দেবব্রত মল্লিক
নৌকার গঠন, হাল, পাটাতন, নাবিক-মাঝিমাল্লা থেকে শুরু করে বাতিঘর, ভাইকিং, ফিনিশীয় ও গ্রিক নৌযান, এমনকী সাহিত্য-সংস্কৃতি-লোকাচারে নৌকার উল্লেখ তো বটেই, নৌকার তত্ত্বতালাশ নিয়ে এমন বই বাংলায় প্রথম।
₹125.00 ₹100.00
দেবব্রত মল্লিক
নৌকার গঠন, হাল, পাটাতন, নাবিক-মাঝিমাল্লা থেকে শুরু করে বাতিঘর, ভাইকিং, ফিনিশীয় ও গ্রিক নৌযান, এমনকী সাহিত্য-সংস্কৃতি-লোকাচারে নৌকার উল্লেখ তো বটেই, নৌকার তত্ত্বতালাশ নিয়ে এমন বই বাংলায় প্রথম।
দেবব্রত মল্লিক
নৌকার গঠন, হাল, পাটাতন, নাবিক-মাঝিমাল্লা থেকে শুরু করে বাতিঘর, ভাইকিং, ফিনিশীয় ও গ্রিক নৌযান, এমনকী সাহিত্য-সংস্কৃতি-লোকাচারে নৌকার উল্লেখ তো বটেই, নৌকার তত্ত্বতালাশ নিয়ে এমন বই বাংলায় প্রথম।
Only logged in customers who have purchased this product may leave a review.
বিশ্ব উষ্ণায়ন কাকে বলে আমরা সকলেই জানি। কিন্তু তাই বলে বিশ্ব ক্ষীণায়ন? প্রতিদিন পূজ্য দেবমূর্তির কাছে অর্পিত ধূপধুনো_তা থেকেও যে ক্যান্সার হতে পারে, সে খবর আমরা ক-জন রাখি? কখনো আঘ্রাণ নিয়ে কি বুঝেছি ফুলেরা হারিয়ে ফেলেছে তাদের গন্ধ? সূর্যস্নাত সকালে বুঝতে পেরেছি কি আজ আরও একটু কমে এল অনির্বচনীয় সেই আলো? পুজোর আনন্দে মাতোয়ারা সন্ধ্যায় আমরা নির্বাসনে পাঠাই সবুজকে। আর আমাদের চেনা পৃথিবীর চেনা-রূপ-রং-গন্ধ ক্রমশই হারিয়ে যেতে থাকে কোনো এক বিষণ্ণ অচিনপুরে। টেক্টট বুক-এর আড়ষ্ট নিয়মতান্ত্রিকতায় উপস্থাপিত ই ভি এস ছাত্র-শিক্ষক সকলের অবহেলার বিষয়। আর পরিবেশ সচেতনতা? সে তো সেমিনার আর পোস্টারে মুখ ঢেকেই কর্তব্যসমাধা। পরিবেশকে বাঁচানোর বীজমন্ত্র নিয়ে চাক্ষুষ কাজে নেমে পড়া, হাতে হাত মিলিয়ে গড়ে তোলা প্রবল প্রতিরোধ_সে রকমটাও কি কখনো সম্ভব হতে পারে? পারে। উত্তরবঙ্গের এক ভূমিপুত্রই সেই অলীককে আত্মস্থ করেছেন সংকল্প ও সাধনে। জেলার বিলুপ্তপ্রায় মাছেদের বাঁচানোর জন্য রাষ্ট্রসংঘের কাছে দরবার কিংবা আত্রেয়ীতে প্রতিমা বিসর্জনজনিত দূষণ প্রতিরোধের জন্য নিজের খরচে নেওয়া উদ্যোগ_ বরাবরই লাগামছাড়া তিনি। চিপকো আন্দোলনকে উত্তরবঙ্গেও প্রাসঙ্গিক করেছেন একাধিক গাছ বাঁচিয়ে। প্রতীকী কায়দায় বরাবর অবিশ্বাসী তুহিনের জল-নদী-গাছ বাঁচানোর এই লড়াইয়ে সবসময় সঙ্গে ছিল, আছে একদল দলছুট। লেখার জন্য লেখা নয়, সংকলিত উনিশটি প্রবন্ধ আসলে পরিবেশ নিয়ে বালুরঘাটের বহুগুনার প্রতিস্পর্ধী আন্দোলনের একেকটি স্পন্দন।
বিশ্বনাথ রায়
বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ-এর প্রাণপুরুষ তথা উনিশ শতকীয় চর্চায় বাঙালির পথপ্রদর্শক ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যক্তিজীবন সম্পর্কে আমরা এতাবৎ প্রায় অনবহিতই ছিলাম। দৌহিত্র বিশ্বনাথ রায় প্রণীত এই সংক্ষিপ্ত ব্রজেন্দ্র-আলেখ্য সে অভাব বহুলাংশে মেটাবে।
অক্ষয়কুমার মৈত্রেয়
আপনি ওকালতিটা ছাড়ুন। চুপচাপ বসিয়া পড়ুন। মাঠের কোণে আসিয়া একটি কুটির বাঁধুন। তারপরে হবিষ্যান্ন খাইয়া খাগড়ার কলম ধরিয়া তালপাতে ভারতবর্ষের ইতিহাসকথা লিপিবদ্ধ করুন, ত্রিশ কোটি নর-নারীর আশীর্বাদভাজন হইবেন। যাঁর সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ এ মন্তব্য করেছেন, তিনি অক্ষয়কুমার মৈত্রেয়। একনিষ্ঠ স্বদেশহিতৈষী ও সত্যনিষ্ঠ ইতিহাসচর্চার অনুরাগী অক্ষয়কুমার ভারতের জাতীয়তাবাদী ইতিহাসচর্চায় এক অবিস্মরণীয় ব্যক্তিত্ব। দলিল দস্তাবেজ নির্ভর যুক্তিবাদী ইতিহাস রচনায় তিনি অগ্রদূতের ভূমিকা পালন করেছিলেন। সাহিত্যকে বাহন করে পরিক্রমা করেছেন ইতিহাসের পথ। স্বভাবতই ভাষা, রচনানৈপুণ্য ও যুক্তিনিষ্ঠ ইতিহাসচিন্তার ছাপ রয়ে গেছে তাঁর সৃজনশীল রচনার পাতায় পাতায়। শুধু ঐতিহাসিক সাহিত্যিকের ভূমিকাতেই নয়, অক্ষয়কুমার বিদ্বজনের সম্ভ্রম অর্জন করেছিলেন প্রত্নতাত্ত্বিক, শিল্প-সমালোচক, বাগ্মী ও স্বদেশপ্রেমী হিসেবেও। তাঁর সেই বহুমুখী প্রতিভার একত্র সমাবেশ ঘটেছে এ গ্রন্থে। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রদত্ত তাঁর অভিভাষণ ও চিঠিপত্র এই মনীষীর মননের জগতে প্রবেশের সন্ধান পথ। আর ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণা সেই পথের প্রবেশদ্বার। ঐতিহাসিক প্রত্নতাত্ত্বিক-সাহিত্যিক-বাগ্মী অক্ষয়কুমারকে জানতে ও তাঁর অনুসন্ধিৎসার পরিচয়লাভ করতে এ গ্রন্থ বাঙালির ইতিহাসচর্চার ক্ষেত্রে নবতম সংযোজন।
শ্রীনিরপেক্ষ
বিগত শতাব্দীর পঞ্চশ-ষাটের দশকে যুগান্তর পত্রিকায় শ্রীনিরেপক্ষ ছদ্মনামের অন্তরালে নবীন সাংবাদিক অমিতাভ চৌধুরীর ‘নেপথ্যদর্শন’ ধারাবাহিক রচনা ভারতীয় তথা এশীয় সাংবাদিকতায় নতুন যুগের সূচনা করে। অনুসন্ধানমূলক সাংবাদিকতার অন্যতম পথিকৃৎ হিসেবে স্বীকৃত হন তিনি। প্রশাসনের নানা অনিয়ম-অনাচার-অবিচারের ঘটনাকে পাঠকের দরবারে তিনি হাজির করেন অসামান্য সৎসাহস এবং আপসহীন মনোভাব নিয়ে। সেইসঙ্গে এই কলমের বহু রচনায় ছিল অপ্রত্যাশিত নানান মানবিক উদ্ঘাটন। এই কারণেই এই প্রতিবেদনগুলি নিতান্ত সাময়িক রচনা না-থেকে হয়ে উঠেছে সমকালীন পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ইতিহাসের মূল্যবান দলিল। সেই সময়ের নবমূল্যায়নের জন্য আজও অপিরহার্য এই সংকলন।
রবীন্দ্রসংগীত বিষয়ক আমাদের সকল প্রশ্নের উত্তর হয়তো এ বইয়ে পাওয়া যাবে না। কিন্তু যা পাওয়া যাবে, তার মূল্যও কিছু কম নয়। কবির গান সংক্রান্ত এতাবৎ সকল গবেষণালব্ধ জ্ঞান ও অন্তর্দৃষ্টি একদিকে যেমন এ গ্রন্থ আত্মস্থ করেছে, তেমনই আবার আলোকিত করেছে বহু অনালোকিত ও অনালোচিত প্রসঙ্গ। শুধি কবির গান শুনে যাঁদের প্রাণ ভরে না, যাঁরা যেতে চান সেই গানের গভীরে, এই গ্রন্থ তাঁদের জন্য। আর যাঁরা খুঁজেত চান গানের ওপারে দাঁড়িয়ে রয়েছেন যিনি সেই পরমকে, তাঁরাও এই গ্রন্থ থেকে পেয়ে যাবেন সূত্রসন্ধান। নিঃসন্দেহে রবীন্দ্রনাথের গানের ভুবন রবীন্দ্রসংগীতচর্চা ও উপভোগের ক্ষেত্র এক দিশারিগ্রন্থের ভূমিকা পালন করবে।
প্রসেনজিৎ দাশগুপ্ত
সৃষ্টির আদি থেকেই ধর্ম আর সংগীত পরস্পরের সঙ্গে জড়িয়েছে এক অমোঘ বন্ধনে। মনন, চিন্তন ও বোধের ক্ষেত্রে ফলত যোগ হয়েছে অনেক মাত্রা। সভ্যতার ইতিহাসেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে দেশে-বিদেশে বিকশিত হয়েছে ধর্মীয় সংগীতের ধারা। এই বই খুললে সেই ধারার উদ্ভব ও ক্রমবিকাশের এক সংক্ষিপ্ত ধারাবিবরণী তো মিলবেই, সঙ্গে প্রাপ্তি বিশ্বের প্রথম দশটি প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মীয় সংগীতের কাহিনি। এমন প্রচেষ্টা বাংলা ভাষাতে তো বটেই, পৃথিবীর অন্যান্য ভাষাতেও দুর্লভ।
Reviews
There are no reviews yet.