সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
‘নারীর দুঃখ’ হোক কিংবা ‘তেহেরানের স্বপ্ন’, প্রেম সুনীলের প্রতিটি গল্পে আলাদা এক চিত্রকল্প তৈরি করে। কখনো সেখানে আহত বাঘের মতো নায়ক চেটে নেয় নিজের ক্ষতস্থান, কখনও বা নায়িকাকে আচ্ছন্ন করে ফেলে অনির্বচনীয় এক ভয়। দৃঢ় স্বাস্থ্যময়, গৌরবর্ণ উজ্জ্বল মুখ বৈমানিক প্রতিদ্বন্দ্বীকে একটি গল্পে আরও মহীয়ান হয়ে উঠতে বলে মনীষার এক প্রেমিক, আরেক গল্পে প্রথমে যেমন জাহাজের মাস্তুলটুকু শুধু দেখতে পাওয়া যায়, তেমনি দূরে অবিনাশ দেখতে পায় রানির সুডৌল হাতটিকে। ‘মঞ্জরী’ গল্পে মঞ্জরীকে দেখে কথকের মনে হয় পৃথিবীতে কোনো ময়লা নেই, দুর্গন্ধ নেই, ঘাম নেই। কোথাও মানুষকে মানুষ মারছে না। মোলায়েম স্নিগ্ধ হাওয়ায় পৃথিবীটা ভরে গেছে। রাস্তা হয়ে যায় নদী, দুজনে দুদিকে, পার হবার উপায় নেই। ট্যাক্সির ব্রেক কষার দারুণ শব্দে রুক্ষ বাস্তবে ফিরে আসে কাহিনি। এইভাবেই বাস্তব আর কল্প-বাস্তব, স্বপ্ন আর দূরত্ব, প্রতীক্ষা আর ব্যর্থতা তৈরি করে প্রেমের অনিঃশেষ এক আখ্যান। স্বভাবতই, ‘রোম্যান্টিক’ বা অন্য কোনো সীমায়িত অভিধা তিরিশটি গল্পে ব্যাপ্ত বিচিত্র এই অনুভবরাশির নির্যাসকে আঘ্রাণ করতে অক্ষম।
ঔপন্যাসিক স্বয়ং যখন চয়ন করে নেন তাঁর উপন্যাসমালার এক-একটি আখ্যান, তখন নিশ্চিতভাবেই সেই নির্বাচনের পিছনে কোনো–না-কোনো অভিপ্রায় কাজ করে। ‘শ্রীবুদ্ধদেব গুহর স্বনির্বাচিত উপন্যাস’ (প্রথম খণ্ড) আমাদের বিস্ময় উদ্রেক করেছিল। সাতটি উপন্যাস নিয়ে শুরু হয়েছিল যে-সিরিজ, তাঁর দ্বিতীয় খণ্ডে এসে রচিত হয় এমন এক জীবন যে- জীবনকে ঘিরে এমন এক বহুমাত্রিক আখ্যান, যার সহস্র দ্বার অবারিত। উপন্যাসের এই সহস্র দুয়ার দিয়ে পাঠক পরিভ্রমণ করেন কথাসাহিত্যের ভুবনে।
প্রভাবতী দেবী সরস্বতী থেকে শুরু করে শেখর বসু পর্যাপ্ত ব্যাপ্ত এই সংকলনে সংকলনে সংকলিত গল্পগুলির মূল জোর কাহিনিকারদের খ্যাতিতে নয় , প্রতিটি গল্প মন কেড়ে নেওয়ার মত I
বাংলার জমিদার বা রাজপরিবারের সামন্ত্রতান্ত্রিক ভোগবাদী জীবনযাপনের যে তথাকথিত আভিজাত্যের প্রচলিত ইতিহাসের সঙ্গে আমাদের আপাত পরিচয় ।
নতুন পাঠ্যসূচিকে সঠিকভাবে অনুসরণ করা হয়েছে । খুব সহজ – সরল ভাষায় রঙিন ছবি, চিহ্নিত চিত্র, তালিকা, টেবিলের মাধ্যমে বইটি উপস্থাপিত করা হয়েছে ।