বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ-এর ভূতপূর্ব সম্পাদক খগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় প্রণীত রবীন্দ্রকথা গ্রন্থটি বহুকাল দৃষ্টির অগোচরে ছিল। কবির বহুবিধ জীবনীর মধ্যে এই বইটির একটি বিশেষ মূল্য আছে। যেহেতু জীবনীকার স্বয়ং কবির নিকটাত্মীয়, ঠাকুর পরিবারের অনেক ঘনিষ্ঠ কথাই তাঁর জ্ঞাত। এই জীবনী প্রণয়নে সেই সকল বৃত্তান্ত বিশেষ সহায়ক হয়েছে। যদিও গ্রন্থকার নিজেই বলেছেন_‘কেবল পারিপার্শ্বিক আবেষ্টনীই একজন রবীন্দ্রনাথ সৃষ্টির পক্ষে যথেষ্ট নয়।‘_তবু কবির ব্যতিক্রমী পরিবার ও প্রতিবেশকে বুঝতে হলে এই গ্রন্থের শরণাপন্ন না-হয়ে উপায় নেই। ১৮টি পরিচ্ছেদে কবির জীবন পরিক্রমা করেছেন খগেন্দ্রনাথ । এক হিসেবে এই গ্রন্থকে আমরা বিন্দুতে সিন্ধুদর্শন বলতে পারি। মাত্র এক খণ্ডে এত তথ্য, চিঠিপত্রাংশ, সাহিত্য আলোচনা পাওয়া কম কথা নয়। উনিশ শতকের কলকাতার পরিপ্রেক্ষিতে ঠাকুরবাড়ির ইতিবৃত্তও এখানে আলোচিত হয়েছে বিশ্বস্তভাবে।
₹250.00 ₹200.00
রবীন্দ্রকথা / RABINDRAKATHA
বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ-এর ভূতপূর্ব সম্পাদক খগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় প্রণীত রবীন্দ্রকথা গ্রন্থটি বহুকাল দৃষ্টির অগোচরে ছিল। কবির বহুবিধ জীবনীর মধ্যে এই বইটির একটি বিশেষ মূল্য আছে। যেহেতু জীবনীকার স্বয়ং কবির নিকটাত্মীয়, ঠাকুর পরিবারের অনেক ঘনিষ্ঠ কথাই তাঁর জ্ঞাত। এই জীবনী প্রণয়নে সেই সকল বৃত্তান্ত বিশেষ সহায়ক হয়েছে। যদিও গ্রন্থকার নিজেই বলেছেন_‘কেবল পারিপার্শ্বিক আবেষ্টনীই একজন রবীন্দ্রনাথ সৃষ্টির পক্ষে যথেষ্ট নয়।‘_তবু কবির ব্যতিক্রমী পরিবার ও প্রতিবেশকে বুঝতে হলে এই গ্রন্থের শরণাপন্ন না-হয়ে উপায় নেই। ১৮টি পরিচ্ছেদে কবির জীবন পরিক্রমা করেছেন খগেন্দ্রনাথ । এক হিসেবে এই গ্রন্থকে আমরা বিন্দুতে সিন্ধুদর্শন বলতে পারি। মাত্র এক খণ্ডে এত তথ্য, চিঠিপত্রাংশ, সাহিত্য আলোচনা পাওয়া কম কথা নয়। উনিশ শতকের কলকাতার পরিপ্রেক্ষিতে ঠাকুরবাড়ির ইতিবৃত্তও এখানে আলোচিত হয়েছে বিশ্বস্তভাবে।
Out of stock
Only logged in customers who have purchased this product may leave a review.
Related products
রবীন্দ্রনাথ সম্পাদিতে বঙ্গদর্শন / RABINDRANATH SAMPADITE BANGADARSHAR
‘বঙ্গদর্শনের প্রথম অভ্যুদয়ে বাংলা দেশের মধ্যে একটি অভূতপূর্ব আনন্দ ও আশার সঞ্চার হইয়াছিল, একটি সুদূরব্যাপী চাঞ্চল্যে বাংলার পাঠকহৃদয় যেন কল্লোলিত হইয়া উঠিয়াছিল। সে চেষ্টা স্বাধীন চেষ্টার আনন্দ।’ বঙ্কিমচন্দ্রের বঙ্গদর্শন সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথ এই মন্তব্য করেছেন নবপর্যায়-বঙ্গদর্শন প্রকাশের আগে। তারপর তাঁকে নিতে হয় বঙ্গদর্শন সম্পাদনার দায়িত্ব। বঙ্কিমের বঙ্গদর্শন যেমন একসময় ‘আমাদের সাহিত্যপ্রাসাদের সিংহদ্বার’ খুলে দিয়ে নবযুগের সূচনা করেছিল, তেমনি বিশ শতকের প্রারম্ভে রবীন্দ্রাথের বঙ্গদর্শন আর এক নতুন যুগে প্রবেশের সুযোগ করে দিল। সেই নবপর্যায়-বঙ্গদর্শন বিশেষভাবে স্মরণীয় হয়ে আছে মননসমৃদ্ধ। অসামান্য প্রবন্ধসম্পদের জন্য। আমরা একালের পাঠককে সেই মননের জগতের সন্ধান দেওয়ার জন্য অধুনা দুষ্প্রাপ্য পত্রিকা থেকে কয়েকটি প্রবন্ধ গ্রন্থাকারে প্রকাশ করছি। বাঙালির মননের ইতিহাসে এক মূল্যবান সংযোজন এই গ্রন্থ।
অক্ষয়কুমার মৈত্রের রচনাসংগ্রহ / AKSHAYKUMAR MOITRER RACHANASANGRAHA
অক্ষয়কুমার মৈত্রেয়
আপনি ওকালতিটা ছাড়ুন। চুপচাপ বসিয়া পড়ুন। মাঠের কোণে আসিয়া একটি কুটির বাঁধুন। তারপরে হবিষ্যান্ন খাইয়া খাগড়ার কলম ধরিয়া তালপাতে ভারতবর্ষের ইতিহাসকথা লিপিবদ্ধ করুন, ত্রিশ কোটি নর-নারীর আশীর্বাদভাজন হইবেন। যাঁর সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ এ মন্তব্য করেছেন, তিনি অক্ষয়কুমার মৈত্রেয়। একনিষ্ঠ স্বদেশহিতৈষী ও সত্যনিষ্ঠ ইতিহাসচর্চার অনুরাগী অক্ষয়কুমার ভারতের জাতীয়তাবাদী ইতিহাসচর্চায় এক অবিস্মরণীয় ব্যক্তিত্ব। দলিল দস্তাবেজ নির্ভর যুক্তিবাদী ইতিহাস রচনায় তিনি অগ্রদূতের ভূমিকা পালন করেছিলেন। সাহিত্যকে বাহন করে পরিক্রমা করেছেন ইতিহাসের পথ। স্বভাবতই ভাষা, রচনানৈপুণ্য ও যুক্তিনিষ্ঠ ইতিহাসচিন্তার ছাপ রয়ে গেছে তাঁর সৃজনশীল রচনার পাতায় পাতায়। শুধু ঐতিহাসিক সাহিত্যিকের ভূমিকাতেই নয়, অক্ষয়কুমার বিদ্বজনের সম্ভ্রম অর্জন করেছিলেন প্রত্নতাত্ত্বিক, শিল্প-সমালোচক, বাগ্মী ও স্বদেশপ্রেমী হিসেবেও। তাঁর সেই বহুমুখী প্রতিভার একত্র সমাবেশ ঘটেছে এ গ্রন্থে। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রদত্ত তাঁর অভিভাষণ ও চিঠিপত্র এই মনীষীর মননের জগতে প্রবেশের সন্ধান পথ। আর ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণা সেই পথের প্রবেশদ্বার। ঐতিহাসিক প্রত্নতাত্ত্বিক-সাহিত্যিক-বাগ্মী অক্ষয়কুমারকে জানতে ও তাঁর অনুসন্ধিৎসার পরিচয়লাভ করতে এ গ্রন্থ বাঙালির ইতিহাসচর্চার ক্ষেত্রে নবতম সংযোজন।
উনিশ শতকের বাংলা / Unish Sataker Bangla
সম্পাদনা অলোক রায় ও গৌতম নিয়োগী
উনিশ শতকের বঙ্গীয় জাগরণ নিয়ে আমাদের কৌতূহলের অন্ত নেই। ওই শতকে ঔপনিবেশিক প্রেক্ষাপটের মধ্যে ঘটে চলেছিল নানা সুদূরপ্রসারী পরিবর্তন। মহাত্মা শিবচন্দ্র দেবের দ্বিশততম জন্মজয়ন্তী উৎসব উপলক্ষ্যে স্মারকগ্রন্থরূপে উনিশ শতকের বাংলা প্রকাশিত হল। শিবচন্দ্র ছিলেন উনিশ শতকের এক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। হিন্দু কলেজের প্রথম দিকের ছাত্র। ডিরোজিয়ো-র প্রত্যক্ষ ছাত্র, রামমোহন রায়ের দ্বারা অনুপ্রাণিত। কর্মজীবন সরকারি চাকরিতে উচ্চপদে আসীন ছিলেন, আবার নিজ অঞ্চল কোন্নগরের আধুনিক রূপকার হিসেবে সদা উদ্যোগী। ব্রাহ্মসমাজের আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে যুক্ত থেকে অংশ নিয়েছেন সাহিত্য ও সমাজ-সংস্কারে। তাঁর জীবনপর্ব (১৮১১_১৮৯০ সাল০০০) উনিশ শতকব্যাপী। সে-কথা স্মরণে রেখে এই স্মাকরগ্রন্থে সংকলিত হয়েছে নানা বিশেষজ্ঞ গুণীজনের লেখা একগুচ্ছ মূল্যবান গবেষণাধর্মী প্রবন্ধ। উনিশ শতকের বাংলা ও বাঙালি বিষয়ে প্রাজ্ঞ দুই ব্যক্তির সম্পাদনায় এই স্মারক গ্রন্থে শিবচন্দ্র দেবের পরিচয় তো আছেই, সেই-সঙ্গে আছে তাৎপর্যপূর্ণ উনিশ শতকের নানা অধ্যায়ের ওপর সন্ধানী আলোকপাত। যে শতকে ঐতিহ্য থেকে আধুনিকতার যাত্রাপথে নানা টানাপড়েন, সেই শতকের সমাজ, ধর্ম, সাহিত্য, রাজনীতি, অর্থনীতির উন্মোচন কৌতূহলী করবে পাঠকদের।
নানা নিবন্ধ ও অন্যান্য প্রবন্ধ / NANA NIBANDHA O ANNANYA PRABANDHA
সুশীলকুমার দে সংকলন ও ভূমিকা অলোক রায়
আচার্য সুশীলকুমার দে-র বিখ্যাত গ্রন্থগুলি ইংরেজিতে লেখা হলেও তাঁর বাংলায় লেখা প্রবন্ধ-নিবন্ধাদির সংখ্যাও নিতান্ত অল্প নয়। সংস্কৃত অলংকারশাস্ত্র ও সাহিত্যের অবিসংবাদী এই পাণ্ডিত্যের ইংরেজি ও বাংলা ভাষা সাহিত্যেও অধিকার ছিল সুবিদিত। বাংলা ভাষা-সাহিত্য নিয়ে তাঁর লেখালেখির শুরু ১৯১৫ সালে। সাহিত্যালোচনায় সুশীলকুমারের অবলম্বন শুধুমাত্র আলংকারিকদের অনুশাসন নয়, পাশ্চাত্য সাহিত্যতত্ত্ব অর্জিত বোধও। লেখকের জীবৎকালে প্রকাশিত দুটি গ্রন্থ_দীনবন্ধু মিত্র (১৯৫১ সাল) এবং নানা নিবন্ধ (১৯৫৩ সাল)_বহুদিন যাবৎ মুদ্রিত না-থাকায় রয়ে গিয়েছিল পাঠকের দৃষ্টির অন্তরালে। এই দুটি গ্রন্থের সঙ্গে সুশীলকুমারের আরও কিছু দুষ্প্রাপ্য লেখা একত্র করে প্রকাশিত হল বর্তমান গ্রন্থটি।
Reviews
There are no reviews yet.