জন্মজিৎ রায়
এ দেশে বাংলাবিদ্যাচর্চা ও বাংলা পাঠ্যপুস্তক রচনার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন কারা ? কী করেই বা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর স্তরে বাংলাবিদ্যা পঠনপাঠন শুরু হল? উচ্চশিক্ষায় বাংলাবিদ্যা ও বিদ্যাপথিকদের সম্পর্কে জানতে আগ্রহী পাঠক এ বইয়ে পাবেন ভারতে বাংলাবিদ্যাচর্চার আদিপর্বের এক কালানুক্রমিক বিবরণ। গ্রন্থের দ্বিতীয় ভাগে বাংলাবিদ্যার প্রধান প্রধান রূপকার
বরুণকুমার চক্রবর্তী
বিশ্বমানবের কাছে গীতা সমাদৃত তার কালোত্তীর্ণ বাণীর অমোঘ আবেদনের জন্য। কালে-কালান্তরে, গীতা তাই অনুপ্রাণিত করেছে কর্মযোগী, জ্ঞানযোগী, ধর্মযোগী-সহ সকল দর্শনের মানুষকে। লোকসংস্কৃতিবিদের কলমে পাঁচটি অধ্যায়ে বিশিষ্ট শ্রীমদ্ভগবদ্ গীতা-র নবমূল্যায়ন।
The great philosophies of Dualism and Monism had their origin in the teachings of Srimat Nimbarkacharyya Dhananjay Das Kathiababa is the worthy successor of this great philosophical school. Ascholar extraordinary, hs is a charming speaker. Thousands of listeners drink the nectar of his speech as if in a trance. His
ভগিনী নিবেদিতা
সিস্টার নিবেদিতা মহাভারত-কে মূলত জাতীয় বীরকাহিনি হিসেবে দেখেছিলেন আর রামায়ণ তাঁর মতে ভারতীয় চেতনায় নারীর এক মহাকাব্য। তাঁর বর্তমান গ্রন্থে গল্প নির্বাচনে এই দুই মহাকাব্যের প্রভাব বিস্তর, তবু জনপ্রিয়তার নিরিখে উপনিষদ-পুরাণ আর ঠাকুমা-দিদিমার কাছ থেকে শোনা অবিস্মরণীয় নানা কাহিনিগুলিকেও সচেতনভাবেই এই ‘দোলনগাথা’-য় স্থান দিয়েছেন তিনি। সঙ্গে রইল বিশিষ্ট সাহিত্যিক-গবেষক
সুরেশচন্দ্র দত্ত
শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণদেবের উপদেশ আমাদের ভাগ্যবিড়ম্বিত, দুঃখময় জীবনে এক পরম সহায়। জীবৎকালেই তাঁর অমৃতবাণী শ্রোতাদের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছিল। তাতে একদিকে যেমন পরমহংসগতপ্রাণ ভক্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছিল, অন্যদিকে তাঁর উপদেশ আদৌ অবিকৃত থাকছে কি না, তা নিয়েও আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল। জীবৎকালেই তাই রামকৃষ্ণবাণীর সংরক্ষণের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছিল। এ ক্ষেত্রে
নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী
ছোটোদের জন্য হাসি আর মজার মণি-মুক্ত ছড়িয়ে আছে কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর এই বই জুড়ে,যা ছোটো-বড়ো সকলেরই ভালো লাগবে। আমাদের প্রকাশনায় কবির শেষ এই কাব্যগ্রন্থ তাঁর সস্নেহ আশীর্বাদ বলেই আমরা মনে করি।
পুরঞ্জনপ্রসাদ চক্রবর্তী
ধর্ম বলতে স্বামীজি কোনো বিশেষ মতবাদকে বোঝাতে চান কি না, সে সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেছিলেন, ‘সব ধর্মের সংকীর্ণতা দূরীভূত করে এক উদার মানবধর্ম প্রচার করার জন্য শ্রীরামকৃষ্ণদেব ধরাধামে আবির্ভূত হয়েছিলেন_আমি শুধু সে কথাটিই প্রচার করতে চাই। আমার মতে ধর্ম যদি মানুষের অন্তরে শক্তি জোগাতে না পারে, তবে
প্রভাসচন্দ্র ধর
চোদ্দোটি গল্প। ভিন্ন ভিন্ন গল্প, বিভিন্ন কালের ও বিভিন্ন সামাজিক স্তরের। চল্লিশ বছর ধরে লেখা কিছু গল্প থেকে বাছাই করা। চরিত্রে আছে নর-নারী, হিন্দু, মুসলমান, খ্রিস্টান, সমতলবাসী-গিরিবাসী ও দুটি চড়াইও।
অধ্যাপক প্রভাসচন্দ্র ধর
ধনঞ্জয়দাস কাঠিয়াবাবাজির যোগ্য শিষ্য ড. বৃন্দাবনবিহারীদাস কাঠিয়াবাবা দ্বৈতাদ্বৈত দর্শনের এক বিরল কথাপুরুষ। এই গ্রন্থ তাঁর দিব্য জন্মকর্মের ধারাবাহিক বিবরণ।
প্রবীরকুমার চট্টোপাধ্যায়
দুর্গাপূজা নিঃসন্দেহে বাঙালির জাতীয় উৎসব। ধর্মীয় অনুষঙ্গের সীমাবদ্ধতা পার করে এই পূজা বৃহত্তর বঙ্গভূমির মিলনোৎসব। অথচ অধিকাংশ পূজকের কাছেই এই পূজার মন্ত্রের অর্থ অবিদিত। সংস্কৃত শিক্ষার সার্বিক অবনমন ও ক্রমাবলুপ্তিই হয়তো এর কারণ। এই অমার্জনীয় ত্রুটি পূজাকে অসম্পূর্ণ ও অসার্থক করে তোলে, যেহেতু অর্থবোধহীন মন্ত্রোচ্চারণ প্রলাপেরই শামিল। কালিকাপুরাণোক্ত দূর্গাপূজা
চঞ্চলকুমার ঘোষ
ভূত আগেও ছিল এখনও আছে, তবে এই বইয়ের ভূতেরা কাউকে ভয় দেখায় না_নিজেরাই ভয় পায়। ভূতের সঙ্গে রয়েছে মজা, হাসি আর লোককথা-রূপকথার অনাবিল আনন্দ।
পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ির কাছে বাঙালির ঋণের শেষ নেই। শুধু সাহিত্য-সংস্কৃতির ক্ষেত্রে নয়, আমাদের জীবনের সর্বস্তরেই এই পরিবারের সুগভীর অবদান। এই পরিবারই আমাদের সমৃদ্ধ করেছে, আমরা আধুনিকতার আলোয় আলোকিত হয়েছি। ঠাকুরবাড়ির, বিশেষত রবীন্দ্রনাথের বিজ্ঞানমনস্কতার কথা হয়তো বা আমাদের জানা আছে, কিন্তু সে-পরিবারের বিজ্ঞানচর্চা ও ভাবনার কথা সেভাবে জানা নেই। এই অনালোচিত-অনালোকিত
শুভময় মণ্ডল
বাংলা কবিতার চিরায়ত সম্পদ মেঘনাদবদকাব্য। রবীন্দ্রনাথ এবং মেঘনাদবধকাব্য-র জন্ম একই বছরে। জন্মমাত্রই মেঘনাদবধকাব্য জয় করেছিল বাঙালি পাঠকের হৃদয়। শুধুমাত্র সুশিক্ষিত এবং রুচিশীল পাঠক নন, সাধারণ বাঙালি পাঠকও উন্মথিত হয়েছিলেন এই কাব্যের পঠনে। কাব্যের প্রতিটি সর্গে, প্রতিটি পঙক্তিতে ছন্দ ও যতিচিহ্নের অনন্য চরণধ্বনি, শব্দ ও অলংকারের অম্লান সৌরভ আমাদের আবিষ্ট
দেবাশিস বসু
গভীর স্বদেশানুরাগ, অন্তহীন দানশীলতা আর স্বাজাত্যবোধ এঁদের একজনকে করেছিল ‘দেশবন্ধু’। ইংরেজ সৈন্যের চালানো গুলি আর একজন নিয়েছিলেন বুক পেতে_মেদিনীপুরের অগ্নিকন্যা তিনি। প্রথমে বিপ্লবী, পরে ঋষিরূপে ভারতাত্মার বাণীমূর্তি হয়ে উঠলেন আর একজন। প্রথমে ছুরি হাতে বাঘ, পরে মাউজার পিস্তল হাতে ব্রিটিশের মোকাবিলা করল এক অকুতোভয় বাঙালি যুবক। শিবাজির মতো পোশাক