্নিত সেই সমস্ত বই। কবির পড়াশুনোর জগতের এই নিভৃত উন্মোচন যেন তাঁর সৃজন-মানসের আলো-জল-হাওয়াকেই উপলব্ধি করা।
একজন বড়ো স্রষ্টার মনের মধ্যে সৃষ্টির পাশাপাশি চলে এক তুমুল নির্মাণপর্ব। সেই নির্মাণপর্বও আসলে সৃষ্টিরই অন্তর্গত। এই নিগূঢ় উপলব্ধির ফসল রবীন্দ্রনাথের পড়াশোনা গ্রন্থটি। রবীন্দ্রনাথের মনোযোগী পাঠের নিবিড় স্পর্শ লাগা মূল্যবান বইগুলিকে ছুঁয়ে শিহরিত হয়েছিলেন এ গ্রন্থের লেখক ড. উজ্জ্বলকুমার মজুমদার। বিশ্বভারতীতে পড়াতে গিয়ে গ্রন্থাগারে বই ঘাঁটতে ঘাঁটতে তিনি দেখেছিলেন রবীন্দ্রনাথের সই, তারিখ, দাগ বা কখনো কখনো পাশে লেখা নোট-চিহ্নিত সেই সমস্ত বই। কবির পড়াশুনোর জগতের এই নিভৃত উন্মোচন যেন তাঁর সৃজন-মানসের আলো-জল-হাওয়াকেই উপলব্ধি করা।
Reviews
There are no reviews yet.
Be the first to review “রবীন্দ্রনাথের পড়াশোনা” Cancel reply
অমর পাল লোকগানের সেই বিরল শিল্পী যাঁর কণ্ঠে গান আর শুধু গান থাকে না, হয়ে ওঠে দর্শন। ভাটিয়ালি গানের প্রবাদপ্রতিম এই শিল্পীর জীবনও তাঁর কণ্ঠ-নিঃসৃত সংগীতের মূর্ছনার মতো ব্যঞ্জনাময়। এই গ্রন্থেই প্রথম ধরা রইল তাঁর কিংবদন্তী হয়ে ওঠার দীর্ঘ ঘটনাবহুল সংগ্রামময় কাহিনি। সেই আখ্যান তাঁর গানের মতোই সরল, মোহময় ও জাদুকরি। কিন্তু কেন এ মুহূর্তে অমর পালই দুই বাংলায় লোকগানের সবচেয়ে সম্মানিত স্বর? তাঁর কণ্ঠে আছে সেই হিরণ্ময় ঐশ্বর্য, যা আমাদের রোমাঞ্চিত করে অনির্বচনীয় আবিষ্কারের পুলকে। সে আবিষ্কার শাশ্বত এক জীবনবোধকে খুঁজে পাওয়ার আনন্দে প্রোজ্জ্বল। প্রান্তিক মানুষের সহজিয়া জীবনে যে জাদু লুকিয়ে আছে, তার অপরূপ সৌন্দর্যকে আমরা চিনতে পেরেছি তাঁরই সৌজন্যে। ভাঙা নাওয়ের যাত্রী হয়ে জীবনের অকুল দরিয়ায় এই যে আমাদের অনির্দেশ ভেসে চলা, তার সূত্র তো বাঁধা আছে ওই সুরসাধকেরই মরমিয়া কন্ঠস্বরে।
উত্তরাধুনিক এক অন্ধকার পৃথিবীর প্রতিনিধি এ-কাহিনির নায়ক। কোমায় আচ্ছন্ন তার মা। নিঃসাড় মৃতবৎ তাঁর বেঁচে থাকা। অবশেষে মৃতবৎ তাঁর বেঁচে থাকা। অবশেষে মৃত্যু। আর তারপরই নায়কের বাড়ি ফেরা। টেলিফোন। ও-প্রান্তে বান্ধবী উজ্জ্বয়িনী যে শুনতে পায় শয়তানের কন্ঠস্বর। বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে পড়া। এবার গন্তব্য সুখলডিহি। এক আদিবাসী গ্রাম। সেখানে অপেক্ষমাণ আর এক পৃথিবী_ তার আদিম ঐশ্বর্য আর আধুনিক লালসা নিয়ে। জনদরদি চিকিৎসক, অসহায় আদিবাসী তরুণী, অত্যাচারী পুলিশ অফিসার, লম্পট ব্যবসায়ী, প্রতিবাদী নারী, রাষ্ট্রদ্রোহী তরুণ_বিচিত্র নানান চরিত্র এক মহাজগতের প্রেক্ষাপটে উপস্থিত সেখানে। কী হয় তারপর?
মোগল যুগের বর্ণময় ইতিহাসের কথা সকলেই জানি। মোগলরা কোন প্রকৃতির শাসক ছিলেন তাও আমাদের অজানা নয়। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না_তাঁদের প্রাত্যহিক জীবনের সাতকাহন। তাঁদের ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ তো ছিলই, সেই সঙ্গে ছিল তাঁদের নানারকমের জীবনপরিচর্যার ব্যাপার-স্যাপার। কেমন ছিল তাঁদের খাওয়া-দাওয়া, চলাফেরা, শিকার যাত্রা, হাতি-ঘোড়া ও গোরুর খাওয়া-দাওয়ার খাইখরচা। খুনোখুনিতেও তাঁদের ভয়ডর ছিল না, অসুখবিসুখেও যে চিকিৎসার ব্যবস্থা ছিল_তা জানতে লেখকের প্রয়াস ধরা পড়েছে লেখার সঙ্গে ছবির আশ্চর্য সম্মিলনে।
ধর্মানুভূতি, গৃহজীবনের সুখ ও শান্তি এবং শিল্পচেতনাকে সংমিশ্রিত করে আর্যেতর সমাজে ও আর্যসমাজের মেয়েমহলে দেবমহিমা বিষয়ক কাহিনি বিবৃত হত। বস্তুত, ব্রতকথার কোনো নির্দিষ্ট রচনাকার নেই। আমাদের সমাজই ব্রতকথার স্রষ্টা ও সংরক্ষক। অগণিত মানুষের সমবেত চেষ্টার দরুন সমাজমানস থেকেই ব্রতকথার জন্ম। পরিবারের অন্তঃপুরে যেসকল লোকধর্মাশ্রয়ী দেবদেবীর পূজার্চনা চলে আসছিল মেয়েদের ব্রতকথা শীর্ষক গ্রন্থটিতে তা স্পষ্ট ও সরল ভঙ্গিমায় ব্যাখ্যাত হয়ে হিন্দুর সমাজ-আদর্শকে রক্ষার চেষ্টা করেছে।
Reviews
There are no reviews yet.