পাঁচুগোপাল বক্সি
ঐতিহ্য-পরম্পরা ও আধুনিকতার দ্বন্দ্বে দীর্ণ উনিশ শতকের বাংলায় আবির্ভূত হয়েছিলেন এক রেনেসাঁস-পুরুষ। প্রামাণ্য এই জীবনীগ্রন্থটি নতুন করে চিনিয়ে দেবে অমিত কর্মশক্তিময় সেই বীরসিংহকে।
Subtotal : ₹3,189.25
₹250.00 ₹200.00
পাঁচুগোপাল বক্সি
ঐতিহ্য-পরম্পরা ও আধুনিকতার দ্বন্দ্বে দীর্ণ উনিশ শতকের বাংলায় আবির্ভূত হয়েছিলেন এক রেনেসাঁস-পুরুষ। প্রামাণ্য এই জীবনীগ্রন্থটি নতুন করে চিনিয়ে দেবে অমিত কর্মশক্তিময় সেই বীরসিংহকে।
পাঁচুগোপাল বক্সি
ঐতিহ্য-পরম্পরা ও আধুনিকতার দ্বন্দ্বে দীর্ণ উনিশ শতকের বাংলায় আবির্ভূত হয়েছিলেন এক রেনেসাঁস-পুরুষ। প্রামাণ্য এই জীবনীগ্রন্থটি নতুন করে চিনিয়ে দেবে অমিত কর্মশক্তিময় সেই বীরসিংহকে।
Only logged in customers who have purchased this product may leave a review.
সম্পাদনা গৌতম বাগচি
এক চরম বিপন্ন সময়ে ভারতবর্ষের মাটিতে পা রেখেছিলেন ভগিনী নিবেদিতা। এদেশের আত্মার আত্মীয় হয়ে ওঠাই ছিল তাঁর জীবনের পরম লক্ষ্য। একজন বিদেশিনী হিসেবেও তিনি যে কী বিপুল পরিমাণ কর্মযজ্ঞে সামিল হয়েছিলেন, তার বিশদ চর্চা ও মূল্যায়ন চলছে বিগত একশো বছর ধরেই। এই গ্রন্থে প্রতিফলিত হয়েছে তাঁর প্রয়াণের অব্যবহিত পরেই নানা পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত দেশবিদেশের বিশিষ্টজনের প্রতিক্রিয়া ও শ্রদ্ধাঞ্জলির কথা। বলাবাহুল্য, এই প্রয়াস অবশ্যই মৌলিকতা দাবি করে। বহু অজানা তথ্যে সমৃদ্ধ এই গ্রন্থ একটি ঐতিহাসিক কাজ হিসেবেই আকর্ষণীয় হয়ে থাকবে। সঙ্গে রইল নিবেদিতার ইংরেজি ভাষায় অনূদিত রবীন্দ্রনাথের কাবুলিওয়ালা গল্পটি।
সাহিত্য – সম্রাটের জীবন ও সাহিত্য ছাড়াও এতে আলোচিত বহু অজানা প্রসঙ্গ ।
রমেশচন্দ্র মজুমদার
প্রখ্যাত ঐতিহাসিক ড. রমেশচন্দ্র মজুমদারের কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রদত্ত ‘বিদ্যাসাগর বক্তৃতামালা’-র এই মূল্যবান সংকলনটি একজন সংবেদনশীল বিদগ্ধ শিক্ষকের মহান অবদান।
সুবিশাল এই আলোচনায় আমরা ঋদ্ধ হই একদিকে বাংলা গদ্যসাহিত্যের উদ্ভব প্রসঙ্গে তাঁর মৌলিক ব্যাখ্যায় এবং অন্যদিকে নিরপেক্ষ মননের আলোয় প্রাচীন ভারতের বৈদিক যুগ থেকে বিংশ শতাব্দীর প্রারম্ভকাল পর্যন্ত সময়ে সমাজে নারীজাতির বাস্তব অবস্থান, মহিমা ও অবদমিত নারীজীবনের অতুলনীয় করুণ চিত্রণে। এই সংকলন সেই নিরিখে সমগ্র নারীসমাজের যুগপৎ বিকাশ ও অবদানের এক ঐতিহাসিক দলিল।
বারিদবরণ ঘোষ
ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদীদের হাত থেকে স্বদেশকে উদ্ধার করে স্বাধীনতা অর্জনের সূচনাপর্বে যাঁরা আত্মোৎসর্গ করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে অগ্রগণ্য ক্ষুদিরাম বসু। বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলন সবেমাত্র সংগঠিত হয়েছে, সহিংস বা অহিংস আন্দোলনের রূপরেখা তখনও অঙ্কিত হয়নি, কিন্তু দেশকে মুক্ত করার একটা স্বপ্ন তরুণ বাঙালিরা দেখছিলেন। এ কাজে জীবন তাঁদের কাছে পায়ের ভৃত্য হয়েছিল, মৃত্যু হয়েছিল বরণীয়। সংশপ্তকের প্রতিজ্ঞা নিয়ে এঁরা গোপনে গোপনে দেশমন্ত্রে উদবুদ্ধ হয়েছিলেন। সেই মন্ত্রই ক্ষুদিরাম-প্রফুল্ল চাকী-কানাইলালদের জাগিয়ে দিয়েছিল। সেই জাগরণী মন্ত্রে দীক্ষিত ক্ষুদিরাম সঙ্গী প্রফুল্ল চাকীকে নিয়ে দূর মজঃফরপুরে ব্রিটিশ শাসনযন্ত্রের এক অপরাধীকে হত্যা করার জন্য ছদ্মনামে গিয়েছিলেন। শৈশবোচিত একটা ভুলের শিকার হয়ে তাঁরা লক্ষ্যভ্রষ্ট হন। পরিণামে প্রফুল্লের আত্মহত্যা আর ক্ষুদিরামের ফাঁসি_যে ফাঁসির যন্ত্রণা দেশকে আবার উদ্দীপনাময় করে তুলেছিল, বিকল হতে বসেছিল সমগ্র ব্রিটিশ নিপীড়নযন্ত্র। এ-বই সেই জাগরণী মন্ত্র, নিপীড়ন ও আত্মোৎসর্গের এক মহান কাহিনি।
পল্লব মিত্র
কথার সীমায় তাঁকে বাঁধা যায় না। ভাষার কারুকাজেও তাঁর যথার্থ মূল্যায়ন করা যায় না। কেননা তিনি লতা। লতা মঙ্গেশকর। জন্মসুত্রে ভারতীয় নাগরিক হলেও সমগ্র বসুন্ধরাই আসলে তাঁর বাসভূমি। ঈশ্বরদত্ত অতুলনীয় কণ্ঠস্বরের অধিকারিণী এই মানষুটির জীবন হয়তো-বা সিনেমার চেয়েও বেশি বর্ণময়, প্রাণবন্ত এবং নাটকীয় বৈচিত্রে ভরপুর। বাবা দীননাথ মঙ্গেশকরের কাছেই ছোট্ট লতার গানের প্রথম পাঠগ্রহণ। পাশাপাশি অভিনয়েও হাতেখড়ি মাত্র পাঁচ বছর বয়সে। মা, বাবা এবং তাঁরা চার বোন এক ভাই মিলে সে ছিল এক গানের বাড়ি। কিন্তু মাত্র তেরো বছর বয়সেই বাবাকে হারিয়ে কঠোর বাস্তবের মুখোমুখি হলেন লতা। শুরু হল অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রাম। প্লেব্যাক সিংগিং তো বটেই, অভিনয়ও করা শুরু করলেন জীবিকার তাগিদে। তাঁর কোকিলকণ্ঠী গানের জাদুতে মেতে উঠল আসমুদ্র হিমাচল। একের পর এক ছবিতে সেই যে গান গাওয়ার শুরু, তা অব্যাহত থাকল এর পরবর্তী সাত দশক জুড়ে। আর শুদু হিন্দি নয়, বহু ভারতীয় ভাষায় গান গেয়ে লতা মঙ্গেশকর অচিরেই পরিণত হলেন জীবন্ত কিংবদন্তীতে। বাংলা ভাষাতেও তাঁর গাওয়া গানের সংখ্যা কম নয়। বাঙালি শ্রোতার কাছে লতা ঘরের মেয়ে। আজ যখন পশ্চিমি প্রভাবে অন্য ধারার গানে এই উপমহাদেশ মেতে উঠেছে, তখনও অম্লান লতা মঙ্গেশকর গীত গান। এই গ্রন্থ সেই গানেরই উদযাপন। লতার সংগ্রামী জীবনের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দিয়ে এখানে আমরা প্রবেশ করেছি তাঁর গাওয়া বাংলা গানের গহিনে। সেই সঙ্গে রয়েছে লতা সম্পর্কে সমসাময়িক ব্যক্তিত্বদের উচ্ছ্বাস ও স্মৃতিচারণ এবং একটি দুর্লভ সাক্ষাৎকার।
সতীপতি ভট্টাচার্য
শেকসপিয়রের মতোই দুর্জ্ঞেয়, রহস্যময় ও কুয়াশাবৃত কালিদাসের জীবন। তাঁর জন্ম খ্রিস্টপূর্ব প্রথম শতকে, নাকি খ্রিস্টীয় ষষ্ঠ শতকে_এ নিয়ে পণ্ডিতদের মধ্যে বিতর্ক আছে। যা নিয়ে বিতর্ক নেই, তা হল শতাব্দীর পর শতাব্দী পেরিয়েও তাঁর অবিসংবাদী জনপ্রিয়তা। কীভাবে কোনো মহাকবি লোককবিতে রূপান্তরিত হয়ে ওঠেন, কী অন্যন্য পারম্পর্যে তাঁকে নিয়ে গড়ে ওঠে শত সহস্র কিংবদন্তী, কালিদাস অথবা কালিদাস-মিথ তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। তবে অভিজ্ঞানশকুন্তলম্, বিক্রমোর্ব্বশীয়ম্, মালবিকাগ্নিমিত্রম্ প্রভৃতি নাটকের রচয়িতা যিনি, তাঁর কলম থেকে উৎসারিত রঘুবংশ ও কুমারসম্ভব-এর মতো মহাকাব্য এবং মেঘদূত এবং কুমারসম্ভব-এর মতো মহাকাব্য এবং মেঘদূত ও ঋতুসংহার-এর মতো খণ্ডকাব্য, বাল্মিকী-ব্যাসের পর তিনিই যে শ্রেষ্ঠ ভারতীয় কবি তথা নাট্যকার, এ বিষয়ে প্রায় সকলেই নিঃসংশয়। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কালিদাস সম্পর্কিত কিংবদন্তী ও লোককাহিনিগুলিকে একত্রিত করে রচিত এই গ্রন্থ প্রকাশিত হয় ১৯৩০ সালে। বাঙালির কালিদাস-চর্চায় যে আবেগ ও অনুরাগ পরিলক্ষিত হয়, মহাকবি কালিদাসের ইতিহাস সেই ঐতিহ্যেরই নির্ভীক অনুসারী।
Reviews
There are no reviews yet.